সন্তান লাভের জন্য কোরআনী আমল

সন্তান লাভ করা অত্যন্ত ভাগ্যবান এর কাজ এবং আল্লাহ তা’আলা যাদের উপর সন্তুষ্ট হন তাদের বেশি বেশি সন্তান দিয়ে থাকেন। শুধুমাত্র সন্তান লাভ করলে হবে না সেই সন্তানকে আল্লাহ তাআলার পথে পরিচালিত করতে পারলে আপনার সন্তান লাভের উদ্দেশ্য সার্থক হবে। আজকে আমরা আলোচনা করার চেষ্টা করব কোরআন এবং হাদিসের আলোকে একজন অভিভাবক কিভাবে সন্তান লাভ করতে পারেন বা কোন আমলের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলাকে খুশি করতে পারেন সন্তান লাভের জন্য।

যারা বহু বছর বিবাহ অতিক্রম হওয়ার পরেও সন্তান লাভ করতে পারেননি তাদেরকে বলব সকল দুশ্চিন্তা ঝেড়ে ফেলে আল্লাহতালার ইবাদতে মশগুল হন। আপনি যদি আপনার ইবাদত দ্বারা আল্লাহ তালাকে খুশি করতে পারেন তাহলে অবশ্যই আল্লাহ তা’আলা আপনার সকল চাওয়া পাওয়া পূরণ করবে এবং আপনাকে অভিভাবক হওয়ার ক্ষমতা দান করবে।

অনেক সন্তান পাওয়ার কুরআনে আমল ও দোয়া

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন “মহান আল্লাহর কাছে দোয়ার চেয়ে অধিক মর্যাদাপূর্ণ বিষয় আর নেই” (তিরমিজি)। আল্লাহ তাআলা নিজে কোরআন উল কারীমে তার কাছে প্রার্থনা করতে বলেছেন “তোমাদের পালনকর্তা বলেন তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব” (সূরা মুমিন আয়াত ৬০)।

উপরের হাদিস এবং ওপরে কোরআনের আয়াত থেকে আমরা একটা বিষয় একেবারে ক্লিয়ার হতে পেরেছি যে আল্লাহ তাআলাকে ডাকলে অবশ্যই আল্লাহ তা’আলা সাড়া দেবেন এবং আমরা যদি সন্তান লাভের জন্য আল্লাহ তাআলার কাছে হাত পাতি তাহলে আল্লাহতালা কখনো ফিরিয়ে দেবেন না। তবে অবশ্য এখানে চাওয়ার মত চাইতে হবে আল্লাহ তা’আলা যাতে খুশি হন এবং আল্লাহ তা’আলা যাতে আপনার উপর সন্তুষ্ট হন সেইভাবে আমল করলে অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা আপনাকে সন্তান প্রদান করবে।

সন্তান লাভের দোয়া কোরআনের আলোকে

সন্তান লাভের জন্য বিভিন্ন আয়াতে আমরা বিভিন্ন ধরনের তথ্য পেয়েছি তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো হযরত জাকারিয়া আলাই হিস সালামের নেক সন্তান পাওয়ার প্রার্থনা ছিল খুবই পছন্দনীয়। তার সেই কার্যকরী আমল ও দোয়া কবুলের কথা কুরআনুল কারীমে একাধিক স্থানে উঠে এসেছে। আল্লাহ তাআলা বলেন “আর জাকারিয়ার কথা স্মরণ করুন, যখন সে তার পালনকর্তার কাছে আহ্বান করেছিল”
তিনি আবেদন করেছিল “হে আমার পালনকর্তা! আমাকে একা রেখো না। তুমি তো উত্তম ওয়ারিশ গানের অধিকারী” (সূরা আম্বিয়া আয়াত নাম্বার ৮৯)।

আমার কাছে মনে হয় একজন নেককার সন্তান লাভের জন্য উপরে আয়াতটি যথেষ্ট তাই আপনারা যত বেশি আল্লাহ তায়ালার ইবাদত করবেন এবং আল্লাহ তালাকে সন্তুষ্ট করে আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া প্রার্থনার মাধ্যমে নেক সন্তান চাইবেন আল্লাহ তা’আলা আপনার উপর খুশি হয়ে অবশ্যই আপনাকে নেক সন্তান দান করবে।

সবসময় আল্লাহ তায়ালার হুকুম অনুযায়ী আমল করবেন এবং দোয়া কবুলের যে বিশেষ সময় গুলো রয়েছে সেই বিশেষ সময় গুলোতে দোয়া করবেন এতে করে আপনার দোয়া কবুল হওয়ার সম্ভাবনা সব থেকে বেশি থাকে। দোয়া কবুলের বিশেষ সময় সম্পর্কে আমরা সকলে কম বেশি জানি যদি না জেনে থাকি তাহলে আমাদের দেওয়া আর্টিকেল থেকে সেগুলো জানতে পারবো।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *