রজব মাসের আমল

মুসলমানদের জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ মাস হচ্ছে আরবি মাসগুলো তার কারণ হলো আরবি মাসের অনুসারে আমাদের ইবাদতগুলোকে সাজানো হয়েছে এবং ঐতিহাসিক যে দিনগুলো রয়েছে সেই দিনগুলো আরবি মাসকে কেন্দ্র করে। তাই আরবি মাস সম্পর্কে আমাদের যথেষ্ট জ্ঞান থাকা উচিত এবং আরবি মাসের প্রত্যেকটি গুরুত্বপূর্ণ দ্বীন সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে।

আমরা সকলে জানি যে আরবি মাসের তাৎপর্য বর্ণনার জন্য অনেক বড় একটি হাদিস রয়েছে এবং সে হাদীসে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন 12 মাসের বছর এবং তার মধ্যে চারটি মাস হচ্ছে সম্মানিত মাস। তিন মাস ধারাবাহিকভাবে আর তা হচ্ছে জিলকদ জিলহজ মহরম আর চতম মাসটি হলো রজব মাস,যা জমাদুল উখরা ও সাবান মাসের মধ্যবর্তী মাস (সহীহ বুখারী)।

যদি রজব মাসের তৎপর্য বর্ণনা করতে যায় তাহলে উপরে হাদিসটি আমার পক্ষে যথেষ্ট তার কারণ হলো আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন নির্ধারিত করে দিয়েছেন এই মাসের কথা তাহলে তার ওপর আর কোন কথা চলে না আমার মতে। আমাদের প্রিয় নবী এটা উল্লেখ করে দিয়েছেন কোন মাস কার জন্য ইবাদত করতে হবে তাই অবশ্যই আমাদের রজব মাসের কোন মুহূর্ত অবহেলা করা যাবে না এবং প্রত্যেকটি মুহূর্তে ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহ তালাকে খুশি করতে হবে।

রজব মাসের বিভিন্ন ধরনের ফজিলত

আল্লাহ তাআলা আল্লাহর বাণী আল কুরআন আমাদের মাঝে দিয়েছেন এবং এই আল কুরআনকে বিস্তারিত বুঝতে হলে অবশ্যই আমাদের হাজির জানতে হবে তার কারণ হলো আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে সুন্নাহ গুলো পালন করেছেন সেগুলো হাদিসের মাধ্যমে আমাদের কাছে এসেছে।

তাই সবসময় এই হাদিসগুলো আমাদের পালন করতে হবে এবং এই হাদীস অনুযায়ী যখন রজব মাস শুরু হয় তখন মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুই হাত তুলে এর দোয়া পাঠ করতেন এবং সাহাবাদের পড়তে বলতেন, আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রজবাও ওয়া শাবানাওয়াবাল্লি গণা ইলা শাহরির রমাদান”(মসনদে আহমদ)।

উপরের দোয়াটি যদি অর্থ করি সেখানে অর্থাৎ আছে “হে আল্লাহ তুমি আমাদের জন্য রজব ও সাবান মাসের বরকত দাও এবং আমাদেরকে রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দাও”। এখানে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর কাছে দোয়া চেয়েছেন যে রজব ও শাবান মাসের বরকতগুলো যেন আমাদের দেওয়া হয় এবং আমাদের যেন আগামী রমজান মাসে ইবাদত করার সৌভাগ্য হয় সেই তৌফিক দান করা হয়। আল্লাহ তাআলা যেন আমাদের সকলের এই দোয়াটি কবুল করেন এবং আল্লাহ তায়ালা যেন আমাদের রমজান মাসের আমল করার সুযোগ করে দেন।

এছাড়াও যারা মুমিন ব্যক্তি রয়েছেন এবং মুত্তাকী ব্যক্তি রয়েছেন তারা সম্বন্ধের রজব মাস থেকে পবিত্র মাহে রমজানের প্রস্তুতি নিতে থাকেন তার কারণ হলো রজব মাসের মাধ্যমে যদি মাহে রমজানের প্রস্তুতি গ্রহণ করা যায় তাহলে পবিত্র মাহে রমজান পালন করাটা অত্যন্ত সহজ হয়ে যায়। তাই অবশ্যই রজব মাসে একটি রুটিন মাফিক আমাদের ইবাদত করতে হবে এবং বেশি বেশি জিকির এবং ইস্তেগফার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার প্রিয় বান্দা হওয়ার চেষ্টা করতে হবে।

রজব মাসের বিভিন্ন তসবি ও তাহলিল

আমাদের প্রিয় নবী বলেছেন যে যে ব্যক্তি রজব মাসে ইস্তেগফার টি পাঠ করবে এবং সাদকা প্রদান করবে তার উপর মহান আল্লাহ তায়ালার রহমত ও মাগফিরাত বর্ষিত হবে আর যে ব্যক্তি উক্ত ইস্তেগফারটি ৪০০ বার পড়বে তাকে আল্লাহ তায়ালা ১০০ শহীদের সমপরিমাণ সওয়াব প্রদান করবেন।

এছাড়াও রজব মাসের তিন দিন বৃহস্পতিরা শুক্রবার শনিবার রোজা রাখা হাদিসে বর্ণিত আছে। যে ব্যক্তি হারাম মাসসমূহের যেকোনো একটিতে এর তিন দিন রোজা রাখে মহান আল্লাহ তাকে ৯০০ বছরের ইবাদতের সমপন সওয়াব প্রদান করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *