ঋণ থেকে মুক্তি এবং কোটিপতি হওয়ার কুরআনী আমল

জীবনে চলার পথে অনেক সময় আমাদের অনেকের কাছ থেকে ঋণ নিতে হয়। সকলে আর্থিক অবস্থা ভালো হয় না তার কারণ হচ্ছে আমরা এই সমাজে চলতে গেলে অনেক সময় অনেক বাধার সম্মুখীন হয়। সকল বাঁধাকে উপেক্ষা করে যারা ঋণ গুলো পরিষদ করতে পারি না তাদের সব সময় অনেক চিন্তা থেকে যায়। এই চিন্তা থেকে অনেকে অনেক টেনশন করেন এবং মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন।

তবে ঋণ পরিশোধ করা আমাদের একমাত্র দায়িত্ব এবং সেই ঋণ থেকে কিভাবে মুক্ত হওয়া যায় সে সম্পর্কে আমাদের কোরআনে এবং হাদিসে যথেষ্ট দিকনির্দেশনা দেওয়া আছে। তবে আমাদের সবসময় চেষ্টা করতে হবে একটি সাধারণ জীবন যাপন করতে। আমরা সাধারণভাবে জীবন যাপন করতে পারলে আমাদের ঋণ যতটা সম্ভব কম হবে। ঋণ যত কম হবে আমাদের মানসিক চিন্তাও ততই কম হবে। তাহলে চলুন কোরআনের আলোকে এবং হাদিসের আলোকে জানাজাক কিভাবে ঋণ মুক্ত হওয়া যায়।

ঋণ মুক্ত হওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের আমল

আমরা সাধারণত যে ধরনের ঋণ নিয়ে থাকি তার বেশিরভাগই হয়ে থাকে সুদ ভিত্তিক ঋণ। আমরা সকলে অবগত আছি যে সুদ এবং ঘোষকে ইসলামের সম্পূর্ণ হারাম করা হয়েছে তাই আমাদের উচিত এই ধরনের ঋণ থেকে দূরে আসা। তবে আমরা শুধুমাত্র যে ঋণ নিয়ে থাকি সেই ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে হাদিসে একটি বিষয় উল্লেখ রয়েছে।

একবার আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু এর কাছে এক ব্যক্তি তার ঋণ পরিশোধের জন্য কিছু সাহায্য চাই। এ সময় আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু তাকে বলেন আমি কি তোমাকে কয়েকটি শব্দ শিক্ষা দেবো, যা আমাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শিক্ষা দিয়েছেন??

যদি তুমি এটা পাঠ কর, তাহলে আল্লাহই তোমার ঋণ মুক্তির ব্যাপারে দায়িত্ব নেবেন, যদি তোমার ঋণ পর্বত সমান হয়। এরপর হযরত আলী রাযিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু ওই ব্যক্তিকে নিচের দোয়াটি পড়তে বলেছিলেন:-

“আল্লা-হুম্মাকফিনী বিহালা-লিকা ‘আন হারা-মিকা ওয়া আগনিনী রিফাদ্বলিকা আম্মান সিওয়া-ক”

উপরের দোয়ার বাংলা অর্থ হচ্ছে :-হে আল্লাহ! হারামের পরিবর্তে তোমার হালাল রুজি আমার জন্য যথেষ্ট কর। আর তোমাকে ছাড়া আমাকে কারো মুখাপেক্ষি করো না এবং স্বীয় অনুগ্রহ দ্বারা আমাকে সচ্ছলতা দান করো। তিরমিজি শরীফ হাদিস নাম্বার ৩৫৬৩।

উপরের দোয়া থেকে আমরা সকলে বুঝতে পেরেছি যে এই দোয়াটি কতটি ফজিলত পূর্ণ তাই আমাদের সবসময় এই দোয়াটি করা উচিত। মনে প্রানে যখন আমরা এই দোয়ার অর্থকে বুঝতে শিখব তখন অবশ্যই আল্লাহর রহমত আমাদের উপর বর্ষিত হবে এবং আমাদেরও পর যে ঋণগুলো রয়েছে সেই ঋণ থেকে আমরা মুক্তি পেয়ে যাব।

কোটিপতি হওয়ার কোরআনী আমল

সাধারণত কোটিপতি হওয়ার কুরআনী আমল বলতে গেলে বোঝানো হয়েছে যে আপনি আপনার এই জীবনে আর্থিকভাবে সচ্ছল হওয়ার যে দোয়াগুলো করবেন সেই সম্পর্কে। আপনি এই দোয়াগুলা করলেই যে কোটিপতি হবেন এমনটিও নয় তার কারণ হলো আমরা যারা ঈমানদার আছি তাদের সাধারণত এই দুনিয়ার ওপর খুব একটা লোক নেই।

তারা এ দুনিয়াতে টাকা কামানোর জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করেনা তারা এ দুনিয়াতে পণ্য কামানোর জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করে। তবে যারা খুবই আর্থিকভাবে অসচ্ছল অবস্থায় আছেন এবং এই জীবনে অনেক বেশি কষ্ট করছেন তারা চাইলে আল্লাহর কাছে আর্থিক সচ্ছলতার জন্য দোয়া করতে পারেন। এখানে অবশ্যই আপনাকে একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে সেটি হল আপনি যদি ঈমানদার হন এবং আল্লাহর প্রিয় বান্দা হন তাহলে আপনি যে কোন সময় যে কোন দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে আর্থিক সচ্ছলতা চাইতে পারেন।

আর যত বেশি পারেন তত বেশি দান খয়রাত করবেন। সময় বুঝে দান করবেন এতে করে আপনি অল্প কিছু দান করে অনেক বেশি সওয়াব পেতে পারেন। সম্পূর্ণ রমজান মাসটি আপনি কাজে লাগাতে পারেন আপনার দানের জন্য।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *