গর্ভবতী মহিলাদের ছোট ছোট কি আমল করতে হবে

গর্ভবতী মহিলাদের বেশিরভাগ সময় বিশ্রামের মধ্যে কাটে এবং সেই বিশ্রাম এর মধ্যে যদি সে আমল করতে পারে তাহলে সেটা হয় তার এবং তার সন্তানের জন্য সবথেকে ভালো সময়। সচরাচর গর্ভে থাকা অবস্থায় সন্তান অনেক কিছু বুঝতে পারে এবং শিখতে পারে এবং আমরা যদি সেই গর্ভে থাকা অবস্থাতে সন্তানকে ইসলাম এবং কোরআন সম্পর্কে জানাতে পারি তাহলে অবশ্যই সেই সন্তান নেক সন্তান হিসেবে জন্মগ্রহণ করবে।

যে সকল মহিলারা গর্ভে সন্তান থাকা অবস্থায় শুধুমাত্র শুয়ে বসে দিন পার করেন তারা অনেকটাই সময় নষ্ট করেন। তার কারণ হলো এই মূল্যবান সময়ে আপনি যদি শুয়ে বসে থেকেও আল্লাহ তালার জিকির মনে মনে করেন অথবা আস্তাগফিরুল্লাহ পাঠ করেন সেটা আপনার এবং আপনার সন্তানের জন্য খুব ভালো একটি দিক। এছাড়াও সবসময় ইস্তেগফার এবং জিকির ও দরুদ পাঠ মাধ্যমে আপনি যতটা সুরক্ষিত থাকবেন আপনার গর্ভে থাকা সন্তান তার থেকে বেশি সুরক্ষিত থাকবে।

গর্ভবতী মায়ের আমল ও দোয়া।

সন্তান গর্ভে থাকা অবস্থায় প্রায় অধিকাংশ মায়ের নয় মাস অপেক্ষা করতে হয় এবং সেই প্রত্যেকটি মাসের জন্য বিভিন্নভাবে বিভিন্ন আমলের কথা আমরা হাদিস থেকে জানতে পেরেছি। সন্তান গর্ভে থাকা অবস্থায় প্রথম তিন মাস অর্থাৎ প্রথম মাসের সঙ্গে দ্বিতীয় মাস ও তৃতীয় মাসে গর্ভবতী মহিলারা সূরা লোকমান ও সূরা ইনশিক্বাক পড়তে পারেন। হাদিসে বলা হয়েছে যে এই সূরা দুটি পড়লে সন্তান জ্ঞানী তীক্ষ্ণ ও হেকমতওয়ালা হয় এর পাশাপাশি সকল প্রকারের ক্ষতি থেকে নিরাপদ থাকে।

এছাড়াও গর্ভবতী মহিলাদের চতুর্থ মাস থেকে ষষ্ঠ মাসের মধ্যে সূরা ইউসুফ ও আল ইমরান বেশি বেশি করে পড়তে বলা হয়েছে। এই সোনা দুটি পড়ার ফলে সন্তানের রুহানি ও জিসপানি উভয় দিক সুন্দর হয় অর্থাৎ সন্তান দেখতে যতটা সুন্দর হয় তার পাশাপাশি সন্তানের অন্তরটা তার থেকে বেশি সুন্দর হয় এবং সন্তান দিনের পথে আহ্বানকারী হয়।।

এবং গর্ভবতী মহিলাদের সপ্তম ,অষ্টম ও নবম মাসে সূরা মারিয়াম এবং মোঃ পড়তে হবে। এই সূরা দুটি যদি একজন গর্ভবতী মা নিয়মিত পাঠ করেন তাহলে অবশ্যই তার গর্ভে থাকা সন্তান পরহেজগার ও আল্লাহ ভীরু হবে এবং সুন্দর চরিত্রের অধিকারী হবে।

গর্ভবতী নারীর বিশেষ আমল

প্রত্যেকটি মা আর সন্তানের জন্য সীমাহীন কষ্ট সহ্য করে এবং তাই আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেকের মায়ের মর্যাদা বহু উপরে দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা এ সম্পর্কে বলেন “আমি মানুষকে তার মা-বাবা সম্পর্কে জোর নির্দেশ দিয়েছি, কেননা তার মা তাকে কষ্টের পর কষ্ট সয়ে পেটে বহন করেছেন আর তার দুধ ছাড়ানো হয় দুই বছরে; তুমি শোকর আদায় কর আমার এবং তোমার পিতা মাতা। আমার ওই কাছে ফিরে আসতে হবে” (সূরা লোকমান আয়াত 14)

সন্তান গর্ভে আসা নারীর জন্য কখনোই বোঝা নয় তার কারণ হলো এটা হচ্ছে তার সৌভাগ্যের ব্যাপার। তাই সব সময় এই সৌভাগ্যের বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা উচিত এবং এই সময়টুকুতে ইবাদত করা উচিত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *