বাংলা ফেসবুক স্ট্যাটাস এবং ফেসবুক স্ট্যাটাসের টিপস
আজ অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করতে চলেছি। আমরা যে কোন টপিক নিয়ে লেখার আগে আপনাদের আগ্রহকে অনেক প্রাধান্য দিয়ে থাকি। আপনারা কেমন লেখার চান বা কোন বিষয়ে বেশি ইন্টারেস্টেড এই ব্যাপার গুলো মাথায় রেখেই আমাদের প্রতিটি লেখা আপলোড করা হয়। আমাদের ওয়েবসাইটের নিয়মিত ভিজিটরগন এই বিষয়ে অবহিত আছেন। যারা প্রতিনিয়ত আমাদের লেখা গুলো পড়ছেন তারা জানেন তাদের দৈনন্দিন জীবনে আমাদের লেখাগুলো কতটা কাজে আসে। যাই হোক কথা না বাড়িয়ে আমাদের আজকের আলোচনা শুরু করা যাক।
ফেসবুক ব্যবহার করেন না এমন মানুষ খুব কমই দেখা যায়। ছাত্র ও শিক্ষিত মানুষের মধ্যে খুব কম মানুষেরই ফেসবুকে অনাগ্রহ রয়েছে। ফেসবুকের মাধ্যমেই আমরা নানা ধরনের তথ্য তৎক্ষণাৎ পেয়ে যেতে পারি। যেকোনো সংবাদ খুব তাড়াতাড়ি ফেসবুকে প্রকাশ হয়। তাই ফেসবুক অনেক বড় একটি প্লাটফর্মে পরিণত হয়েছে।
আমাদের অনেক বন্ধুরা আছে যারা ফেসবুকে কিছু লিখতে গেলে স্বতঃস্ফূর্তভাবে লিখতে পারেন না। ফেসবুকে কিছু লেখার আগে তাদের মধ্যে অনেক জড়তা দেখা যায়। আমাদের সেইসব বন্ধুদের জন্য আমরা আজ এই লেখাটির নিয়ে আসলাম। আজ আমরা আলোচনা করব ফেসবুকে পোস্ট করার পদ্ধতি নিয়ে। আমাদের আজকের লেখা পড়ার পর আপনি খুব সহজেই সুন্দরভাবে আপনার ফেসবুক স্ট্যাটাস দিতে পারবেন।
আমাদের আজকের আলোচনায় আপনারা যা যা পাবেন
১. প্রোফাইল পিকচারের সুন্দর ক্যাপশন দেওয়া
২.আপনার বর্তমান পরিস্থিতি জানানোর উপযুক্ত স্ট্যাটাস দেওয়া
৩.মোটিভেশনাল স্পিচ দিয়ে স্ট্যাটাস লেখা
প্রোফাইল পিকচারের সুন্দর ক্যাপশন দেওয়া
প্রোফাইল পিকচার আপলোড করার সময় অনেক বন্ধুরা সঠিক ক্যাপশন খুঁজে পান না। প্রোফাইল পিকচার আপলোড করার সময় আপনাকে ভাবতে হবে আপনি যে ছবিটি তুলেছেন সেই ছবিটি কোন নির্দিষ্ট ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিনা। যদি কোনো নির্দিষ্ট ঘটনাকে কেন্দ্র করে আপনি ছবিটি তুলেছেন এবং সেই ছবি প্রোফাইল পিকচারে আপলোড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তবে আপনার ক্যাপশনটি ও সেই পরিস্থিতি মনে করিয়ে দেওয়ার মতো হতে হবে।
ধরুন আপনি ঈদে ঘুরতে গিয়ে একটা ছবি তুলেছেন এবং সেই ছবিটি প্রোফাইল পিকচারে দিতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার ক্যাপশনটি ও এমন ভাবে দিতে হবে যাতে ঈদের আমেজৎবুঝা যায়। আপনি ঘুরতে গিয়ে কোনো ছবি তুললে সেই ছবি প্রোফাইল পিকচার দেওয়ার সময় কোথায় ঘুরতে গিয়েছেন সেই স্থানের সাথে সামঞ্জস্য রেখেই ক্যাপশন দেওয়া উচিত। এছাড়া বর্তমান সময়কে মনে করানোর মত ক্যাপশন আপনি দিতে পারেন।
আপনার বর্তমান পরিস্থিতি জানানোর জন্য উপযুক্ত স্ট্যাটাস দেওয়া
মানুষ সব সময় একই অবস্থার মধ্য দিয়ে যায় না। মানুষের সময় কখনো ভাল যায় আবার কখনও কখনও মুদ্রার ঐ পিঠটা ও দেখতে হয়। আপনি যদি আপনার বর্তমান অবস্থা আপনার ফেসবুকের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে চান তাহলে আপনাকে তেমনভাবে ফেসবুক স্ট্যাটাস দিতে হবে। আপনার খারাপ সময় গেলে আপনি এমন ভাবে ফেসবুক স্ট্যাটাস লিখবেন যাতে আপনার বন্ধুরা এটি সিরিয়াসলি নিতে পারে। আপনি এক্ষেত্রে সৃষ্টিকর্তার দয়া প্রার্থনা করতে পারেন। এছাড়াও আপনার ফেসবুকের বন্ধুদের কাছে দোয়া ও শুভকামনা চাইতে পারেন।
আপনি যদি খুব ভালো অবস্থার মধ্য দিয়ে আপনার সময় কাটান এমন সময় ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিতে গেলে অবশ্যই সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞতা জানাবেন এবং আপনার আশেপাশের মানুষ যারা সব সময় আপনার বিপদে আপদে পাশে থাকে তাদেরকে কৃতজ্ঞতা জানাবেন। স্ট্যাটাস দেওয়ার সময় মাথায় রাখবেন কেউ যেন আপনার কথায় কোন কষ্ট না পায়।
মোটিভেশনাল স্পিচ দিয়ে স্ট্যাটাস লেখা
আমার আঘাত, আমার কষ্ট, আমার দুর্ভোগের চেয়েও আমি অনেক শক্তিশালী। প্রতিটি বাধাকে আমি অতিক্রম করবো।
আমি জানি রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন। রাগ নিয়ন্ত্রণে রেখে আমি সবসময় জয়ী হব।
বিনা পরিশ্রমে আবার লোভে মানুষ প্রতারণার ফাঁদে পড়ে। আমি শুধু পরিশ্রমের ফসলই ঘরে তুলবো।
সুস্থ দেহ ও প্রশান্ত মন একজন মানুষের সব থেকে বড় সম্পদ। দেহ মনকে সুস্থ রাখার জন্য আমি সবসময় নিজেকে সচেষ্ট রাখবো।
আমি প্রতিদিন ভরে মেডিটেশন করবো। মেডিটেশনের প্রশান্তি সারাদিন বয়ে বাড়াবো। ফলে আমার চিন্তা কথা সিদ্ধান্ত আচরণ সঠিক হবে।
সকল সম্ভাবনা আমার ভিতরেই রয়েছে। ব্যর্থতার ছাই থেকে আমি নির্মাণ করবো সাফল্যের প্রাসাদ।
অন্যের সাহায্যের অপেক্ষা না করে আমার যা আছে তাই নিয়ে শুরু করবো। যেখানে আছি সেখান থেকেই শুরু করবো।
কাজের জন্য রক্ত যখন ঘাম হয়ে ঝড়ে, সেই নোনা পানিতেই সাফল্যের বীজ অঙ্কুরিত হয়। কষ্টকর কাজ সম্পাদন করে আমি অমরত্ব লাভ করবো।
যে বিশ্বাস করতে পারে সে অর্জন করতে পারে। বিশ্বাস শক্তিকে বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। আমি বিশ্বাসী, সাফল্য আমারি।
আমি সত্যিকারের ধার্মিক, আমার জীবন হবে আমার ধর্মের প্রতিচ্ছবি।
জ্ঞান আমার শক্তি, সবর আমার বর্ণ, দুঃখটা আমার সঙ্গি, সাফল্য আমারই।
অনেক সময় আমরা আমাদের ছোটদের অথবা আমাদের উত্তরসূরিদের উৎসাহিত করার জন্য বিভিন্ন ধরনের মোটিভেশনাল স্পিচ দিয়ে থাকি। ফেসবুকে স্ট্যাটাসের মাধ্যমে আমরা আমাদের উত্তরসূরিদের উৎসাহ দিয়ে থাকি। এমন স্ট্যাটাস গুলো দেওয়ার সময় আমরা তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করব এবং মনের অন্তস্থল থেকে তাদের শুভকামনা জানাব। যে পথে কাজ করলে তারা খুব তাড়াতাড়ি সফল হতে পারবে সেই পথ কি হতে পারে তারা তাদের সাথে শেয়ার করব এবং তাদের পরিশ্রমী হতে উৎসাহ দিবো।
সুন্দর কথায় আমরা আমাদের স্ট্যাটাস শেয়ার করতে পারলে আমাদের বন্ধুদের কাছে নিজেকে একজন রুচিশীল মানুষ হিসেবে উপস্থাপন করতে সক্ষম হবো । তাই আমাদের পুরো লেখাটি বার বার পড়ে গুছিয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাস দিতে শিখে নিন। ফেসবুক স্ট্যাটাস দেওয়ার আরো টিপস পেতে চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে। এমন অনেক টিপস আমরা আমাদের ওয়েব সাইটে নিয়মিত থাকবো থাকবো।