শবে মেরাজের গুরুত্বপূর্ণ আমল ও ফজিলত হাদিসের আলোকে

শবে মেরাজ গুরুত্ব এবং ফজিলত আমরা সকলেই জানি। এটা এমন একটি রাত যে রাতে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর দিদার লাভ করেন এবং তিনি আমাদের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের হুকুম নিয়ে আসেন। তাই এই শবে মেরাজের বেশ গুরুত্ব রয়েছে আমাদের জীবনে এবং মুসলিম হিসেবে এবং মমিন ব্যক্তি হিসেবে সব সময় শবে মেরাজের আমল করা উচিত।

আজকে আমরা হাদিসের আলোকে আলোচনা করার চেষ্টা করব সবে মেরাজের গুরুত্ব ও অন্যান্য তথ্য নিয়ে। আপনারা যারা শবে মেরাজের গুরুত্ব এবং অনুব্রত সম্পর্কে অবগত হতে চাচ্ছেন তারা আমাদের এই আর্টিকেলে মনোযোগ দিন যার মাধ্যমে আপনারা সে সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন।

শবে মেরাজের ফজিলত

শবে মেরাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি রজনী এবং শবে মেরাজের ফজিলত যদি খুঁজতে হয় তাহলে সবার প্রথমে আমাদের জানতে হবে শবে মেরাজ কবে। মেরাজের যে ঘটনা ঘটেছিল সেটা বিভিন্ন ধরনের বর্ণনায় বিভিন্নভাবে পাওয়া যায়। তবে নির্বাচক সূত্রে শুধু এতোটুকুই পাওয়া গেছে যে এই মেরাজের ঘটনা হিজরতের এক বাদের বছর আগে সংগঠিত হয়েছিল।

তবে শবে মেরাজের যে ঘটনাটি ঘটেছিল সেটা রজব মাসের 26 তারিখে দিবাগত রাত। আমরা যদি শবে মেরাজ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতে চায় তাহলে সেখানে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নবুয়তের দশম বছর 620 খ্রিস্টাব্দে রজব মাসের ২৬ তারিখে দিবাগত রাতে কাবা শরীফ থেকে জেরুজালেমে উপস্থিত বায়তুল মুকাদ্দাসে গমন করেন।

এরপর সেখানে তিনি সমস্ত নবী রাসুলগণের জামাতে ইমামতি করেন অতঃপর তিনি একে একে সমস্ত আসমান পাড়ি দিয়ে সিদরাতুল মুনতাহায় গিয়ে পৌঁছান। 70 হাজার নূরের পর্দা পাড়ি দিয়ে তিনি আর সে আজিমে গিয়ে আল্লাহর দিদার লাভে ধন্য হন।এখান থেকে আমরা শবে মেরাজের ফজিলত সম্পর্কে ধারণা পাচ্ছি।

শবে মেরাজের নফল নামাজ এবং ইবাদত

আমার ওপরে উল্লেখ করলাম শবে বরাতের একটি ঘটনা যে ঘটনা আমাদের মুসলিমদের জন্য কিয়ামত তৎপর্যন্ত চলমান থাকবে। আজকে আমরা কথা বলছি শবে মেরাজের নফল ইবাদত এবং অন্যান্য আমল গুলো নিয়ে।

অবশ্যই শবে মেরাজের রাতে আমরা বিভিন্ন ধরনের নফল ইবাদত এবং আমলের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জন করার চেষ্টা করতে পারে। আমাদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তা’আলা আমাদের বিভিন্ন আমলের মাধ্যমে আমাদের আমলনামাকে পরিপূর্ণ করতে বলেছেন। যেহেতু কোরআন হাদিসের দৃষ্টিতে রজব মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তাই এই মাসে যে কোন ধরনের আমল করা অত্যন্ত ফজিলত পূর্ণ।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন”১২ মাসে এক বছর এর মধ্যে চারটি সম্মানিত। তিনটে ধারাবাহিক যথাযথ জিলহজ ও মহরম অপরটি হচ্ছে রজব”। তাহলে আমরা এখান থেকে বুঝতে পেরেছি যে রজব মাস এমনিতে অনেক তৎপর্যপূর্ণ এবং সেই রজব মাসের যে শবে মেরাজের রাত রয়েছে তা আরো বেশি তৎপর্যপূর্ণ।

রজব মাসের যে বিশেষ আমল গুলো রয়েছে তার মধ্যে বেশি বেশি রোজা রাখা একটি আমল। এছাড়াও আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে অনুসরণ করে প্রতি সোমবার এবং বৃহস্পতিবার আমরা রোজা রাখতে পারি এবং এ মাসের ১, ১০, ১৩, ১৪, ১৫, ২৯ ,৩০ তারিখ রোজা রাখি।

তবে শবে বরাতের রাতে নির্ধারিতভাবে যে আমলগুলো করতে হবে সে সম্পর্কে হাদিস এবং কুরআনে আলাদাভাবে কোন দিক নির্দেশনা নেই। তবে আপনি চাইলে এই শবে মেরাজকে স্মরণ করে কিছু নফল সালাত আদায় করতে পারেন এবং আল্লাহ তালার সন্তুষ্টি লাভের জন্য সবসময় ইবাদতে মশগুল থাকতে পারেন।

ঈমানদার মুমিন ব্যক্তিরা কখনোই সঠিক সময়ে ইবাদত করা থেকে পিছে থাকে না। আল্লাহ তাআলাকে সন্তুষ্ট করার জন্য অবশ্যই প্রত্যেকটি মুহূর্তকে কাজে লাগাতে হবে এবং আল্লাহ তা’আলা যাতে আমাদের ওপর খুশি হন সেই কাজগুলো বেশি বেশি করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *