15 দিনে লম্বা হওয়ার উপায়

15 দিন লম্বা হওয়ার ক্ষেত্রে খুবই অল্প একটু সময় তাই আমরা আপনাদের এই ভুল তথ্য থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করছি এবং সঠিকভাবে কোন পদ্ধতিতে অবলম্বন করে আপনি লম্বা হতে পারবেন এবং সেটা হতে কত দিন সময় লাগবে আজকের আর্টিকেলে সে সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করব। আমরা সকলেই জানি যে সঠিক উচ্চতা পেতে সকলের মন চায় তার কারণ হলো যারা একটু খাটো তারা তার থেকে লম্বা মানুষ হতে চায় আবার সেই লম্বা মানুষটি হতে চায় তার থেকে লম্বা।

আমাদের মন মানে না তাই আমরা যতটুকু লম্বা তার থেকে বেশি লম্বা হওয়ার সব সময় ইচ্ছা পোষণ করি কিন্তু আমরা এটা জানি না যে আমাদের সৃষ্টিকর্তা আমাদের সঠিক উচ্চতা দিয়ে তৈরি করেছেন। আমরা এই উচ্চতা নিয়েই যে অর্জন করতে পারব তার থেকে বেশি উচ্চতা নিয়েও ঠিক একই অর্জন করতে পারব তাহলে কেন আমরা এই উচ্চতার জন্য চিন্তায় থাকবো। চলুন আজকে জানি সঠিক উচ্চতা পাওয়ার জন্য একজন ব্যক্তি কি করতে পারে।

ছেলেমেয়েদের সঠিক উচ্চতা নিশ্চিত এ করণীয়

আপনার ছেলে মেয়েদের সঠিক উচ্চতা নিশ্চিত করার জন্য অভিভাবক হিসেবে অবশ্যই আপনার কিছু গুরু দায়িত্ব রয়েছে এবং যে দায়িত্ব গুলো আপনাকে অবশ্যই পালন করতে হবে। তবে বর্তমান যুগে কর্মজীবী অভিভাবকের ক্ষেত্রে এ জিনিসটা খুব কষ্টসাধ্য হয়ে যায় তার কারণ হলো বাবা-মা উভয়ই যখন কাজে ব্যস্ত থাকে তখন সেই সন্তানের প্রতি খেয়াল রাখা তারপর পক্ষে অনেক বেশি কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। তবে ১৮ বছর পর্যন্ত নিজের সন্তানের সঠিক দেখভাল করা আপনার একটি দায়িত্ব তাই সেটা আপনাকে ম্যানেজ করতে হবে।

সন্তানের সঠিক উচ্চতা লাভের জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সঠিক সময় সঠিক খাবার দেওয়া। আপনার সন্তান ছেলে হোক অথবা মেয়ে হোক সে যখন বয়সন্ধিকাল পার করে তখন তার শরীরের অতিরিক্ত পুষ্টি এবং অতিরিক্ত দেখভালের প্রয়োজন হয়। এই সময়টুকুতে আপনি যদি আপনার সন্তানকে সুষম খাবার দিতে পারেন এবং সঠিক পরিচর্যা করতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার সন্তানের সঠিক মেধার বিকাশ হবে এবং এর পাশাপাশি শরীর সঠিক উচ্চতা অর্জন করবে।

তাই আমাদের সব সময় এই বিষয়গুলো মনোযোগ দিতে হবে যে বিষয়গুলোতে নিজের সন্তান খুশি থাকে। আমরা সাধারণত খুব ছোটবেলা থেকে সন্তানের খাবারের প্রতি খুব যত্ন নেই কিন্তু সেই সন্তানের বয়স যখন ১২ অতিক্রম করে এবং তার যখন বয়ঃসন্ধিকাল আসে তখন কেন জানিনা তার থেকে দূরে চলে যায়। যার কারণে সন্তান কখন খাচ্ছে কি খাচ্ছে কখন ঘুমাচ্ছে কখন কি করছে খেলাধুলা করছে কিনা সে সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান খুব কম থাকে যার কারণে বাংলাদেশের সন্তান অনেক পিছিয়ে পড়ে।

বাবা-মা হিসেবে সবার প্রথমে আপনাকে বয়সন্ধিকালে নিজের সন্তানের সবার কাছে থাকতে হবে এবং সন্তানের চাওয়া পাওয়া ইচ্ছে পূরণ করতে হবে এবং তাদের সুষম খাবার ও খেলাধুলা নিশ্চিত করতে হবে। নিজের আশেপাশে লক্ষ্য করুন যে সন্তানগুলো এই সময়ে তার বাবা মাকে পাশে পেয়েছে সেই সন্তানগুলো অবশ্যই ভবিষ্যতে বড় হতে পেরেছে।

আর সন্তানদের সঠিক উচ্চতা নিশ্চিত করতে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো তাদের সঠিক মানসিক প্রশান্তি বা মানসিক দিক দিয়ে গড়ে ওঠা। তার ব্রেন এবং তার মন মানসিকতা যতটা সুন্দর হবে তার উচ্চতা বৃদ্ধি ততটাই সুন্দর হবে। এর পাশাপাশি সুসাম্য খাবার এবং সঠিক খেলাধুলা সন্তানের উচ্চতা বৃদ্ধিতে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস।

সুষম খাবারের ক্ষেত্রে আপনাকে অতিমাত্রায় খরচ করতে হবে এমন নয় অল্প খরচ ও সুষমা খাবার নিজের সন্তানকে দেওয়া যায় তাই সে বিষয়টি আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়াও খেলাধুলার ক্ষেত্রে আপনি এমন কিছু খেলাধুলাতে নিজের সন্তানকে ব্যস্ত রাখতে পারেন যেই খেলাধুলাতে শারীরিক পরিশ্রম বেশি হয় এবং যেটা ১৮ বছরের পূর্বে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং অত্যন্ত প্রয়োজনীয় জিনিস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *