শাওয়াল মাসের আমল

মুসলমানদের জন্য আরবি মাসগুলো বেশ গুরুত্বপূর্ণ তার কারণ হলো মুসলমানদের আরবি মাসগুলোকে কেন্দ্র করে সকল ইবাদত সাজানো হয়েছে। সে আরবি মাছগুলোর মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস হচ্ছে শাওয়াল মাস। আজকে আমরা সেই শাওয়াল মাসের ফজিলত ও আমল সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত কিছু আলোচনা করতে যাচ্ছি আশা করব আপনারা আমাদের সঙ্গে থাকবেন।

সাধারণত বিভিন্ন সময় বিভিন্ন আমলের মাধ্যমে আমরা আমাদের ইবাদতের পরিধিকে আরো প্রসিদ্ধ করতে চাই। শাওয়াল অর্থ উচু করা এবং উন্নতকরণ করা। শাওয়াল মাসের বিভিন্ন ধরনের আমল রয়েছে আজকে আমরা সেই আমল সম্পর্কে আলোচনা করব এবং জানার চেষ্টা করব শাওয়াল মাসে এই আমলগুলো করলে আমাদের কি কিছু হবে।

শাওয়াল মাসের রোজা

শাওয়াল মাসের যে রোজাগুলো আমরা পালন করি সেই রোজা সম্পর্কে হাদিসে এবং কোরআনে কি কি বিষয় উল্লেখ করা আছে আমরা হাদিস এবং কোরআনের আলোকে আপনাদের সামনে আজকে প্রাথমিকভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করছি। অবশ্যই শাওয়াল মাসের রোজা সম্পর্কে সেখানে উল্লেখযোগ্য কিছু দিকনির্দেশনা আছে যেটা মুসলমান হিসেবে আমাদের সকলের জানা উচিত।

চাওয়াল মাসের ছয়টি রোজা রাখা সুন্নত। এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের “বলেছেন যারা রমজানে রোজা পালন করবে এবং সাওয়ালে আরো ছয়টি রোজা রাখবে তারা যেন পূর্ণ বছরে রোজা পালন করল”। রমজান মাসের পরবর্তী মাসটি হচ্ছে শাওয়াল মাস এবং রমজান মাসে যারা সম্পূর্ণ ফরজ রোজাগুলো করে এসে শাওয়াল মাসে পুনরায় আবার ছয়টি রোজা করবে তাদের সাধারণত গোটা বছরে রোজার সওয়াব দেওয়া হবে। এখানে এই হাদিস গুলো পাওয়া যায় মুসলিমে 1164 নাম্বার হাদিসে এবং আবু দাউদে 2433 নাম্বার হাদিসে এবং তিরমিজিড় নাসাঈ, ইবনে মাজাহ ও সহি আলবানী নামক এই হাদিসগুলোতেও এই সম্পর্কে উল্লেখ করা আছে।

প্রতিটি নেক আমলের সব আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের জন্য কমপক্ষে ১০ গুণ করে দিয়ে থাকেন যেটা উল্লেখ করা আছে সূরা আন আমতা মেয়ের আয়াত ৬ নাম্বার এবং 160 নম্বরে। এইসবে যদি আমরা রমজান মাসের সম্পূর্ণ ফরজ রোজাগুলো করি অর্থাৎ ৩০ দিনের রোজা রাখি এবং শাওয়াল মাসে আরো ছয় দিন রোজা রাখি তাহলে আমাদের মোট রোজা হবে ৩৬ দিন। এই ৩৬ দিনকে আমরা যদি ১০ গুন করি তাহলে ৩৬০ দিন আমাদের রোজা রাখা হচ্ছে যা এক বছরের সমান।

এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেছেন”আল্লাহ তাআলা শাওয়াল মাসে ৬ দিনে আসমান ও জমিন সৃষ্টি করেছেন। সুতরাং যে ব্যক্তি এই মাসে ছয় দিন রোজা রাখবে, আল্লাহ তা’আলা তাকে প্রত্যেক সৃষ্ট জীবের সংখ্যার সমান নেকি দেবেন, সমাপন গুনাহ মুছে দেবেন এবং পরকালে তাকে উচ্চ মর্যাদা দান করবেন।

তাই এখান থেকে আমরা বুঝতে পারি যে শাওয়াল মাসের রোজা রাখাটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যাপার তাই আপনার জীবনে যদি শাওয়াল মাস আসে আর আপনি যদি সেই মাসের রোজা না রাখেন তাহলে আপনার থেকে বোকা আর কেউ নেই। শাওয়াল মাসে যে কোন সময় এ রোজা আদায় করা যায় ধারাবাহিকভাবে অথবা মাঝেমধ্যে বিরতি দিয়েও আপনি আপনার ইচ্ছেমতো এই রোজা আদায় করতে পারেন।

তবে এখানে অবশ্যই সাহরির সময় আপনাকে রোজা রাখার নিয়ত করতে হবে। ঘুমানোর আগে বা তার আগে যদি এই দিনে রোজা জিরো সংকল্প থাকে তাহলে নতুন নিয়ত না হলেও চলবে এবং সাহারি না খেলে বা না খেতে পারলেও রোজা হবে। আশা করছি আপনারা শাওয়াল মাসের রোজা সম্পর্কে এটি ভালো দিকনির্দেশনা পেল।

শাওয়াল মাসের বিভিন্ন আমল

এছাড়াও আপনারা শাওয়াল মাসে আরো কিছু আমল করতে পারেন ঠিক যেমন রমজান মাসে যেই রোজা আপনাদের কাজা হয়ে গেছে পরবর্তী মাসে সেটা আদায় করতে পারেন। রমজানের কাজা রোজা রাখার জন্য সময় সংকীর্ণ হলে তার আগে নফল রোজা রাখা বৈধ ও শুদ্ধ। আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *