সন্তান লাভের আমল গুলো কি কি

সন্তান লাভের জন্য আপনারা যারা অভিভাবক রয়েছেন তারা আল্লাহ তায়ালা সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ধরনের আমল করতে পারেন। দেখা গেছে যে বর্তমানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অভিভাবকরা সন্তান লাভ করতে পারছেন না। তার বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ডাক্তারের কাছে যাওয়ার পরেও কাজ হচ্ছে না। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে মাথায় রাখতে হবে সন্তান দেওয়ার মালিক একমাত্র আল্লাহ তায়ালা।

সবার প্রথমে আল্লাহ তায়ালাকে খুশি করতে হবে এবং তিনি যদি খুশি হন তাহলে আপনার মনের চাওয়া পাওয়া তিনি পূরণ করবেন এবং আপনি যেই নেক সন্তানের আশায় ছিলেন সেই নেক সন্তান আপনাকে দেবেন। সবসময় আল্লাহ তায়ালাকে সন্তুষ্ট করতে হবে এবং আল্লাহ তায়ালাকে সন্তুষ্ট করার জন্য কোন আমল গুলো আপনি ব্যবহার করতে পারেন সে সম্পর্কে আজকের এখান থেকে আপনারা ধারণা করতে পারবেন।

সন্তান লাভের জন্য ছোট্ট আমল

আমরা সকলেই জানি যে আল্লাহ তাআলা তার প্রিয় নামগুলোকে অনেক বেশি পছন্দ করেন এবং প্রত্যেকটি নামের আলাদা আলাদা ফজিলত রয়েছে। আমরা যখন আল্লাহ তাআলার কাছে একটি নেককার সন্তান সাহেব তখন দুই হাত তুলে আল্লাহ তাআলার এই নামগুলোর যেকোনো একটি উসিলা দিয়ে আল্লাহ তায়ালার কাছে নেককার সন্তান চাইতে পারে।

আগে বলেছি আল্লাহ তায়ালার কাছে তার নাম গুলো অত্যন্ত পছন্দের নাম এবং আমরা যখন আল্লাহ তালাকে এই নামগুলো ধরে ডাকবো তখন আল্লাহ তা’আলা অনেক বেশি খুশি হবেন তার কারণ হলো এগুলো প্রত্যেকটি একটি গুণবাচক নাম এবং প্রত্যেকটি নামের আলাদা আলাদা ফজিলত রয়েছে। আলেমদের অনেকেই বলেছেন যদি কোন ব্যক্তির কোন কিছুর প্রয়োজন হয় সে ব্যক্তির চল্লিশ জুমার রাতে এক হাজারবার করে আল্লাহ তায়ালার এই পবিত্র গুণবাচক নাম “আল-আউআলু”পাঠ করলে তার সব প্রয়োজন পূর্ণ হবে।

তাহলে যদি আমাদের একটি নেককার সন্তান চাই তাহলে অবশ্যই এই ছোট্ট আমলটি আমরা করতে পারি এবং এই আমলের মাধ্যমে সন্তান সন্তানি লাভ করতে পারি। তাই সবসময় আল্লাহ তায়ালাকে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করতে হবে এবং কোরআনের নিয়ম অনুযায়ী আল্লাহতালার ইবাদত করার চেষ্টা করতে হবে এতে করে আল্লাহ তাআলা আমাদের উপর খুশি হয়ে আমাদের মনের সকল আশা পূরণ করবেন।

সন্তান লাভের জন্য একজন ব্যক্তি কি কি আমল করবে

জাকারিয়া আলাই সাল্লাম বার্ধক্য পর্যন্ত নিঃসন্তান ছিলেন। অন্যদিকে মারিয়ম আমার সালাম বায়তুল মোকাদ্দাসে তার তত্ত্বাবধানও ছিল।। একদিন তিনি দেখতে পেলেন আল্লাহ তায়ালা ফলের মৌসুম ছাড়াই মরিয়ম আঃ কে ফল দিয়ে রিজিক ব্যবস্থা করেছেন। তখন তার মনের সন্তানের জন্য শুধু আকাঙ্ক্ষা জেগে ওঠে তাই তিনি আল্লাহর দরবারে বিশেষ দোয়া করেন।”হে আমাদের প্রতিপালক! আপনার পক্ষ থেকে আমাকে ভূত পবিত্র সন্তান দান করুন। নিশ্চয় আপনি পার্থনা কবুলকারী।” (সূরা আলে ইমরান আয়াত 38)

আমরাও চাইলে তার পথ অনুসরণ করে এই আমলটির মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার কাছে সন্তান লাভের জন্য দোয়া করতে পারে এবং আশা করতে পেরে আল্লাহ তাআলা আমাদের সকল দোয়া কবুল তাড়াতাড়ি কবুল করবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *