তাহাজ্জুদের নামাজ পড়া আমল

তাহাজ্জুতের নামাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল এবং নফল ইবাদতের মধ্যে অন্যতম ভালো একটি ইবাদত হচ্ছে তাহাজ্জুদের নামাজ। তাহাজ্জুদের নামাজ পড়া নিয়ে কোন ধরনের মতভেদ নেই এবং এই তাহাজ্জুদের নামাজের প্রচুর ফজিলত রয়েছে যেটা যারা তাহাজ্জুদের নামাজ নিয়মিত পড়তেন তারাই কেবল জানেন। আজকে আমরা এই তাহাজ্জুদ নামাজ সম্পর্কে জানব এবং জানার চেষ্টা করব এই তাহাজ্জুদের নামাজের পরে কোন আমল আমাদের এই নামাজকে আরো ফজিলত নয় গড়ে তুলবে।

আমরা সকলেই জানি যে রাতের শেষ তৃতীয়াংশে ঘুম থেকে উঠে আল্লাহতালা সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য দুই রাকাত করে নফল ইবাদত বা নফল নামাজ আদায় করা তাহাজ্জুদের নামাজ হিসেবে ধরা হয়। তবে অবশ্যই তাহাজ্জুদের নামাজের কেরাত এবং অন্যান্য বিষয়ে কিছু আলাদা নিয়ম মানতে হয় যেগুলো আপনারা কোরআন এবং হাদিসের আলোকে মানতে পারেন। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হওয়ার আগে আমাদের প্রিয় নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর এ নামাজ পড়া অবশ্য করা হয়েছিল।

এ ঘটনা থেকে অবশ্যই আমরা বুঝতে পারছি যে তাহাজ্জুদের নামাজ কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং তিনি রাত জেগে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করতেন এবং কোরআন পাকে আল্লাহ তা’আলা প্রিয় নবীকে তাহাজ্জুদ আদায়ের নির্দেশ। হযরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে তাহাজ্জুদের উদ্দেশ্যে যখন দাঁড়াতেন তখন দোয়া পড়তেন।।

তাহাজ্জুদের নামাজের পর আমল সমূহ

তাহাজ্জুদের নামাজ আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং অত্যন্ত ফজিলত নয়। আপনি যদি সত্যিই আল্লাহ তাআলার প্রিয় বান্দা হতে চান এবং আল্লাহ তালাকে খুশি করতে চান তাহলে রাতে তৃতীয়াংশে উঠে ঘুম থেকে নামাজে দাঁড়িয়ে পড়বেন এবং আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করবেন। এই প্রসঙ্গে আল্লাহ তালা পবিত্র কুরআনে আরও বলেন “তারা সোজা ত্যাগ করে আকাঙ্ক্ষা ও আশঙ্কার সঙ্গে তাদের প্রতিপালককে ডাকে এবং আমি তাদের যে রুজি প্রদান করেছি তা থেকে তারা দান করে”(সূরা সিজদা আয়াত নাম্বার ১৬)।

অবশ্যই তাহাজ্জুদের নামাজের প্রচুর ফজিলত রয়েছে এবং আমরা যারা নিয়মিত তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ি তারা অবশ্যই বুঝতে পারে এর ফজিলত সমূহ। তাহাজ্জুদের নামাজের পরবর্তী সময়ের যদি ইবাদতের কথা বলতে হয় তাহলে তাহাজ্জুদের নামাজের পরে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ আমল বা ইবাদত হচ্ছে দোয়া করা। আপনি হয়তো জানেন দোয়া কবুল হওয়ার যে বিশেষ সময় গুলো রয়েছে তার মধ্যে তাহাজ্জুদের নামাজের পরে দোয়া করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সময় এবং বিভিন্ন হাদিসে বর্ণনা করা হয়েছে যে এই সময় দোয়া করলে আল্লাহ তা’আলা কবুল করেন।
আল কোরআনে আল্লাহ তা’আলা এরশাদ করেছেন”আল্লাহর প্রিয় বান্দা তারা যারা তাদের প্রতিপালকের দরবারে সিজদা করে এবং দাঁড়িয়ে থেকে রাত কাটিয়ে দেয়”(সূরা ফুরকান আয়াত ৬৪)। পবিত্র কোরআনে আরো বলা হয়েছে যে “নিশ্চয়ই রাতের ঘুম থেকে ওঠা মনকে দমিত করার জন্য খুব বেশি কার্যকর এবং সেসময়ের কোরান পাঠ বা জিকির খুবই যথার্থ” (সূরা মুজাম্মেল আয়াত ৬)।ওপরের দুইটি আয়াত থেকে আমরা খুব সুন্দর ভাবে তাহাজ্জুদের নামাজের ফজিলত সম্পর্কে ধারণা পাচ্ছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *