টাকা পয়সা বৃদ্ধি হওয়ার আমল

এখানে টাকা পয়সা বলতে আমরা যদি ধন-সম্পদ ভাবি তাহলে ভুল হবে। টাকা-পয়সার যে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হচ্ছে রিযিক বৃদ্ধি যেটা আমাদের সকলের কাম্য। আমরা তো সকলে অবগত আছি যে এই পৃথিবীতে যখন আমাদের রিজিক শেষ হয়ে যাবে তখন আল্লাহতালার পক্ষ থেকে একজন ফেরেশতা এসে আমাদের জান কবজ করবে এবং আমরা মারা যাব।

তাই টাকা পয়সা থেকে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো রিজিক এবং এই রিজিক বৃদ্ধিতে আল্লাহ তা’আলা আমাদের অবশ্যই কিছু আমলের কথা বলেছেন যে আমলগুলো আমরা নিয়মিত করতে পারি। আজকে আমরা কুরআন এবং হাদিসের আলোকে আলোচনা করার চেষ্টা করব রিযিক বৃদ্ধির যে আমলগুলো আছে সে আমল গুলো সম্পর্কে। আশা করবো আপনারা আমাদের সঙ্গে থাকবেন।

রিজিক বৃদ্ধির জন্য যে আমল

আমরা অবশ্যই জানি যে আল্লাহ তায়ালার যে নামগুলো রয়েছে সে নামগুলো অত্যন্ত সুন্দর নাম এবং গুণবাচক রাম এবং এই নামগুলো রয়েছে বহু ফজিলত। আমরা যদি আল্লাহতালার কাছে দোয়া প্রার্থনা করার সময় এই নামগুলো ধরে আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রার্থনা করি তাহলে অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা আমাদের কথা শুনবেন এবং আমাদের রিজিক বৃদ্ধি করবেন। ধন সম্পদ বৃদ্ধির জন্য আল্লাহ তাআলার গুণবাচক নাম গুলোর মধ্যে (আল-ওয়াজেদু) নামটি হচ্ছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এই নামের মাধ্যমে জিকিরের আমল ফজিলত হিসেবে আপনার ধন-সম্পদ বৃদ্ধি করা হবে।

একমাত্র আল্লাহ তালাই পারেন আমাদের রিযিক বৃদ্ধি করতে এবং এমন একটি আমল আছে যে আমলের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে পারবেন। সে আমলটি হলো দোয়া অর্থাৎ আমরা আল্লাহতালার কাছে দোয়া প্রার্থনার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার সিদ্ধান্তের পরিবর্তন করিয়ে দিতে পারি। আজকে আমরা জানার চেষ্টা করব হাদিসে রিজিক বৃদ্ধির সম্পর্কে কি দিকনির্দেশনা আছে।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বিভিন্ন জায়গাতে রিজিক বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন কথা উল্লেখ করেছেন এ ছাড়াও নবীজি হাদিসের বিভিন্ন আমলের কথা উল্লেখ করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন “আর যে আল্লাহকে ভয় করে, তিনি তার জন্য উত্তরণের পথ তৈরি করে দেন। এবং তিনি তাকে এমন উচ্চ থেকে রিজিক দেবেন যা সে কল্পনাও করতে পারবে না। আরজে মহান আল্লাহর উপর তাওআক্কুল করে আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট। আলো তার উদ্দেশ্য পূর্ণ করবেনই। মিস্টার আল্লাহর প্রত্যেক জিনিসের জন্য একটি সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন।” (সূরা তালাত আয়াত নাম্বার ২ এবং ৩)।

উপরের বর্ণনা থেকে আমরা পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারছি যে আল্লাহ তা’আলা তার উপর ভয় করতে বলেছেন এবং তার ওপর তাওয়াক্কুল করতে বলেছেন যার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা এমন উৎস থেকে আমাদের জন্য রিযিক সৃষ্টি করে দেবেন যে উৎসের কথা আমরা কখনো কল্পনা করতে পারি না। তবে এখানে তিনি এটাও উল্লেখ করে দিয়েছেন যে প্রত্যেকটি জিনিসের একটি সময়সীমা আছে সেই সময়ের জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।

এবং মনে মনে সব সময় ইস্তেগফার পড়লে আল্লাহতালার কাছে দোয়া করলে আল্লাহ তায়ালা আমাদের ক্ষমা করে দেবেন এবং আমাদের নসিবে যে রিজিকগুলো রয়েছে তা বৃদ্ধি করবেন এবং ধন-সম্পদ বৃদ্ধি করবেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *