চরম হাসির কৌতুক

বন্ধুরা, আজ সম্পূর্ণ নতুন একটি বিষয় নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করতে এলাম। আপনারা ইতিমধ্যে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে বেশ কিছু কৌতুক সংগ্রহ করে পড়েছেন এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করেছেন। আজ আমরা ভিন্নধর্মী কিছু কৌতুক নিয়ে আপনাদের সাথে কথা বলতে চলেছি। আমরা আশা করি নতুন কৌতুক গুলো পড়ে আপনি অনেক বেশি মজা পাবেন এবং বেশি বেশি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারবেন। আমাদের এই কৌতুকগুলো সম্পূর্ণ নতুন , অন্য কোথাও এ ধরনের কৌতুক আপনি খুঁজে পাবেন না। তো চলুন বন্ধুরা আমাদের ভিন্নধর্মী কৌতুক গুলো নিয়ে আলোচনা শুরু করা যাক।

আমাদের আজকের কৌতুক গুলো অনেক সময় ধরে সংগ্রহ করার চেষ্টা করা হয়েছে। অনেক পুরনো বইপত্র ঘাটাঘাটি করে এই ভিন্নধর্মী কৌতুক গুলো আমরা সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছি। এসব কৌতুক গুলো আমরা সাধারণত খুব কমই শুনেছি। আমরা প্রতিনিয়ত যেসব কৌতুক গুলো শুনে থাকি তার থেকে এই কৌতুক গুলো পুরোটাই আলাদা। মজার ব্যাপার হলো এই কৌতুক গুলো একটু বড় হলেও আপনি পড়া শুরু করলে কোনভাবেই আর উঠতে পারবেন না। আপনি চাইলে কৌতুক গুলো পরিবারের সবার সাথে শেয়ার করতে পারবেন। এ কৌতুকগুলো অত্যন্ত সামাজিক এবং সব জায়গায় বলার উপযোগী।

আমাদের ওয়েবসাইটে অনেক কৌতুক আপনারা পেয়েছেন যেগুলো ছোটদের সাথে শেয়ার করার মতো ছিল না। আজকের চরম হাসির কৌতুক গুলো আপনি চাইলে ছোটদের সাথে শেয়ার করতে পারবেন। ছোটদের এই কৌতুক গুলো শুনে অনেক মজা দিতে পারবেন বলে আশা করি। এই কৌতুক গুলোর মত মজার কৌতুক আমি খুব কমই দেখেছি। আপনি চাইলে এখনি আমাদের ওয়েবসাইটের নিচের দিকে গিয়ে কৌতুক গুলো কপি করে নিজের কাছে রাখতে পারেন অথবা পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করে নিতে পারেন। আমাদের ওয়েবসাইটের নিচের দিকে কৌতুক গুলো ছবি আকারেও দেওয়া হয়েছে।

দীর্ঘদিন একই ধরনের কৌতুক পড়তে পড়তে আপনারা নিশ্চয়ই নতুন কিছু করতে চাইছেন। আমাদের ওয়েবসাইটের কমেন্ট বক্সে আমরা বেশ কিছু কমেন্টস পেয়েছি। আপনারা চাইছেন সবার সাথে শেয়ার করার উপযোগী কৌতুক গুলো যেন আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করি। আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী নতুন কৌতুক গুলো আমরা সংগ্রহ করার চেষ্টা করছি যা আপনার আশেপাশের সবার সাথে শেয়ার করতে পারবেন। আপনি চাইলে আপনার মা বাবার সাথে ও এই জোকসগুলো নিয়ে আলোচনা করতে পারবেন।

আমাদের জীবনে সফলতা পাবার জন্য অনেক কিছুই করে থাকি। সফলতা পাবার জন্য তেমন পরিশ্রম করতে হয় তেমনি এই পরিশ্রমের ফাঁকে ফাঁকে একটু বিশ্রাম নিতে হয়। বিশ্রাম নিতে পারলে পরবর্তীতে কাজ করার জন্য আপনি শক্তি সঞ্চয় করতে পারবেন। খুব শর্ট টাইম বিনোদনের জন্য নিচে দেওয়া কৌতুকগুলো যেকোনো সময় পড়ে ফেলতে পারেন।

এখানে যা যা পাবেন

১. মজার মজার কৌতুক
২. চরম হাসির জোকস

মজার মজার কৌতুক

: আমার ক্ষমতা থাকলে ঐ লোককে বিশ্ব স্বাস্থ্য উন্নয়নের জন্যে নোবেল পুরস্কার দিতা!
: কেন? সে এমন কী করেছে?
: আমাদের এলাকায় সে এতই ‘অজনপ্রিয়’ যে তাকে দেখলেই লোকে এক ছুট দেয় এবং দুই মাইলের আগে থামে না। আর জানো তো, প্রতিদিন দুই মাইল দৌড়ানো স্বাস্থ্যের জন্যে কত উপকারী।

২#
ডাক্তার: বাহ! আপনি কোনো চিন্তা করবেন না। আপনার পালস তো একদম ঘড়ির কাঁটার মতো চমৎকার চলছে।
রোগী: তার কারণ আপনি সেই তখন থেকে আমার হাতঘড়িটাই চেপে ধরে বসে আছেন।

৩#
: আচ্ছা বল দেখি কিং-কং যদি হংকং-এ গিয়ে পিং পং বলের আঘাতে মারা যায় তা হলে তার কফিনের ওপর কী দেওয়া হবে?
: উঁহু… পারলাম না।
: ঢাকনা।

৪#
: ডাক্তার সাহেব আমার হাঁটুতে প্রচুর পানি এসেছে। কী করি বলুন।
: কী আর করবেন! প্রতিদিন পাম্প স্যু পরে হেঁটে দেখুন।

৫#
: তুমি বলতে চাও যে তুমি সাত দিন উপোস ছিলে বলে বাধ্য হয়ে ঐ খাবারের দোকানে চুরি করেছো?
: জি জনাব।
: আশ্চর্য! তা হলে তুমি খাবার না নিয়ে দোকানের ক্যাশ ভাঙলে কেন?
: পরের দোকানে খাবার খেয়ে পয়সা দেবো না এমন ছোটলোক আমি নই জনাব।

৬#
কোর্টে দুই উকিলের তুমুল বাকবিতণ্ডা চলছে এমন সময় একজন উকিল বিচারকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে গিয়ে তাকে ‘ইওর অনার’ না বলে মুখ ফসকে ‘এই যে ভদ্রলোক’ বলে ডেকে ফেললেন। সাথে সাথে নিজের ভুল বুঝতে পেরে তিনি বিচারকের কাছে ক্ষমা চেয়ে বললেন, ‘ক্ষমা করবেন ইওর অনার, আপনাকে ভুল করে ভদ্রলোক বলার জন্য আমি সত্যিই দুঃখিত।

৭#
: আমার একটা অদ্ভুত গুণ কী জানেন? আমি মানুষের নাম শুনে গন্ধ ধরতে পারি।
এ কথা শুনে একজন তড়িঘড়ি উঠে চলে গেলো।
: আচ্ছা উনি যে উঠে গেলেন উনার নামটা কী?
: গুণীন্দ্রনাথ।

৮#
শিক্ষক: গ্রামার কাকে বলে?
ছাত্র: যে লোক গ্রামে থাকে তাকেই বলে গ্রামার। লোকটি যদি বাঙালি হয় তবে তাকে বলে বাংলা গ্রামার আর যদি সে ইংরেজ হয় তবে তাকে বলে ইংরেজি গ্রামার।

৯#
রাস্তায় ছিনতাইকারীর কবলে পড়লেন এক ভদ্রলোক।

ছিনতাইকারী: এই যা টাকাপয়সা আছে সব দিয়ে দাও।

ভদ্রলোক: কী, তুমি আমার কাছে টাকা চাচ্ছো? তুমি জানো আমি দেশের একজন মন্ত্রী।

ছিনতাইকারী: সেক্ষেত্রে তুমি আমার টাকা ফেরত দাও।

১০#
প্রচন্ড জ্বর নিয়ে ডাক্তারের চেম্বারে ফোন করলেন এক ব্যক্তি। কিন্তু ডাক্তারের সেক্রেটারি জানালেন যে আগামী তিন সপ্তাহের আগে কোনো এপয়েন্টমেন্ট দেয়া সম্ভব নয়। রোগী রেগেমেগে জানতে চাইলেন , তার আগেই যদি তিনি মারা যান তবে কী হবে?

সেক্রেটারি জানালেন, আমরা আগের দিন পর্যন্ত এপয়েন্টমেন্ট ক্যানসেল করি। 

মজার মজার কৌতুক গুলো আমরা শুধুমাত্র ছোটদের জন্য সংগ্রহ করেছি। এ কতগুলো আপনি ছোটদের কাছে বেশি শেয়ার করতে পারবেন। আমি আশা করি ছোট বাচ্চারা আপনার কাছেই কৌতুক গুলো শোনার পর অনেক বেশি মজা পাবে এবং পুনরায় শুনতে চাইবে। সুতরাং, বেশি দেরি না করে ছোটদের কাছে কৌতুক গুলো শোনানোর জন্য এখনই সংগ্রহ করে নিন।

চরম হাসির জোকস

হাসির জোকস ১ঃ স্বামী স্ত্রীর কথোপকথন
স্বামীঃ (স্ত্রীকে) এই শুনছাে! আমার শার্টটা ধুয়ে রাখবে। নইলে…
স্ত্রীঃ (রেগে গিয়ে) নইলে, নইলে কী করবে?
স্বামীঃ নিজেই ধুয়ে নেব।
হাসির জোকস ২ঃ
অসুস্থ ছােট ছেলে কিছুতেই ট্যাবলেট খেতে চায় না। তাই মা বাধ্য হয়ে সিদ্ধ ডিমের ভেতরে ট্যাবলেট ঢুকিয়ে ছেলেকে খেতে দেয়। কিছুক্ষণ পর মা এসে জিজ্ঞেস করলেন :
বাবা, ডিমটা কি খেয়েছ?
হ্যা মা, খেয়েছি। তবে ডিমের বিচিটা ফেলে দিয়েছ।
হাসির জোকস ৩ঃ ছাত্র শিক্ষাকের কথোপকথন
শিক্ষকঃ বল তাে ছােটন, ঢাকা কোথায় অবস্থিত?
ছােটনঃ খাটের নিচে স্যার।
শিক্ষকঃ এসব কী বল।
ছােটনঃ বাড়ির মালিক যখন ভাড়া চাইতে আসেন, তখন আম্মু বলেন আব্দু ঢাকা গেছেন। তখন তাে আব্বু খাটের নিচে থাকেন।
হাসির জোকস ৪ঃ স্বামী স্ত্রীর কথোপকথন
স্ত্রীঃ হ্যাগাে, আমি মারা গেলে তুমি কী করবে?
স্বামীঃ আমি পাগল হয়ে যাবাে।
স্ত্রীঃ মিথ্যা কথা। তুমি আবার বিয়ে করবে ।
স্বামীঃ পাগলে কী না করে?
হাসির জোকস ৫ঃ এক বালকের সঙ্গে এক নেতার কথােপকথন
বালক: মামা, ২০টি টাকা দেন তাে, মা চাইছেন!
নেতা: তুমি আমার কোন জন্মের ভাইগ্না হলে। আমার তো কোনাে বােনই নেই ।
বালক: কেন, আপনিই তাে সেদিন জনসভায় ভাষণের শুরুতে বলেছিলেন, প্রিয় ভাই ও বােনেরা ।
নেতা: হ্যা বলেছি, তাতে হয়েছে কী?
বালক: ওই জনসভায় আমার মা উপস্থিত ছিলেন। আর সেদিন থেকেই তাে আপনি আমার মামা হয়েছেন।
হাসির জোকস ৬ঃ এক ভীতু শােক নদীতে গােসল করতে গেছে
ভীতু লোক: ওহে জেলে ভাই, নদীতে সাপ নেই তাে?
জেলে: না ভাই, সাপ নেই।
ভীতু লোক: তাহলে তাে নিশ্চিন্তে গােসল করা যায়।
জেলে: হ্যা, করা যায় কিন্তু সাবধানে গােসল করতে হবে।
ভীতু লােক: কেন?
জেলে: কুমির আছে। এই কুমিরই তাে সব সাপ খেয়ে শেষ করেছে।
হাসির জোকস ৭ঃ দুই বন্ধুর কথােপকথন
ছোটন: বল তো নােমান, ঘড়ি আবিষ্কার না হলে কেমন হতো?
নােমান: ভারি মজা হতাে।
হােটন: (অশ্চির্য হয়ে) ভারি মজা হতাে মানে?
নােমান: কেন, যত ইচ্ছা দেরি করে স্কুলে যেতে পারতাম।
হাসির জোকস ৮ঃ
রাস্তায় এক পথচারী এক পকেটমারকে হাতেনাতে ধরে ফোলে। তারপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, তুমি লােকটার পকেটে হাত ঢুকাচ্ছিলে কেন?
পকেটমার: জি, হিমেল হাওয়ার স্পর্শে হাত ঠাণ্ডা হয়ে যাচ্ছিল। আমার প্যান্টের তাে পকেট ছিল না,
তাই হাতটা একটু গরম করার জন্য ভদ্রলােকের পকেটে ঢুকাচ্ছিলাম।

এর আগের পোস্টগুলোতে আপনারা বেশ কিছু জোকস অনেক বেশি পছন্দ করেছেন এবং তা আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়েছেন। আপনাদের পছন্দ হওয়া জোকস গুলোর মত অনেক জোকস আমরা সংগ্রহ করেছি। আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী জোকসগুলো আমরা সংগ্রহ করার চেষ্টা করেছি। আপনি যদি আপনার জীবনে খুব বেশি কঠিন সময় পার করতে থাকেন তবে এই জোকসগুলো আপনার জীবন অনেক সহজ করে দিবে। জীবনে বাঁচতে গেলে যতটা মোটিভেশন দরকার তার সবগুলো আমাদের এই জোকস গুলোর ভেতরে পাবেন। এমন আরো জোকস চাইলে কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিন এবং আপনার সময় গুলো সুন্দর ভাবে উপভোগ করার চেষ্টা করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *