রমজান মাসের শ্রেষ্ঠ আমল সমূহ হাদিসের আলোকে

রমজান মাস আমাদের জন্য অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ একটি মাস এবং রমজান মাসে আপনি যত বেশি আমল করতে পারবেন আপনার জন্য তত বেশি ভালো হবে। আজকের এই আলোচনা থেকে আমরা জানার চেষ্টা করব রমজান মাসে মূলত একজন মুমিন ও ঈমানদার ব্যক্তি কি কি আমল করতে পারে। এখানে যারা অভিজ্ঞ পাঠক রয়েছেন তারা অবশ্যই আমাদের ভুল ত্রুটি গুলো ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন এবং রমজান মাসের আমল সম্পর্কে আমাদের নতুন নতুন জ্ঞান দেওয়ার চেষ্টা করবেন।

আমরা আজকে থেকে জানার চেষ্টা করব রমজান মাসের কি কি আমল আমরা করতে পারি এবং আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এই রমজান মাসে কি কি আমল করতেন সেই সম্পর্কে। আমরা সকলে জানি যে রমজান মাসকে আল্লাহতালা তিনটি ভাগে ভাগ করে দিয়েছেন প্রথম দশকে বলা হয় রহমতের দশক। দ্বিতীয় দশক কে বলা হয় মাগফিরাতের দশক এবং তৃতীয় দশক কে বলা হয় নাজাতের দশক।

রমজান মাসের প্রথম দশ দিনের আমল

রমজান মাসের প্রথম দশ দিন অর্থাৎ রহমতের দশ দিন এই রহমতের দশ দিনে অবশ্যই আপনি চাইলে বেশি বেশি আমল করতে পারেন। প্রথম দশ দিনের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো রোজা রাখা এবং আপনি যখন অন্যান্য মাছগুলোতে সময়মতো খাওয়া-দাওয়া করবেন এবং রমজান মাসে এসে আল্লাহ তায়ালার হুকুম অনুযায়ী খাওয়া-দাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন তখন অবশ্যই আপনার কষ্ট হবে। তাই আপনাকে ফরজ রোজা রাখতে হবে আল্লাহ তালাকে খুশি করার জন্য।

আরো গুরুত্বপূর্ণ আমল হল তারাবির নামাজ পড়া এবং তারাবির নামাজ কখনই মিস করা যাবে না এর পাশাপাশি ইফতার করা এবং সাহারি করা রমজান মাসের প্রথম ১০ দিনে আরো গুরুত্বপূর্ণ আমল।

রমজান মাসের মাগফিরাতের ১০ দিনের আমল

রমজান মাসে দ্বিতীয় দশদিন হচ্ছে মাগফিরাতের দশ দিন এবং এই মাগফিরাতের ১০ দিনে অবশ্যই আপনাকে সময়মতো সালাত আদায় এবং বেশি বেশি কোরআন শরীফ তেলাওয়াত করা এবং বেশি বেশি কোরআন শরীফ পড়ানো শেখানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল।

এছাড়া আপনি চাইলে এই রমজান মাসকে কেন্দ্র করে একটি সৎ চরিত্রের অধিকারী মানুষ কিভাবে হতে হয় তার অনুশীলন করতে পারেন এবং এটা একটি আমলের মধ্যে পড়ে।এছাড়াও নিজেকে মিথ্যা কথা থেকে বিরত রাখা এবং সব সময় মনে মনে ইস্তেগফার পাঠ করা আল্লাহর জিকির করা এবং নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উদ্দেশ্যে দরুদ পাঠ করা রমজান মাসের গুরুত্বপূর্ণ আমল।

রমজান মাসের নাজাতের ১০ দিনের আমল

বিভিন্ন হাদিস এবং বিভিন্ন বর্ণনায় আমরা জানতে পেরেছি যে রমজান মাসে শেষ ১০ দিনের রাত্রিকে বলা হয় নাজাতের রাত্রি এবং আল্লাহ তা’আলা এই ১০ দিনে তার প্রিয় বান্দাদের জাহান্নামের আগুন থেকে নাজাত দান করেন অর্থাৎ মুক্তি দান করেন।

তাই এই দশ দিনে আমাদের বেশি বেশি ইবাদত করতে হবে যার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলো ফরজ সিয়াম পালন করা এবং পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করা।

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজান মাসে শেষ ১০ দিনে ইতেকাফ করতেন। আপনিও ইতেকাফ করতে পারেন। এছাড়াও সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ আমল হচ্ছে রমজান মাসের এই শেষ দশকের বিজোড় রাতগুলোতে শবে কদর তালাশ করা। আপনি যদি একবার শবে কদর তালাশ করতে পারেন এবং ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহতালা সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারেন তাহলে হাজার মাস অপেক্ষা বেশি ইবাদত করার সওয়াব আপনার আমলনামায় লেখা হবে।

এবং সারা রমজান মাস ধরে অবশ্যই আপনাকে বেশি বেশি দান ছাতা করতে হবে এবং যতটা সম্ভব প্রত্যেকটা মুহূর্তকে কাজে লাগিয়ে আল্লাহ তায়ালার প্রিয় বান্দা হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। তাই অবশ্যই আমরা চেষ্টা করব রমজান মাসের পুরো মাসটা জোরে আল্লাহতালার ইবাদত বন্দেগীতে ব্যস্ত থাকতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *