খারাপ খারাপ হাসির জোকস

আপনারা যারা নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করেন তাঁরা জানেন আমাদের অনেক বড় জোকস এর কালেকশন রয়েছে। আমাদের ওয়েবসাইটে আসলে খুব সহজেই আপনারা মজার মজার জোকস পড়তে পারেন এবং তাও একদম বিনামূল্যে। নানা ক্যাটাগরির জোকস এর পাশাপাশি আজ আমরা নতুন আরেকটি ক্যাটাগরির জোকস নিয়ে আপনাদের মাঝে আসলাম। আজ আমরা নিয়ে এলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য খারাপ খারাপ হাসির জোকস। খারাপ খারাপ জোকস গুলো পড়ে আপনি আপনার অবসর সময় গুলো সুন্দর ভাবে উপভোগ করতে পারবেন। অনেক সময় আমরা একা একা বসে থাকি কোন কিছু করার থাকে না, এমন সময়ে আপনি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে খারাপ খারাপ মজার জোকস গুলো করে ফেলতে পারবেন।

খারাপ খারাপ মজার জোকস বলতে আমরা খারাপ কিছু বোঝাচ্ছি না। এখানে খারাপ বলতে প্রাপ্তবয়স্কদের পরার উপযোগী জোকস বোঝানো হয়েছে। খারাপ বলার কারণ হলো এই জোকসগুলো আপনি সবার সামনে বর্ণনা করতে পারবেন না। যেমন আপনার শিক্ষক অথবা গুরুজনদের সামনে এ ধরনের জোকস গুলো বলা থেকে আপনাকে বিরত থাকতে হবে। তাই খারাপ জোক্স বলতে আমরা অশ্লীল কিছু বোঝাচ্ছি না এই ব্যাপারটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে। প্রাপ্তবয়স্কদের পরার উপযোগী কৌতুক হওয়ায় এগুলো আমরা ছোটদের কাছে না বললেই মঙ্গল।

এর আগে আমাদের ওয়েবসাইটে আমরা মজার মজার হাসির কৌতুক ও 18 প্লাস অনেক কৌতুক আপলোড করেছি। এবার আমরা এমন সব জোকস নিয়ে আপনাদের সামনে এসেছি যে গুলো পড়লে আপনি ভীষণ মজা পাবেন এবং এই জোকসগুলো আপনার কাছের বন্ধুদের কাছে শেয়ার করে তাদেরকেও বিনোদন দিতে পারবেন। এ ধরনের জোকস গুলো আমরা বিভিন্ন জোকসের বই থেকে সংগ্রহ করেছি। বেশ কিছু জোকস আমরা রিয়েলিটি সবগুলো থেকে সংগ্রহ করে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি।

আমাদের ওয়েবসাইটে আপনারা একদম নতুন অনেক জোকস পেয়ে যাবেন। সাধারণত পুরাতন জোকস গুলো পড়তে পড়তে আপনারা ধৈর্য্য হারা হয়ে পড়েন। যারা অনেক বেশি জোকস পড়েছেন তাদের জন্য আমাদের এই নতুন কালেকশন। আমাদের নতুন কালেকশনের জোকস গুলো ছোট ছোট হলেও অনেক বেশি মজার। অনেকে ছোট ছোট জোকস গুলো পড়তে ভালোবাসেন কারণ বড় জোকস গুলো পড়তে অনেক ধৈর্য ধরতে হয়।

অনেক সময় আমরা এমন পরিস্থিতির সম্মুখিন হই যখন বসে বসে সময় কাটাতে হয়। ধরুন আপনার বন্ধু আপনাকে কোথাও বসে অপেক্ষা করতে বলল, এমন সময় আপনার হাতে করার মত কোন কাজ থাকেনা। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন পৃথিবীতে অপেক্ষা করার মতো বড় বিরক্তিকর আর কোন কাজ নেই। এই বিরক্তিকর সময় থেকে মুক্তি পেতে হলে আপনাকে যেটা করতে হবে তা হল ফোন বের করে খুব সহজেই সার্চ করে আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসতে হবে এবং মজার মজার হাসির কৌতুক গুলো পড়ে ফেলতে হবে। আপনি যখন কৌতুক গুলো পড়া শুরু করবেন দেখবেন কোন দিক দিয়ে পুরোটা সময় চলে গেছে। অবসর সময় কাটানোর জন্য এর চেয়ে ভালো উপায় আর হতে পারে না।

১. পাড়ার মোড়ের আড্ডা-

-আচ্ছা, মানুষের বাচ্চা এবং পশুদের বাচ্চাদের মধ্যে পার্থক্য কি?

-মানুষের বাচ্চা কথা বলতে পাড়ে, পশুদের বাচ্চা কথা বলতে পাড়ে না।

-উঁহু হল না ভাই, পশুদের বাচ্চা পশুই হয়। যেমন ছাগলের বাচ্চা ছাগলই হবে, গাধার বাচ্চা গাধাই হবে। কিন্তু মানুষের বাচ্চা হল একমাত্র এমন জীব যে মানুষের বাচ্চা হওয়ার সাথে সাথে গাধা, ছাগল, কুকুর, গরু এমনকি শুয়োরের বাচ্চার উপাধি পর্যন্তও পেয়ে যায়।

২. কে বলে মেয়েদের মাথায় বুদ্ধি নেই? একটা উদাহরণ দেখাই-

আমাদের শশী পাড়ার শসা বাবু, বছর ছয়েক আগে ছয় লাখ টাঁকা দিয়ে একটি হুন্ডাই কার কিনেছিলেন। ঠিক সেই বছরেই, তার স্ত্রী তার কাছে বায়না ধরেছিল তাকে পুড়ো সোনার হাঁর, হীরে বসানো নাকছাবি থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু লাগবে।

স্ত্রীর আবদার রাখতে গিয়ে শশী বাবুর প্রায় তিন লাখ টাঁকা খরচ হয়। কিন্তু আজ ছয় বছর পড়, শশী বাবুর সেই কার-এর দাম কমে হয়েছে তিন লাখ টাঁকা, আর অন্যদিকে স্ত্রীর আবদারে কেনা সোনা আর হীরে বসানো গয়নার মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ টাঁকা। তাহলে এবার বলুন, মেয়েদের মাথায় বুদ্ধি আছে কি নেই?

৩. ছেলেদের জন্য সেলুন আর মেয়েদের জন্য রয়েছে বিউটি পার্লার। দুটির কাজ প্রায় একই। কিন্তু আমার মাথায় কিছুতেই ঢোকে না, ছেলেরা সেলুন থেকে আসার পড় স্নান করে অথচ মেয়েরা বিউটি পার্লার থেকে আসার পড় মুখ পর্যন্ত ধোয় না কেন? শুনেছি মেয়েরা নাকি অনেক পরিষ্কার, কিন্তু এখানে তো ছেলেদেরই জয় হল। কারণ যত ঠাণ্ডাই হোক না কেন, ছেলেরা সেলুন থেকে এসে স্নান করবেই করবে। আর মেয়েরা সামান্য মুখ পর্যন্ত ধোয় না।

৪. এই কথাটি শুধু মেয়েদের জন্য। মেয়েরা ভালভাবে এটি ফলো করো- উঁহু উঁহু, গলাটা আগে পরিষ্কার করে নিই, কারণ গুরুত্বপূর্ণ কথা বলতে চলেছি।

মেয়েরা জীবনে সুন্দর হতে গেলে, মুখে ক্রিম লাগাতেই হবে, কারণ টিভিতে যত অ্যাড দেখি তার সবগুলোতেই নায়িকারা রয়েছেন আর তারা বলেন- “আমার সুন্দরতার পেছনে রয়েছে অমুখ ক্রিম।“ তাই সুন্দর হতে গেলে ক্রিম মাস্ট। তবেই হতে পাড়বে নায়িকাদের মত।

৫. পাপ পুন্য তো মানেন নাকি? সুখ আপনি ঠিক ততটাই পাবেন যতটা আপনি পুন্যের কাজ করেছেন। কিন্তু আপনি কতটা শান্তিতে থাকবেন সেটা সম্পূর্ণ রূপে নির্ভর করছে আপনার স্ত্রীর উপর।

৬. দেখুন ভাই, মোবাইল কিনবেন কিছুদিন অপেক্ষা করুন। কারণ নতুন বছরে অনেক নতুন নতুন মোবাইল লাঞ্চ হয়। ঠিক তেমনই বিয়ে করবেন, কিছুদিন অপেক্ষা করুন। হতেও তো পাড়ে, একই মডেলের মধ্যে যদি আলাদা ডিজাইন পেয়ে যান!

৭. আমার মতে, প্র্যতেকের বিয়ে করার আগে বেশ কয়েকটি প্রেম করা উচিত কারণ, একই মডেলের মধ্যেই অনেক ডিজাইন পেয়ে যাবেন। বিদ্র- এখানে মডেল মানে- মেয়ে, আর ডিজাইন মানে মেয়ের রূপ। এখানে বিদ্র কথাটি এই জন্যই ব্যবহার করা হল, কারণ আমার নিষ্পাপ মন হলেও, তোমাদের মনে অনেক পাপ আছে আমি জানি, আর তোমরা নেগেটিভ ভাবনা ভেবে বসে আছো।

৮. আমি একটু আগেই বললাম, আমার নিষ্পাপ মন। এবার এই নিষ্পাপ মনের একটি উদাহরণ দিই। একবার আমি একটি লোকাল ট্রেনে জলপাইগুড়ি থেকে শিলিগুড়ি আসছিলাম। ট্রেনে অনেক ভিড় ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই কোথায় যেন আমাদের জাতীয় সংগীত বেজে উঠল। আবার বলছি আমার নিষ্পাপ মন, আমি সীট থেকে উঠে দাঁড়ালাম। কিন্তু আমি উঠতেই এক মেয়ে সপাৎ করে আমার সীটে বসে পড়ল। পড়ে জানতে পাড়লাম এই মেয়েটিই মোবাইলে জাতীয় সংগীত বাজিয়েছিল। আমি বেচারা নিষ্পাপ মন নিয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই আমার গন্তব্যে চলে এলাম।

৯. কখনো কখনো অ্যারেঞ্জ ম্যারেজের মাধ্যমে বাবা মা এমন মেয়ের সাথে বিয়ে দিয়ে দেয়, যেই মেয়েকে আমরা কোনো দিনও পটাতে পাড়তাম না। এই যেমন আমার বন্ধু গুরুং, তার বাবা মা তাকে এক চাইনিজ মেয়ের সাথে বিয়ে দেয়। কিন্তু মেয়টা চুং-চাং-ফুং-ফাং কি যে বলে বেচারা কিছুই বোঝে না।

১০. কক্ষনোই প্রয়োজনের তুলনায় কোনো কিছু অতিরিক্ত চাইতে নেই। ঠিক তেমনই প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত ঈশ্বরকে ডাকতে নেই, কারণ ঈশ্বর কখন আপনার ডাকে সাড়া দিয়ে আপনাকে ডেকে তুলে নিবে, কিছুই বুঝতে পাড়বেন না।

১১. জীবনে প্রথম অপমানিত তো সেইদিনই হয়েছিলাম যেদিন, দোকান থেকে গরম মশলার প্যাকেট নিয়ে আসতে বলায় ভুল বশত মিট মশলার প্যাকেট নিয়ে এসে, মা আবার পুনরায় দোকানে ফেরত দিয়ে আসতে বলেছিল।

১২. অনেকেই ব্রেক-আপ হওয়ার পড়, ব্লেড দিয়ে নিজের হাত কাটে, কিন্তু ভাই এত কষ্ট করার দরকার কি? চুপটি করে আপনার সঙ্গীর বাড়ির বিদ্যুৎ লাইনটাও তো কেটে দিতে পাড়েন, তবেই না বুঝবে মজা কারে কয়। সতর্কবার্তা- লাইন কাটতে গিয়ে লাইনের সাথে ঝুলে থাইকেন না যানি আবার।

১৩. কেউ একজন হয়ত ঠিকই বলেছিলেন যে, প্রেম করতে হলে হৃদয় দেখে করো। কিন্তু আমি এই কথাটির সাথে আরও কিছু যুক্ত করতে চাই- উঁহু উঁহু- “প্রেম করতে হয় তো হৃদয় দেখে করো, কারণ হাড্ডি দেখে তো কুকুরেরও জিহ্বা দিয়েও লালা ঝড়ে।“

১৪. শিক্ষকদের প্রতি সম্মানটা তো সেদিনই বেড়ে গিয়েছিল, যেদিন পরীক্ষার হলে খাতায় কিছু না লিখেও পিছন থেকে শিক্ষক এসে বলেছিলেন- “তোমার খাতা ঢেকে রাখো, পিছন থেকে তোমার খাতা দেখছে।“ বিশ্বাস করো ভাই, গর্বে বুকটা দুই হাত ফুলে উঠেছিল।

১৫. বিদ্যাসাগর ল্যাম্প পোষ্টের আলোয় পড়াশোনা করেছিলেন, কালাম স্যার মোমবাতি জ্বালিয়ে, আমাদের পাড়ার মাধ্যমিকে প্রথম হওয়া ছেলেটা ক্লাবের ছেলেদের খাওয়া বিড়ির আলোয়। কিন্তু আমি, আমি পড়াশোনা করছি, ধূপকাঠির আলোয়। হ্যাঁ একদম ঠিক পড়েছেন। শুধুমাত্র ঈশ্বরই যে ভরসা আমার।

আপনি যদি সত্যিই খারাপ খারাপ মজার জোকস গুলো পড়তে ভালবাসেন তবে অন্য কোথাও খোঁজাখুঁজি না করে সরাসরি চলে আসুন আমাদের ওয়েবসাইটে এবং আপনার ভালোলাগার ক্যাটাগরি থেকে পছন্দমত জোকস পড়তে শুরু করুন। এই জোকস গুলো পড়ার পর এমনিতেই আপনার মন ভালো হয়ে যাবে এবং বাকিটা সময় উৎফুল্ল হয়ে কাজে মনোযোগ দিতে পারবেন।

আপনি যদি আপনার বন্ধুদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হতে চান তাহলে যেকোনো সময় দু একটা জোকস শুনিয়ে দিতে পারেন। আমাদের ওয়েবসাইটের জোকসগুলো কাউকে শোনালে সে তৎক্ষণাৎ আপনার অনেক বড় ভক্ত হয়ে উঠবে। যেকোনো আড্ডায় আমাদের জোকস গুলো শুনিয়ে খুব সহজেই সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারবেন। তবে চেষ্টা করবেন ছোটদের মাঝে এই জোকস গুলো শেয়ার না করার। ছোটরা এসব জোকস গুলো শুনলে তাদের মনে অনেক প্রশ্ন জাগতে পারে এবং এই প্রশ্নের উত্তর গুলো আপনি তাদের দিতে পারবেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *