রমজানের শ্রেষ্ঠ আমল

রমজান মাস আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস এবং এই মাসে যারা সুযোগ পায় তারা প্রত্যেকটা মুহূর্ত কাজে লাগাতে পারে নিজের ভালোর জন্য। আজকে আমরা জানার চেষ্টা করব রমজান মাসের গুরুত্বপূর্ণ আমলগুলো সম্পর্কে এবং কোন আমলগুলো সব থেকে শ্রেষ্ঠ এ রমজান মাসে সে সম্পর্কে। তাহলে চলুন আমাদের এই আর্টিকেল থেকে জানা যাক রমজান মাসের শ্রেষ্ঠ আমল গুলো সম্পর্কে।

রমজান মাসে ফরজ রোজা পালন

রমজান মাস ফরজ রোজার পালনের মাস এবং এই মাসে প্রত্যেকদিন আপনাকে ফরজ রোজা পালন করতে হবে যেটা সর্বশ্রেষ্ঠ আমল। আল্লাহতালা যে ইবাদতগুলো আমাদের জন্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন তার মধ্যে শুধুমাত্র আল্লাহ তাআলার জন্য যে এবাদত আমরা করি সেটা হচ্ছে রোজা তাই আল্লাহ তাআলা রোজাদার ব্যক্তিদের অনেক বেশি পছন্দ করেন।

রমজান মাসে সময় মত ফরজ সালাত আদায় করা

শুধুমাত্র সিয়াম পালন করলে হবে না এর পাশাপাশি পাঁচ ওয়াক্ত ফরয সালাত সময়মতো আদায় করতে হবে রমজান মাসে। পুরুষদের ক্ষেত্রে অবশ্যই মসজিদে উপস্থিত হয়ে জামাতের সঙ্গে সালাত আদায় করতে হবে এবং মেয়েদের বাড়িতে নামাজ পড়তে হবে সময় মত এবং এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত এবং শ্রেষ্ঠ আমলের মধ্যে একটি।

সালাতুল তারাবির নামাজ আদায়

সালাতুল তারাবির নামাজ নিয়ে অনেক ধরনের মতভেদ রয়েছে তবে কেউই সালাতুল তারাবির নামাজ বাদ দিয়ে পড়তে বলেননি। তাই অবশ্যই আমাদের সালাতুল তারাবির নামাজ মিস করা যাবে না এবং প্রতিদিন রমজান মাসে সালাতুল তারাবির নামাজ আমাদের আদায় করতে হবে এবং এটা রমজান মাসের শ্রেষ্ঠ আমলের মধ্যে একটি। আপনি যেভাবে পড়ুন না কেন যে নিয়ম মেনে ই নামাজ আদায় করুন না কেন আপনাকে সালাতুল তারাবির নামাজ আদায় করতেই হবে।

রমজান মাসের শেষ দশকে ইতেকাফ করা

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজান মাসের শেষ দশকে অর্থাৎ নাজাতের ১০ দিনে ইতেকাফ করতেন। তবে আপনি যদি ১০ দিন এতেকাফ নাও করতে পারেন আপনি বিভিন্ন গণনার ভিত্তিতে তিন দিন অথবা সাতদিন এতেকাফ করতে পারেন। তবে অবশ্যই রমজান মাসে শ্রেষ্ঠ আমলের মধ্যে ইতেকাফ একটি এবং যে আমলটি আমরা খুব সহজেই করতে পারব।

শবে কদর তালাশ করা

শবে কদর এমন একটি রজনী যেই রজনীতে এবাদত করা হাজার মাছ অপেক্ষা বেশি ইবাদত করার সমতুল্য। কতটা হতভাগ্য এবং কতটা বোকা হলে আমরা এই রাতকে কাছে পাওয়ার পরে ইবাদত করতে পারিনা। তবে অবশ্যই এই রাত পাওয়া এতটাও সহজ নয় তার কারণ হলো আপনাকে অবশ্যই এর জন্য রমজান মাসের শেষ দশকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।

রমজান মাসের শেষ দশকের মেজর রাতগুলোতে শবে কদর তালাশ করতে হবে এবং এখন পর্যন্ত কেউ সঠিকভাবে বলতে পারেনি শবে কদর মূলত কোন রাত তাই আমরা এই দশকের প্রত্যেকটি রাত জাগবো এবং নফল ইবাদত এবং প্রত্যেকটি রাতকে সর্বোচ্চ ইবাদত দ্বারা পরিপূর্ণ করব। যাতে করে অবশ্যই শবে কদর আমাদের ভাগ্যে জোটে এবং আমরা আল্লাহ তাআলার কাছে প্রিয় বান্দা হতে পারি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *