তিন দিনের মধ্যে বিয়ে হওয়ার আমল

আমরা অনেকেই জানি যে বিয়ে আমাদের একটি অন্যতম আমল। আপনি যদি মুসলমান হিসেবে জন্মগ্রহণ করেন তাহলে অবশ্যই প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরে আপনাকে বিয়ে করতে হবে। এছাড়াও আপনি যদি বিধর্মী হিসেবে জন্মগ্রহণ করেন তাহলে যখন প্রাপ্তবয়স্ক হবেন তখন আপনাকে নিজেরজ্ঞানে ইসলাম ধর্মে আসতে হবে এবং ইসলাম ধর্মে আসার পরে সঠিক সময় অনুযায়ী বিয়ে করতে হবে।

এখানে বিয়ের বয়স ও বিধান সম্পর্কে পুরুষ এবং মেয়ে উহার ক্ষেত্রে বলা হয়েছে যদি প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে যায় তাহলে কোন রকম চিন্তা না করে বিয়ে করা। তাই অবশ্যই আপনি যদি প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে যান তাহলে কোন ধরনের চিন্তা না করে আল্লাহর আদেশ অনুযায়ী বিয়ে করবেন। এই বিয়ে সম্পর্কে বহু ভুল ধারণা মানুষের মধ্যে আছে।

অনেকে মনে করেন বিয়ে করার পরে অনেক খরচ করতে হয় এবং অনেক ঝামেলা সৃষ্টি হয় যার কারণে তার আর্থিকভাবে সচ্ছল হওয়া না পর্যন্ত বিয়ে করতে রাজি হন না। আবার অনেকেই মনে করেন বিয়ে করা অনেক বড় একটি ঝামেলার কাজ তাই তারা চিরকুমার বা চিরকুমারী থাকতে বেশি পছন্দ করেন।

তবে আমার মতে এগুলো সম্পূর্ণ আপনাদের ভ্রান্ত ধারণা এবং এগুলো সম্পূর্ণ শয়তানের ওয়াসওয়াসার মাধ্যমে আপনার বোনের ভেতর এই ধরনের খারাপ চিন্তা ভাবনা আসছে। এই থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সবার প্রথমে যে কাজটি করতে হবে সেটা হচ্ছে আপনাকে ঈমানদার হতে হবে এবং আল্লাহর প্রিয় বান্দা হতে হবে।

আপনি যখন ঈমানদার হবেন এবং নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বেন এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য আল্লাহর আমল করবেন তখন দেখবেন আপনার মনের ভেতর এমনি আলাদা একটি ভয় সৃষ্টি হবে। এবং সেই ভয় থেকে আপনার সঠিক সময়ে বিয়ে করার জ্ঞান জাগ্রত হবে এবং সেখানে আপনার আলাদা একটি সাহস অর্জন করা যাবে বিয়ে করার জন্য। তাই সবার প্রথমে নিজের আমলনামা কে বেশি বড় করার লক্ষ্যে সব সময় আমল করতে হবে এবং আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের জন্য সব সময় আমল করতে হবে।

বিয়ে করার পূর্ব প্রস্তুতি

বিয়ে করার পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে সবার প্রথমে যে কাজটি করতে হবে সেটি হচ্ছে আপনাকে প্রাপ্তবয়স্ক হতে হবে। মূলত প্রাপ্তবয়স্ক না হয়ে বিয়ে করার চাহিদা কারো ভিতরে আসে না তাই এটা একেবারে স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া তবে এখানে অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে মেয়েদের ক্ষেত্রে যেন বাল্যবিবাহ না হয়। একটি বিয়ে একটি সংসারের জন্য আল্লাহর রহমত নিয়ে আসে কিন্তু সে সংসারে যদি বাল্যবিহার কারণে একটি মেয়ের জীবনই চলে যায় তাহলে সেটা আল্লাহ পছন্দ করবেন না।

এরপরে ছেলেদের ক্ষেত্রে আর্থিকভাবে সচ্ছল হওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। এখানে যে একটি ছেলেকে কোটিপতি হতে হবে এমন কোন দিকনির্দেশনা নেই সামান্য সংসার চালানোর মতন সামর্থ্য এবং দেনমোহর নগদে দেওয়ার যোগ্যতা যদি একজন পুরুষের থাকে তাহলে অবশ্যই তাকে বিয়ে করতে হবে।

এছাড়াও মানসিকভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে তার কারণ হলো আপনি যাকে বিয়ে করছেন সে সম্পূর্ণ আপনার একান্তই নিজের কাছের মানুষ হবে তাই তাকে নিজের মনে করার জন্য মানসিক প্রস্তুতি অবশ্যই প্রয়োজন রয়েছে।

বিয়ে করার জন্য কি কি আমল করতে হবে

বিয়ে করার জন্য বেশ কিছু আমল রয়েছে সে সম্পর্কে আমরা সঠিক দিক নির্দেশনা দিয়েছি আমাদের এই ওয়েবসাইটে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন আমল আপনি করতে পারেন যেটা বিভিন্ন কোরআনের আয়াত এবং হাদিসের বর্ণনা করা আছে।

এছাড়াও সব সময় ইবাদতের মাধ্যমে নিজেকে মশগুল রাখতে হবে এবং আল্লাহর কাছে দুই হাত তুলে দোয়া করতে হবে সঠিক সময় বিয়ের জন্য। বিয়ে সম্পর্কে এবং বিয়ের আমল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন যেখানে সঠিক তথ্য আপনার জন্য অপেক্ষা করছে। আশা করছিস সকলের বিবাহ শুভ হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *