শবে কদরের গুরুত্বপূর্ণ কিছু আমল

আমরা সকলে অবগত আছি যে হাজার মাস অপেক্ষা মহামান্বিত হচ্ছে শবে কদর এবং এই শবে কদরকে আমরা যদি তালাশ করতে পারি তাহলে অবশ্যই আমাদের জীবনে আর কিছুর প্রয়োজন হবে না। তার কারণ হলো শবে কদরের রাতে আমরা যা ইবাদত করব সেই ইবাদত কে হাজার মাসে তুলনায় অধিক উত্তম ইবাদত হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

তবে অবশ্যই শবে কদরের ইবাদত সম্পর্কে জানার অনেক কিছু আছে এবং বোঝার অনেক কিছু আছে। আজকে আমরা হাদিস ও সুন্দর আলোকে আলোচনা করার চেষ্টা করব শবে কদরের বিভিন্ন ধরনের আমল সম্পর্কে। আপনারা যারা আমাদের সঙ্গে থাকবেন তারা একটু কষ্ট করে আমাদের সম্পূর্ণ আর্টিকেল করবেন যার মাধ্যমে আপনারা শবে কদরের মর্যাদা এবং আমল সম্পর্কে খুব সুন্দর ভাবে জানতে পারবেন।

লাইলাতুল কদর এর মর্যাদা

যদি মর্যাদাপূর্ণ রাতের কথা বলা হয় তাহলে সবার প্রথমে থাকবে লাইলাতুল কদর এর রাত এবং কোরআনে এই রাত সম্পর্কে একটি সম্পূর্ণ সূরা নাযিল করা হয়েছে। তাই অবশ্যই এখান থেকে বোঝা যায় যে এই লাইলাতুল কদর এর মর্যাদা কতটা বৃদ্ধি করেছেন আল্লাহ তা’আলা। কোরানে উল্লেখিত আয়াত ও বিশুদ্ধ হাদিস দ্বারা শবে কদর বা শবে কদর রাতের মর্যাদা প্রমাণিত হয়েছে বারবার।

এ সম্পর্কে প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন”তোমাদের কাছে এ মাস উপস্থিত। এতে রয়েছে এমন এক রাত, যা হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। এ থেকে যে ব্যক্তি বঞ্চিত হলো সে সমস্ত কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হলো। তা থেকে বঞ্চিত হয়”(সুনানে ইবনে মাজাহ হাদিস ১৬৪৪)।

উপরে আলোচনা থেকে আমরা খুব সুন্দর ভাবে বুঝতে পেরেছি যে লাইলাতুল কদরের মর্যাদা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এখানে রমজান মাসের কথা উল্লেখ করা হয়েছে এবং রমজান মাসে যে রাত্রি রয়েছে এবং যে রাতে ইবাদত করলে হাজার মাসের অপেক্ষা উত্তম সে বিষয়ে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বর্ণনা করেছেন।

সদর কিভাবে অনুসন্ধান করতে হবে

লাইলাতুল কদর অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ বিভিন্ন বর্ণনা দিয়েছেন এর পাশাপাশি কোরআন মাজীদেও এর কিছু ধারণা দেওয়া আছে তবে সঠিকভাবে কোন রাত্রি লাইলাতুল কদরের রাত সেটা উল্লেখ করা হয়নি।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুমিনদের লাইলাতুল কদর অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন”তোমরা রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতে লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান কর” (সহি বুখারি হাদিস নাম্বার 2017)।

উপরের হাদিস থেকে আমরা খুব সুন্দর ভাবে বুঝতে পেরেছি যে লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান আমাদের কিভাবে করতে হবে। প্রতিবছর রমজান মাসে শেষ দশকের যে বিজোড় রাতগুলো রয়েছে সেই রাতগুলোকে আমাদেরকে লাইলাতুল কদর হিসাবে তালাশ করতে হবে।

তাই আমরা যদি লাইলাতুল কদর তালাশ করতে চায় তাহলে অবশ্যই এই রাতগুলোকে কোনভাবে মিস করা যাবে না। বেশিরভাগ হাদিস বিশারদরা লাইলাতুল কদর বা কদরের রমজানের শেষ দশকে রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। যে ব্যক্তি বিশুদ্ধ হাদিস রয়েছে তার মধ্যে ছয় ধরনের বর্ণনা পাওয়া যায় তবে বেশিরভাগ আলেম ওলামারা লাইলাতুল কদর এর জন্য শেষ রমজান এর দশকের মধ্যে বেজোট রাত গুলোকে অনুসন্ধান করতে বলেছেন।

লাইলাতুল কদরে যে আমল গুলো করবেন

সবার প্রথমে পবিত্রতা অর্জন করতে হবে সেটা হতে পারে আপনার শরীরের ভেতরে অথবা বাইরে এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কাপড় ও উত্তম সুগন্ধি ব্যবহার করতে হবে।

লাইলাতুল কদরের আরেকটা আমল হচ্ছে রাতের নফল ইবাদত অর্থাৎ নফল নামাজ আদায় করা এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আপনি লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান করতে পেরেছেন কিন্তু ক্ষমা প্রার্থনার মাধ্যমে আল্লাহতালার কাছ থেকে পাপ মুক্ত হতে পারলেন না এটা আপনার জন্য দুর্ভাগ্য।

সব সময় চেষ্টা করতে হবে কোরআন মাজীদ তেলাওয়াত করা তাই লাইলাতুল কদরের যদি আপনি কুরআন মাজীদ বেশি বেশি তেলাওয়াত করেন তারা আপনার উপর অনেক বেশি খুশি হবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *