তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়ার আমল

আপনারা যারা তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়ার জন্য চেষ্টা করছেন তারা অবশ্যই এমন কিছু আমল করতে পারেন যার মাধ্যমে আপনার বিয়ের সময় এগিয়ে আসতে পারে। অবশ্য বিয়ে সম্পর্কে ইসলামের সঠিক দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং এটাও বলা হয়েছে যে বিয়ে করা একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরেও আপনি যদি বিয়ে না করেন তাহলে আপনার পাপ হবে এটা বিভিন্ন হাদিসে আমরা দেখতে পেয়েছি।

তবে বর্তমান অনেকেই প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে এতটাই ব্যস্ত থাকে যে কখন তার বিয়ের বয়স পার হয়ে গেছে সে খেয়ালই করতে পারে না। পরবর্তীতে যখন সে বিয়ে করবো বলে সিদ্ধান্ত নেয় তখন অনেক বেশি দেরি হয়ে যায় এবং তাড়াহুড়ো করে বিয়ে করা তার আর হয় না। এছাড়া অনেকেই অনেক ধরনের আর্থিক পরিস্থিতি ও অথবা পারিবারিক জটিলতার কারণে বিয়ে করতে পারে না।

তবে সকলের উদ্দেশ্যে একটি আবেদন হচ্ছে সবসময় নিজেকে এমন একটি অবস্থানে রাখা যেখানে আপনি সৃষ্টিকর্তার ওপর বেশি ভরসা রাখবেন এবং সৃষ্টিকর্তা যেভাবে আপনাকে বিয়ে করতে বলেছে সেভাবেই করবেন। তার কারণ হলো রিজিকের মালিক হচ্ছে সৃষ্টিকর্তা তাই আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না আপনার বিয়ের সঠিক সময় কোনটি।

দ্রুত বিয়ে হওয়ার বিশেষ আমল

আপনি কি জানেন সঠিক সময়ে আপনি যদি বিয়ে করেন তাহলে এটা ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত হবে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সমর্থ্য ও সময় হওয়া ব্যক্তিকে দ্রুত বিয়ের ব্যাপারে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। যারা বিয়ে করার চেষ্টা করেছেন কিন্তু উত্তম ও কল্যাণময় বিয়ে করতে পারছেন না তারা দ্রুত বিয়ে করার জন্য নিয়মিত এমন কিছু আমল করতে পারেন যেগুলো আপনাদের বিয়ে হওয়ার জন্য কাজে আসতে পারে।

সব সময় ইস্তেগফার করতে হবে। বিয়ে হওয়ার জন্য এই আমলটি আপনি মনে মনে সব সময় করতে পারেন। যথাসম্ভব বেশি বেশি এক্সপেকফার করলে আল্লাহর রহমত আপনার উপর বর্ষিত হবে এবং সেই রহমতের ফলেই আপনি খুব তাড়াতাড়ি বিয়ে করতে পারবেন।

তবে ইস্তেফা বা ক্ষমা চাওয়ার বেশ কয়েকটি নিয়ম প্রচলিত আছে। আপনি আপনার মাযহাব এবং আপনার পরিচিত নিয়ম অনুযায়ী যে কোন উপায়ে ইস্তেগফার পড়তে পারেন। তবে অবশ্যই আপনাকে ইস্তেফা পড়তে হবে বেশি বেশি করে যার মাধ্যমে আপনি আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারবেন।

পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ সালাত আদায় করতে হবে এবং দোয়া করতে হবে

আমরা সকলে অবগত আছি যে দোয়া করা যে গুরুত্বপূর্ণ এবং দোয়া কবুল হওয়ার যে সময়গুলো রয়েছে তার মধ্যে ফরজ সালাতের পরে দোয়া করার সময় দোয়া কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আপনি যদি দ্রুত বিয়ে করতে চান তাহলে অবশ্যই পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ সালাত আদায় করার পরে আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করুন এবং আল্লাহ তা’আলা অবশ্যই খুব শীঘ্রই আপনার ডাকে সাড়া দেবে।

সঠিক সময় দোয়া করা

দোয়া কবুল হওয়ার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে আপনাকে সঠিক সময় দোয়া করতে হবে। সঠিক সময়ে বলতে জুমার দিনে দোয়া করতে পারেন রাতের শেষ তৃতীয়াংশে দোয়া করতে পারেন।ফজরের ফরজ সালাত আদায়ের পর দোয়া করতে পারেন এবং সূর্যোদয় হওয়ার পরে দুই রাকাত নফল সালাত আদায়ের পরে দোয়া করলে সেই দোয়া কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

যারা রোজদার ব্যক্তি আছেন তাদের রোজা রাখা অবস্থায় ইফতারী কে সামনে রেখে দুই হাত তুলে সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া চাইলে সেই দোয়া কবুল হবে। এছাড়াও একামত এবং আযানের মধ্যবর্তী সময়ে দোয়া করলে সেই দোয়া কবুল হয় তাই সেই সময়কে কাজে লেগে আপনাকে দোয়া করতে হবে।

সব মিলিয়ে তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়াটা হচ্ছে আপনার মনের চাওয়া এবং সেই মনের চাওয়া পূরণ করতে পারে একমাত্র সৃষ্টিকর্তায়। আল্লাহ তাআলার প্রিয় বান্দা হওয়ার চেষ্টা করুন এবং যখন আপনি আল্লাহ তাআলার প্রিয় বান্দা হয়ে যাবেন তখন নিজেই অনুভব করতে পারবেন আপনি যেটা চাইছেন সেটা সঙ্গে সঙ্গে পেয়ে যাচ্ছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *