শবে কদরের বিশেষ আমল

মুসলমানদের ইতিহাসে সবথেকে বড় মহামান্বিত রজনী এবং সব থেকে বেশি ফজিলত সম্পূর্ণ রজনীর কথা যদি বলতে হয় সেটা হচ্ছে শবে কদরের রাত। সবথেকে বড় ব্যাপার হচ্ছে এই রাতকে আল্লাহ তা’আলা আমাদের কাছে গোপন রাখতে চেয়েছেন।তিনি এত গুরুত্বপূর্ণ রাতে আমাদের কাছে গোপন রেখেছেন তার অবশ্যই কিছু উদ্দেশ্য রয়েছে। তিনি চাইলে আমাদের সামনে সেটা জানাতে পারতেন কিন্তু তিনি নবীজির কাছেও শবে কদরের সঠিক রজনী সম্পর্কে কোন তথ্য দেননি।

আল্লাহতালা হয়তো চাচ্ছেন তাঁর বান্দারা এই শবে কদরের তালাশ করুক যার মাধ্যমে এই রাত্রি আরো বেশি ফজিলত পূর্ণ হয়ে যাবে। একজন বুদ্ধিমান মুসলমান তিনি যিনি শবে কদরের রাতকে তালাশ করেন এবং রমজানের শেষ ১০ টি রাতের বিজোর রাতগুলোকে প্রত্যেকটি শবে কদরের রাত ভেবে সমান আমল করেন।

আর সব থেকে বোকা মানুষ পৃথিবীর তারাই যারা এই শবে কদরের রাত পেল এবং সেই শবে কদরের রাতে ইবাদত বা আমল না করে নিজেকে পাপ মুক্ত করল না। তাই আমাদের উচিত আল্লাহ যদি আমাদের হায়াত দেন তাহলে প্রত্যেকটি শবে কদরের রাতকে তালাশ করা।

জীবনে একটি শবে কদরের রাত যদি আপনি তালাশ করতে পারেন তাহলে আপনার পরকালের জীবন অনেক সুন্দর কাটবে এটা আমরা সকলেই জানি। কিন্তু আমরা এই শবে কদরের রাত পালনে সব সময় পিছিয়ে থাকি আশা করব আজকের আলোচনা থেকে আপনারা শবে কদরের রাত সম্পর্কে আরো অনেক কিছুই জানতে পারে।

শবে কদরের রাতের নামাজ পড়ার নিয়ম

সাধারণত বিভিন্ন ধরনের মাযহাবের বিভিন্ন ধরনের নামাজের কথা বলা হয়েছে শবে কদরের জন্য। যেহেতু এটা একটি নফল নামাজ তাই নফল নামাজের ক্ষেত্রে শবে কদরের জন্য বিশেষ কিছু দিক নির্দেশনা আছে। তবে প্রত্যেকটি বর্ণনায় নফল নামাজের ক্ষেত্রে দুই রাকাত করে নামাজ পড়ার কথা বলা হয়েছে।

তাই অবশ্যই শবে কদরের ক্ষেত্রে আপনারা যারা নামাজ পড়বেন তারা দুই রাকাত করে নফল সালাত আদায় করার চেষ্টা করবেন এবং যত বেশি সময় দিয়ে নামাজ পড়া যায় তত বেশি সময় দিয়ে নামাজ পড়ার চেষ্টা করবেন। একটি বিষয় মাথায় আনুন আপনি যদি আল্লাহ তাআলার সামনে দাঁড়িয়ে অর্থাৎ নামাজে দাঁড়িয়ে মাত্র দুইটি রাকাত নামাজ সর্বোচ্চ মনোযোগ দিয়ে পড়ে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারেন তাহলে সেটাই আপনার পরকালের জান্নাতের জন্য যথেষ্ট।

অনেকেই রয়েছেন শবে কদরের বেশি বেশি আমল করার জন্য জোরে জোরে নামাজ পড়েন এবং অনেক নামাজ পড়ার চেষ্টা করেন যেটা আমার কাছে ভুল বলে মনে হয়। এর পাশাপাশি নামাজ পড়ার সঙ্গে আপনি কোরআন তেলাওয়াত করতে পারেন যেটা আপনার কাছে খুবই সহজ একটি ব্যাপার।

তবে যারা শবে কদরের নামাজ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তারা বড় বড় আলেম এবং ওলামাদের মতামত জানতে পারেন যারা খুব সুন্দরভাবে শবে কদরের নামাজ সম্পর্কে বেশ কয়েকটি দিক নির্দেশনা দিয়েছে। এছাড়াও আপনারা চাইলে হাদীস শরীফগুলো নিয়মিত অধ্যয়ন করতে পারেন যেখানে শবে কদরের নামাজ সম্পর্কে সঠিক দিকনির্দেশনা দেওয়া আছে।

শবে কদরের বেশ কিছু আমল

শবে কদরের বেশ কিছু আমলের মধ্যে রয়েছে সঠিক সময়ে আমল শুরু করা। অবশ্যই দিনের বেলাতে আপনি রোজা থাকবেন এবং ইফতারি করার পরে ক্লান্তি আপনাকে ভর করবে।তবে আপনি যদি সঠিক ঈমানদার ব্যক্তি হয়ে থাকেন তাহলে সব ক্লান্তি ঝেড়ে ফেলে নিজেকে সর্বোচ্চ পাক-পবিত্র করে শবে কদরের ইবাদত করার জন্য বসে পড়ুন।

বাধ্যতামূলকভাবে যে মসজিদে শবে কদরের ইবাদত করতে হবে এমন নয় আপনি আপনার নিজের বাড়িতেও শবে কদরের ইবাদত করতে পারেন তবে অবশ্যই আপনি যেখানে ইবাদত করবেন সেটা যথেষ্ট পরিমাণ নীরব এবং পরিষ্কার জায়গা হতে হবে।

শবে কদরের আমলের মধ্যে নামাজ পড়া কোরআন শরীফ পাঠ করা যত বেশি ইস্তেগফার করা যায় তত বেশি ইস্তেগফার করা অন্যতম। এছাড়া শবে কদরের মোনাজাতের বেশ গুরুত্ব রয়েছে অর্থাৎ আপনি যত বেশি দোয়া করবেন শবে কদরে সেই দোয়াগুলো কবুল হওয়ার সম্ভাবনা সব থেকে বেশি থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *