ছেলে সন্তান লাভের আমল

আপনি যখন অভিভাবক হবেন তখন অবশ্যই নিজেকে অনেক বেশি গর্বিত মনে করবেন তার কারণ হলো এত বড় গুরু দায়িত্ব সবার কপালে জোটে না। এবং আপনার সন্তানকে যদি আপনি নেককার এবং ঈমানদার মুমিন সন্তান হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন তাহলে অবশ্যই আখিরাতে আল্লাহ তাআলার কাছে আপনি তার প্রিয় বান্দা হিসেবে নিজেকে পরিচয় করিয়ে দিতে পারবেন।

এক্ষেত্রে আপনার যদি একটি ছেলে সন্তান হয় তাহলে আপনি যতটা খুশি হবেন মেয়ে সন্তান হলেও আপনাকে ঠিক একই খুশি হওয়া উচিত। তার কারণ হলো আল্লাহতালা ছেলে এবং মেয়ে সন্তান উভয়কেই সমান অধিকার দিয়েছেন এবং যে ব্যক্তি মনে মনে মেয়ে সন্তান হলে মন খারাপ করে থাকে তাকে আল্লাহ তাআলা কোনভাবে পছন্দ করবেন না। এছাড়াও বিভিন্ন হাদিস শরীফে আমরা দেখেছি যে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার মেয়েদের খুব বেশি ভালোবাসছেন তাই একজন মেয়ের বাবা হওয়াটা অত্যন্ত সৌভাগ্যের বলে আমি মনে করব।

এছাড়াও যারা প্রশ্ন করেছেন ছেলে সন্তান লাভের আমল সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাদের বলব আমরা আজকে আপনাদের ছেলে সন্তান বা মেয়ে সন্তান লাভের আমল সম্পর্কে আলাদাভাবে কোন জ্ঞান দিতে পারবো না তবে আমরা আপনাদের জানাবো কিভাবে সন্তানের বা সন্তান লাভের আমল করা যায়। আল্লাহ তায়ালা কোরআন শরীফে সন্তান লাভের জন্য কোন আমলগুলো করতে পেরেছেন এবং হাদিসের মাধ্যমে সে আমল সম্পর্কে কি তথ্য দেওয়া আছে সেটা আজকে আমরা জানব।

জেনে নিন পুত্র সন্তান লাভের আমল

আল্লাহর পক্ষ থেকে দেওয়া আমাদের জন্য একটি অন্যতম নেয়ামত। সন্তান ছেলে হোক অথবা মেয়ে হোক সেটা না দেখে আমাদের দেখা উচিত আল্লাহ তায়ালা আমাদের উপর কতটা খুশি হয়ে এই রহমত নাজিল করেছেন। যারা পুত্র সন্তান চাচ্ছেন তাদের ক্ষেত্রে একটি দিকনির্দেশনা আমাদের কাছে আছে।

হযরত ইব্রাহিম আলাই সাল্লাম এর একটি দোয়া রয়েছে যেটা তিনি বৃদ্ধ বয়সে আল্লাহ তায়ালার নিকট দোয়ার মাধ্যমে সর্বত্র সন্তান লাভের উদ্দেশে করেছিলেন। বৃদ্ধ বয়সে হযরত ইব্রাহিম আলাই সালাম আল্লাহ তা’আলা নিকট দোয়া করলে সর্বত্র সন্তানের জন্য এবং আল্লাহ তা’আলা তাঁর দোয়া কবুল করলেন এবং তাকে একটি নেক পুত্র সন্তান দান করলেন বিস্তারিত এসেছে সূরা সফফাতে।

আল্লাহ তাআলা উম্মাতে মুসলিমার জন্য ইব্রাহিম আলাই সাল্লাম পুত্র সন্তান লাভের এই আবেদনটি তুলে ধরতেছেন এবং তাদের বান্দা এ দোয়ার মাধ্যমে তার নিকট সন্ধান কামনা করতে পারে সেজন্য এই দোয়াটি পাঠ করতে বলেছেন। “রাব্বি হাবলি মিনাস সলিহিন”সূরা সাফফাত, ১০০ নং আয়াত।

উল্লেখিত দুয়ার অর্থ হচ্ছে -“হে আমার লালন পালনকারী! আমাকে এক সৎপুত্র দান করুন। আমরা যদি আল্লাহ তায়ালার উদ্দেশ্যে এই দোয়াটি নিয়মিত পাঠ করে তাহলে আল্লাহ তা’আলা অবশ্যই আমাদের কথা শুনবেন এবং মনের আশা পূরণ করবেন।

এছাড়া এই দোয়া সম্পর্কে কিছু ফজিলত উল্লেখ করা হয়েছে সেটা আমরা নিচে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করছি। মূলত এখন যে সমস্যাটি সকল পৃথিবীর মানুষ উপলব্ধি করতে পারছে সেটি হচ্ছে সন্তান না হওয়ার সমস্যা। এখানে প্রধান সমস্যা হচ্ছে উপযুক্ত সময় পার হয়ে যাচ্ছে তারপরেও আমরা বিয়ে করতে চাচ্ছি না যার ফলে আমাদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হচ্ছে বিয়ের পরবর্তী সময়ে।

অতিরিক্ত মোটা শরীর থেকে শুরু করে অতিরিক্ত বয়স এবং ছোট বয়সে অনেক মেয়েদের সন্তান হতে অনেক বেশি কষ্ট হচ্ছে। বহু ডাক্তার বহু খরচা এবং দেশ ও দেশের বাইরে যাওয়ার পরেও সেই মেয়ে যদি সন্তান ধারণে সক্ষম না হয় তাহলে মানসিকভাবে অনেকটাই ভেঙে পড়ছে এবং অনেক সময় দেখা যাচ্ছে তাদের সংসার পুরোটাই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

আপনি যেটাই করুন না কেন আল্লাহ তা’আলা যদি আপনার গর্ভে সন্তান দেয় তাহলে সেটা মুহূর্তেই চলে আসবে তাই সব সময় আমাদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তাআলার উদ্দেশ্যে আমল করুন এবং সন্তান লাভের আমল গুলো বেশি বেশি করার চেষ্টা করুন। ইনশাআল্লাহ একদিন আপনিও সন্তান লাভ করতে পারবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *