শবে বরাতের আমল এবং ইবাদত কি কি

শবে বরাত আমরা ছোটবেলা থেকেই জেনে আসছি যে এই শবে বরাতের বেশ গুরুত্ব রয়েছে। শবে বরাত সম্পর্কে যদি আমাদের জানতে হয় তাহলে অবশ্যই হাদিস শরীফ এবং ইসলামের বড় বড় লেখকদের লিখিত বই সম্পর্কে ভালোভাবে ধারণ রাখতে হবে। আজকে শবে বরাতের ইবাদত সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব এবং জানার চেষ্টা করব এই ইবাদতগুলো কিভাবে করতে হবে এবং কোন আমল দ্বারা শবে বরাতের ইবাদত পরিপূর্ণ করতে হবে।

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শবেবরাতে কোন কোন আমল গুলো করতেন সেগুলো যদি আপনারা জানতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের আর্টিকেল আপনাদের কাজে আসবে। তাহলে চলুন জানার চেষ্টা করি আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শবেবরাতের দিনে কোন আমল করতেন।

শবে বরাত কত তারিখে অনুষ্ঠিত হয়

শবে বরাত মূলত ফাঁসি শব্দ এবং এর হাদিসের ভাষায় লাইলাতুল নিস্কিমিন সাবান এর মধ্য সাবানের রজনী। অর্থাৎ শাবান মাসের ১৪ তারিখের দিবাগত রাতকে শবে বরাত হিসেবে ধরা হয় এবং সকল মুসলিম উম্মাদের জন্য এই রাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং ফজিলত নয় একটি রাত।

এই রাতের ফজিলত সম্পর্কে যদি বলতে হয় তাহলে একটি হাদিস বর্ণনা করতে হবে। এবং সেই হাদিসে এসেছে যে, হযরত আয়েশা রহমাতুল্লাহি আনহা বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বলেছেন:-এই রাতে আল্লাহ ভেড়া বক্রির কসম এর সংখ্যার পরিমাণ এর চেয়েও বেশি সংখ্যক পরিমাণ গুনাহগারকে ক্ষমা করে দেন।” (তিরমিজি 739)।

উপরে আলোচনা থেকে আমরা শবে বরাতের ফজিলত সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জানতে পারলাম আশা করছি এই ফজিলতকে কাজে লাগানোর উদ্দেশ্যে আমরা শবে বরাতকে কাজে লাগাবো। নিচে জানার চেষ্টা করব শবে বরাতের নামাজ এবং অন্যান্য আমল সম্পর্কে।

শবে বরাতের ইবাদত সমূহ

শবে বরাতের ইবাদত সম্পর্কে বলতে হলে অত্যন্ত প্রসিদ্ধ একটি হাদিস সম্পর্কে বলতে হয় এবং এই হাদিসে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন “যখন সাবানের মধ্য দিবস আসবে তখন তোমরা রাতে নফল ইবাদত করবে এবং দিনে রোজা পালন করবে। ইবাদতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ইবাদত হলো নামাজ।সুতরাং নফল ইবাদতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ইবাদত হলো নফল নামাজ।” (ইবনে মাজাহ ১৩৮৪)

ভাই হাদিস যদি আমরা একটু ভালোভাবে চিন্তা করি তাহলে আমাদের প্রিয় নবী হাদিসে উল্লেখ করেছেন যে অবশ্যই শবে বরাত আসলে অর্থাৎ সাবানের মধ্য দিবস আসলে আমাদের রাতে নফল ইবাদত পালন করতে হবে এবং দিনের বেলা নফল রোজা পালন করতে হবে। এখানে তিনি আরো যুক্ত করেছেন যে ইবাদত গুলোর মধ্যে নামাজ হচ্ছে উত্তম তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি করে সেই রাতে আমাদের নামাজ পড়তে হবে এবং তার মাধ্যমে আল্লাহতালা অনেক বেশি খুশি হবেন।

তাই আপনারা শবে বরাতের রাতে দুই রাকাত নিয়তের মাধ্যমে নফল নামাজ যত বেশি তত আদায় করতে পারেন এবং অবশ্যই এই নামাজের মধ্যে কি রাতের সময় এবং সিজদার সময় যত বেশি সময় দেয়ার চেষ্টা করবেন আপনার নামাজের মনোযোগ ততই বেশি হবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *