জুমার দিনে বিশেষ ছয়টি আমল

প্রত্যেকটি সপ্তাহে সাত দিনের মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ এবং সব থেকে পবিত্র দিন হচ্ছে জুমা দিন। মুসলমান হিসেবে প্রত্যেককে জুম্মার দিনে বেশ গুরুত্ব রয়েছে আমাদের কাছে এবং এই জুমার দিনে আমরা এমন কিছু আমল করতে পারি যার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর প্রিয় বান্দা হতে পারি। আজকে আমরা জুমার দিনের এমন কিছু আমল নিয়ে কথা বলবো যে আমলগুলো সচরাচর আমরা খুব সহজেই করতে পারব।

এতদিন আমরা এই আমল সম্পর্কে জানতাম না তাই এই আমলগুলো সঠিক নিয়মে না করার জন্য আমরা সোয়াব থেকে বঞ্চিত হতাম। চলুন আজকে জেনে নেওয়া যাক একজন মুসলিম ঈমানদার ব্যক্তি কিভাবে জুমার দিনকে সুন্দরভাবে কাজে লাগাতে পারে তার আখিরাতের জীবনের জন্য। আখিরাতের জীবনকে সুন্দর করতে হলে আপনাকে এই গোপালের জীবনকে খুব সুন্দর ভাবে সাজাতে হবে এবং প্রত্যেকটি মুহূর্তকে আল্লাহ তাআলার আমলের মাধ্যমে ব্যস্ত রাখতে হবে।

জুমার দিনে ফজিলত ও বিশেষ আমল

জুমার দিনের ফজিলত বলে শেষ করা যাবে না তার কারণ হলো আল্লাহ তাআলা সপ্তাহে সবথেকে যে পবিত্র দিনটি রেখেছেন সেটা হচ্ছে জুমার দিন এবং এই জুমার দিনে আপনি যে আমলে করুন না কেন সেটা অত্যন্ত ফজিলত পূর্ণ হবে। ইসলামের দৃষ্টিতে পবিত্র জুমা ও জুম্মা বারের রাত দিন অপরিসীম গুরুত্বপূর্ণ সময়। আমরা অনেকেই তো জুমার দিনকে সাপ্তাহিক ঈদের দিন বলে থাকি তার কারণ হলো এটি হচ্ছে অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ একটি দিন।

আল্লাহতালা জুমার দিনকে এতটাই মোহমান্বিত করেছেন যে কোরআন শরীফের সম্পূর্ণ একটি সূরা নাযিল করেছেন ‘জুমা’ নামে। এর থেকে আমরা এর সম্পূর্ণ গুরুত্ব বুঝতে পারছি। এছাড়াও জুমার ফজিলত সম্পর্কে যদি বলতে হয় তাহলে বলতে হয় আল্লাহতালা কুরআনে এরশাদ করেছেন যে”হে মুমিনগণ! জুমার দিন যখন নামাজের আহ্বান জানানো হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে এগিয়ে এবং বেচাকেনা যাবতীয় কার্যকর্ম ছেড়ে দাও। এটা তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা জানতে।”সূরা জুমা আয়াত নাম্বার নয়।

উপরে আল্লাহ তায়ালা গো কোরআনে এটা বুঝিয়েছেন যে যখন জুমার দিনের আজান হবে তখন নিজের সকল কাজকর্ম ছেড়ে এবং দুনিয়াদারি সকল চিন্তাভাবনা ছেড়ে একজন ঈমানদার মুসলিম ব্যক্তিকে আল্লাহর স্মরণে মসজিদে দিকে এগিয়ে যেতে হবে জুমার সালাত আদায়ের জন্য। এখান থেকে আমরা জুমার ফজিলত সম্পর্কে ধারণা পাচ্ছি।

জুমার দিনের বিশেষ আমল সমূহ

জুমার দিনে অবশ্যই বিশেষ কিছু আমলের দ্বারা আপনি আপনার আমলনামাকে সাজাতে পারেন। জুমার দিনের আমল সম্পর্কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন”তোমরা জুমার দিনে আমার উপর বেশি বেশি দৌড় পাঠ করো, কেননা তোমাদের পাটকিত দরুদ আমার সামনে পেশ করা হয়।”। আবু দাউদ হাদিস নাম্বার ১৪৪৭।

উপরের হাদিসটির আলোকে যদি আমাদের বিস্তারিত আলোচনা করতে হয় তাহলে বলতে হয় যে আমাদের রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বেশি বেশি করে তার ওপর দরুদ পাঠ করতে বলেছেন জুমার দিনে। আমরা যখন জুমার দিনে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর দরুদ পাঠ করবো তখন সঙ্গে সঙ্গেই সেই আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে চলে যাবে এবং এটা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ একটি আমল।

এছাড়াও জুমার দিনের বিশেষ আমল সম্পর্কে তিরমিজি শরীফে বেশ কিছু হাদিস বর্ণনা করা হয়েছে। একটি তিরমিযী শরীফের হাদিস অনুযায়ী আমরা জানতে জানতে পেরেছি যে, যে ব্যক্তি দরুদ পাঠ করে আল্লাহ তার উপর দশটি রহমত নাযিল করবেন। সুতরাং আমাদের জুমার দিনে অন্যান্য আমলের সাথে বেশি বেশি দরুদ পাঠ করতে হবে।

এছাড়াও যে আমলগুলো আমরা নরমালি করে থাকি সেটা যদি কোরআন এবং সুন্নাহ আলোকে করে থাকে তাহলে প্রত্যেকটি কাজে জুম্মার দিনে আমলের সমান হবে। জুমার দিনের ফজরের সালাত আদায় করা থেকে শুরু করে গোসল করা এবং উত্তম সুগন্ধি মাখা এবং সুন্দর কাপড়-চোপড় মাথা থেকে শুরু করে মসজিদে যাওয়া পর্যন্ত এবং জুম্মার সালাত আদায় পর্যন্ত সব কিছুতেই কোরআন সুন্নাহর আলোকে হয়ে থাকে তাহলে প্রত্যেকটি ধাপে ধাপে আমাদের জন্য ফজিলত লিখিত আছে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *