ফানি বার্থডে বিশেষ ফর বেস্ট ফ্রেন্ড বাংলা

আজ আমরা আলোচনা করব কিভাবে আপনার বেস্ট ফ্রেন্ড কে ফানি বার্থডে উইশ করবেন। আমাদের ফ্রেন্ড সার্কেলে এমন কিছু বন্ধু থাকে যার সাথে আমরা সব সময় সুন্দর সুন্দর মজার মুহূর্ত উপভোগ করে থাকি। এসব বন্ধুদের আমরা জন্মদিনেও মজার মাধ্যমে wish করে থাকি। কিভাবে নিজের ফ্রেন্ডদের ফানি জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাবেন তা আমাদের আজকের পোস্ট থেকে জেনে নিতে পারবেন। তো চলুন দেখা যাক কিভাবে নিজের বেস্ট ফ্রেন্ড কে ফানি বার্থডে উইশ করতে পারেন।

জন্মদিন আমাদের সবার জীবনে বিশেষ একটি দিন। এই দিনে আমরা সবাই পৃথিবীতে এসেছিলাম তাই এই দিনটি আমরা প্রতিনিয়ত স্মরণীয় করে রাখতে চাই। নিজের কাছের মানুষদের জন্মদিনে আমরা বিশেষ কিছু করে সেই মুহূর্তগুলো স্মরণীয় করে রাখার চেষ্টা করি। নিজের ব্রেস্ট ফ্রেন্ডকে জন্মদিনে নানাভাবে সারপ্রাইজ দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। আমরা যদি তার জন্মদিনে তাকে চমকে দিতে পারি তবে এই মুহূর্তগুলো শেষ সব সময় মনে রাখবে। তার জন্মদিনের উইশ করার সময়ও আমরা ব্যতিক্রম কিছু লিখে উইশ করতে পারি। কিভাবে ব্যতিক্রম ধর্মী জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো যায় তা হয়তো আপনার অনেকেই বুঝতে পারেন না এবং জানতে চেয়ে আমাদের কাছে কমেন্ট করেছেন। কিভাবে ব্যতিক্রমধর্মী জন্মদিনের উইশ করা যাবে তা জেনে নিন এবং আপনার বন্ধুকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান।

১. আজ তোর পয়দা দিবস। আজকের দিনে তুই পৃথিবীতে এসে বাংলাদেশের জনসংখ্যা একজন বাড়িয়ে দিয়েছিস। তুই যদি না জন্মাতিস তাহলে একজন মানুষ সঠিকভাবে নাগরিক সুযোগ সুবিধা পেত। তুই পৃথিবীতে না আসলে সবচেয়ে ভালো হতো তোর ভাই বোনদের। তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি তোর সাথে শেয়ার করার প্রয়োজন হতো না। কিন্তু কি আর করার, পৃথিবীতে যখন এসেই পড়েছিস তখন তোকে তো গ্রহণ করতেই হবে। তবে হ্যাঁ, তুই পৃথিবীতে না আসলে সবচেয়ে খারাপ হত আমাদের জন্য। প্রতি সপ্তাহে তোর কাছ থেকে টাকা ধার নিতে পারতাম না। চা সিগারেট খেয়ে তোর বিলের আশায় থাকতে পারি এটাই অনেক। নিজের পকেট থেকে টাকা খরচ করার প্রয়োজন হয় না। আমার প্রার্থনা তুই এভাবেই আমাদের চা সিগারেটের দাম দিতে থাক।

২. সেই ছোটবেলায় তোর মনে আছে? দুজন নেংটা হয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতাম। তুই তো প্যান্ট পরতে চাইতি না। তুই প্যান্ট পড়তি না দেখে আমাদের প্যান্ট খুলে দিতি। তখন আমাদের বয়স কত হবে, দুই কি তিন। সে সময় তো মাঝে মাঝেই আমরা মারামারি করে একে অপরের জামাকাপড় ছিড়ে দিতাম। আজ আমরা কত বড় হয়ে গেছি। আজও ইচ্ছা করে যদি তোর সাথে সেই হাফপ্যান্ট পড়ে গ্রামের মেঠো পথে হাঁটতে পারতাম। দুজনে একসাথে গাছে উঠে ফল পেড়ে খেতে পারতাম। সত্যিই সেই দিনগুলো আর কখনোই ফিরে আসবে না। আজ হয়তো আমরা একসাথে থাকতে পারিনা কিন্তু আমাদের বন্ধুত্ব থাকবে সারা জীবন। আজ তোর জন্মদিন, পূর্বে এই দিনগুলো আমরা একসাথে কাটাতাম। তোর মাথায় ডিম ভেঙে সারা মুখে আটা ময়দা মাখিয়ে দিতাম। এখন তুই তোর জীবন নিয়ে অনেক ব্যস্ত। জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে সফল হ এই দোয়া করি। শুভ জন্মদিন।

আপনার বেস্ট ফ্রেন্ড কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি ছোটখাটো কিছু উপহার দেওয়ার চেষ্টা করুন। আপনার উপহার পেয়ে সে নিশ্চয়ই ভীষণ খুশি হবে এবং তার পুরনো দিনের কথাগুলো মনে পড়ে যাবে। নিজের কাছের বন্ধুদের কাছে কখনোই ম্যাচিউরিটি দেখানোর প্রয়োজন পড়ে না। সেই যে ছোট্ট বেলায় আমরা যেভাবে খেলাধুলা করতাম পাগলামি করতাম সেই একই আড্ডা নিজের বন্ধুদের সাথে করা যায়। বন্ধুরা কখনো বড় হয় না যত বছর পরেই একসাথে হোক না কেন তারা সেই ছোট্ট থেকে যায় এবং তাদের আড্ডার ধরন গুলো একই থেকে যায়।

নিজের বেস্ট ফ্রেন্ডকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর আরো অনেক উপায় জানতে সব সময় আমাদের সাথেই থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *