রমজান মাসের শেষ ১০ দিনের ইবাদত

আল্লাহ তাআলা আমাদের জন্য যেই শ্রেষ্ঠ মাসটিকে ইবাদতের মাস হিসেবে দিয়েছেন সেটা হচ্ছে রমজান মাস। এই রমজান মাসের প্রত্যেকটি মুহূর্তকে আমাদের যতটা সম্ভব আল্লাহ তাআলার ইবাদতে ব্যস্ত থেকে পার করতে হবে তার কারণ হলো হতে পারে পরবর্তী রমজান আমাদের ভাগ্যের নাও জুড়তে পারে। তাই যখনই সময় পাব রমজান মাসে ইবাদত করবে এবং নিজের আমলনামা কে খুব সুন্দর ভাবে সাজাবো।

রমজানের শেষ ১০ দিন হচ্ছে নাজাতের ১০ দিন এবং এই দশদিনে আল্লাহ তায়ালা তার প্রিয় বান্দাদের জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্ত করে। তাহলে আমরা মূলত জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এবং জান্নাতে প্রবেশ করার জন্য যদি আমল করতে চায় তাহলে রমজান মাসের শেষ দিনের কোন বিকল্প নেই। আসুন আমরা রমজান মাসের শেষ দিনের গুরুত্বপূর্ণ এবং শ্রেষ্ঠ আমল গুলো সম্পর্কে জানি।

রমজান মাসের শেষ দশকের ইতেকাফ

আমরা সকলে জানি যে শেষ দশক হল নাজাতের দশক এবং এই দশকে আমরা ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে আল্লাহতালাকে খুশি করতে পারলে আল্লাহ তায়ালা জাহান্নামের আগুন থেকে আমাদের মুক্ত করবেন। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজান মাসের শেষ দশকে ইতেকাফ করতেন যেটা আমাদের জন্য সুন্নত এবং আমরা চাইলে এই আমল করতে পারি এবং আল্লাহ তা’আলা সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করতে পারি।

রমজানের শেষ দশকের রোজা

পূর্বে ২০ দিন একটানা রোজা রাখার ফলে আমরা যখন একটি প্রাপ্তির স্থানে চলে যায় তখন আল্লাহ তা’আলা আমাদের জন্য রোজা আরো বেশি কঠোর করে দেন। তার কারণ হলো আমরা এই রোজাগুলোর মাধ্যমে আল্লাহতালা সন্তুষ্ট অর্জন করতে পারি এবং এই শেষ দশ দিনে আমাদের আরো বেশি আমল করতে হবে যেটা আল্লাহ তায়ালা আমাদের করতে বলেন।

রমজানের শেষ দশকের সালাতুল তারাবি

অবশ্যই রমজানের শেষ দশকে আমাদের সালাতুল তারাবির নামাজ পড়তে হবে যেটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল অনেকেই রয়েছেন প্রথমদিকে নামাজ পড়া শুরু করেন কিন্তু বিভিন্ন ধরনের ব্যস্ততা দেখে বা অলসতা দেখিয়ে শেষ দিকে নামাজ পড়া ছেড়ে দেন। এটা খুব খারাপ একটি কাজ যেটা আল্লাহ তায়ালা সহ্য করবে না তাই অবশ্যই আপনাকে সঠিকভাবে আমল করতে হবে।

রমজান মাসের শেষ দশকের শবে কদর

হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম রাত হচ্ছে শবে কদর এবং সেই শবে কদরকে তালাশ করতে হলে আপনাকে রমজান মাসের শেষ দশকে তালাশ করতে হবে। আল্লাহতালা এই রমজান মাসে কোরআন মাজীদ নাযিল করেছেন এবং শবে কদরের রাতটাকে শুধুমাত্র তার প্রিয় বান্দা হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উম্মতের জন্য এতটা ফজিলতময় করেছেন।

রমজান মাসের শেষ দশকে আমাদের শবে কদরের তালাশ করতে হবে যেটা রমজানের সর্বোচ্চ পাওয়া এবং আমরা যদি এই শবে কদর তালাশ করতে পারি তাহলে একটি রাতের ইবাদতের বিনিময়ে আল্লাহ তায়ালা আমাদের হাজার মাস ইবাদত করার সওয়াব প্রদান করবে। এই বিশেষ আমল গুলো রমজান মাসে আমরা করতে পারি বিশেষ করে রমজান মাসের শেষ দশকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *