সাত দিনের মধ্যে বিয়ে হওয়ার আমল

বিয়ে আমাদের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায় এবং যারা সঠিক সময়ে বিয়ে করেছেন এবং উপযুক্ত জীবনসঙ্গী পেয়েছেন তাদের জীবন অত্যন্ত রঙিন হয়েছে বলে আমরা জানতে পারি। যদিও বর্তমানে বিয়ের অভিজ্ঞতা মানুষের জীবনের অনেক তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়ে যায় তবে সবার ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য নয়। আজকে আমরা আলোচনা করব কোরআন এবং হাদিসে আমাদের বিয়ে হওয়া নিয়ে যেই গুরুত্বপূর্ণ আমল গুলোর কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেই সম্পর্কে।

অনেকেই অনেক ভাবে জানতে চেয়েছেন দ্রুত বিয়ে করার কার্যকরী আমল গুলো সম্পর্কে জানতে চান। এর পাশাপাশি অতি দ্রুত বিয়ে হওয়ার জন্য কার্যকরী আমল এর পাশাপাশি উত্তম জীবনসঙ্গী পাওয়ার জন্য কি কি আমল করতে হবে সে সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান। আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করেছি এবং হাদিসের আলোকে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করছি কি কি আমলের দ্বারা আপনি উত্তম জীবনসঙ্গী পেতে পারেন।

মনের মত বিয়ে হওয়ার আমল

মনের মত বিয়ে হওয়া এবং দ্রুত বিয়ে হওয়া নিয়ে যে আমলগুলো রয়েছে সেগুলো জানতে অবশ্যই আপনাকে আমাদের এখান থেকে তথ্যগুলো সংগ্রহ করতে হবে। যেসব যুবক ও যুবতী বিবাহর বয়স অতিক্রম করেছে কিন্তু এখন পর্যন্ত বিবাহ করতে পারছে না তাদের জন্য আছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু আমল। যারা যুবক আছে তারা ডান হাত দিয়ে বাম হাতে কব্জি চেপে ধরে এবং যুবতীরা বাম হাত দিয়ে ডানহাতের কবি চেপে ধরে প্রাপ্ত ফরজের নামাজের পর সূর্যোদয়ের আগে ৪০ বার হিসেবে চল্লিশ দিন পর্যন্ত ইয়া ফাতাহু উন্মুক্তকারী বা প্রস্তুতকারী পড়বেন।

মেয়েদের বিয়ে হওয়ার দোয়া

মেয়েদের বিয়ে হওয়া নিয়ে যে আমলগুলো রয়েছে তার মধ্যে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল হচ্ছে নিয়মিত তাজবি হে ফাতেমি পড়লে দ্রুত বিয়ে হতে পারে। তবে অনেকেই জানেন না এই তাজবিহ ফাতেমা কি আজকে আমরা আলোচনা করার চেষ্টা করব কোরআনের আলোকে তাজবি হে ফাতেমা কি এবং কিভাবে এই আমল পার্ট করলে দ্রুত বিয়ে হতে পারে।

ভালো পাত্র পাওয়ার আমল

তাজবি হে ফাতেমি কিভাবে পড়তে হবে এবং কোন আমলগুলো এর মধ্যে পড়তে হবে সেগুলো আমরা নিচে আলাদাভাবে আলোচনা করছি।

সবার প্রথমে আলহামদুলিল্লাহ ৩৩ বার পড়তে হবে। আলহামদুলিল্লাহ ৩৩ বার বরাত আসবি হে ফাতেমের একটি অংশ।

এরপরে সূরা তাওবার আয়াত তেলাওয়াত করতে হবে এটি হচ্ছে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

তাজবীহের ফাতেমের আরো একটি অংশ হচ্ছে ইস্তেগফার করা অর্থাৎ সব সময় জবানে ইস্তেগফার জারি রাখতে হবে। কেননা যে ব্যক্তি বেশি বেশি ইস্তেগফার করে সে মুস্তাজেবুদ দেওয়া হয়ে যায় এবং যার দোয়া আল্লাহ কখনো ফেরত দেন না। এই আস্তাগফিরুল্লাহ অনেকে অনেক ভাবেই পড়ে থাকেন।

এরপরে তাজবি হে ফাতেহির মধ্যে আপনি সুরা ইয়াসিন পাঠ করতে পারেন। সূরা ইয়াসিন বাটপারের একটি নিয়ম রয়েছে সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে সুরা ইয়াসিন এর মধ্যে সাতটি মোবিন আছে। প্রতিদিন সকালে যখন সূর্য পূর্ব আকাশে লাল হয়ে ওঠে তখন পশ্চিমমুখী হয়ে এই সূরা ইয়াসিন পাঠ করতে হবে এবং যখন মুবিন শব্দটি আপনি উচ্চারণ করবেন তখন হাতের শাহাদাত আঙ্গুল দিয়ে পেছনের দিকে নাড়া দিতে হবে।

ভালো বিয়ে হওয়ার দোয়া

ভালো বিয়ে হওয়ার জন্য পাত্র-পাত্রী উভয় এবং অভিভাবক উভয়ে চিন্তিত থাকেন। তার কারণ হলো জীবনের বেশিরভাগ সময় নিজের জীবনসঙ্গীর সঙ্গে অতিবাহিত করতে হয় এবং সেই জীবনসঙ্গী যদি ভালো না হয় বা মনের মত না হয় তাহলে অবশ্যই এই জীবনটুকু অনেক কষ্টে কাটাতে হবে।

অভিভাবক এবং বাবা-মা বেশি বেশি করে সূরা মরিয়ম পাঠ করতে পারেন যার ফলে আল্লাহ তাআলা আপনার মনের আশা পূরণ করতে পারে এবং অভিভাবক হিসেবে সন্তানের উত্তম পাত্র-পাত্রী খুঁজে পাওয়ার ব্যবস্থা করে দিবেন।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *