রোজার আমলসমূহ

মুসলমানদের কাছে প্রতিবছর একই মাস সবথেকে তৎপর্যপূর্ণ এবং গুরুত্বপূর্ণ। সেই মাসের নাম হচ্ছে রমজান মাস। এ রমজান মাসে আমরা যত আমল করব আমাদের আমল তত বৃদ্ধি পাবে। রমজান মাসের বিশেষ কয়েকটি আমল রয়েছে যে আমলগুলো আপনারা যদি কোরআন এবং সুন্নাহর আলোকে করেন তাহলে প্রত্যেকটি ধাপে ধাপে তার জন্য আপনারা সয়াব পাবেন।

আজকে আমরা রমজান মাসে কয়েকটি আমল সম্পর্কে আপনাদের সঙ্গে কথা বলব। ব্যক্তিগতভাবে যখন রমজান মাস আসে তখন মনে কেন জানিনা অনেক বেশি আনন্দ হয় তার কারণ হলো তখন নিজেকে অনেক বেশি ভাগ্যবান মনে হয়। আমাদের প্রত্যেকের জীবনে যখন রমজান মাস আসে সেই মাসটাকে জীবনের শেষ মাস মনে করে সর্বোচ্চ ইবাদত এবং আমলে মশগুল থাকা উচিত।

তার কারণ হলো পরবর্তী রমজান মাস আমাদের ভাগ্যে আছে কিনা সেটা আমরা কেউ বলতে পারি না। তাই রমজান মাসের প্রত্যেকটা মুহূর্তকে আল্লাহর আমলের মাধ্যমে নিজের আখিরাতে জীবনকে সুন্দর করার চেষ্টা করতে হবে। রমজান মাসে বিশেষ কিছু আমল রয়েছে যে আমলগুলো আপনারা রোজা থাকার পাশাপাশি করতে পারেন এবং নিজের আমলনামা কে আরো বেশি বড় করতে পারেন।

রমজান মাসের কয়েকটি আমল

রমজান মাসে এমন কিছু আমল আছে যে আমলগুলোর সঠিকভাবে করতে পারলে খুব অল্প আমলে আপনার আমল নামা অনেক বেশি ভারী হয়ে যাবে। চলুন আমাদের এখান থেকে জানি রমজান মাসের বেশ কিছু আমল যেগুলো আপনি চাইলেই করতে পারবেন।

যেহেতু রমজান মাস হচ্ছে সিয়ামের মাস তাই সিয়াম পালন করা হচ্ছে ফরজ একটি আমল। রমজান মাসে এই আমলটি আপনাকে করতেই হবে।

রমজান মাসের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল হচ্ছে সময় মতো নামাজ বা সালাত আদায় করা।এমনিতে আমরা জানি যে রমজান মাসে প্রত্যেকটি আমলকে 70 গুণ বাড়িয়ে দেবেন আমাদের আল্লাহতালা তাই আমরা যদি সময় মতো ফরজ সালাত গুলো আদায় করি তাহলে এই মাসের প্রত্যেকটি ফরজ সালাত আদায়ের জন্য 70 গুণ বেশি সওয়াব আমরা পাব।

রমজান মাসের আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল হচ্ছে কোরআন শেখা এবং তেলাওয়াত করা। যারা কোরআন পাঠ করতে পারেন না তাদের রমজান মাসকে কাজে লাগিয়ে সহি ভাবে কোরআন শিখতে হবে এবং সেটা বেশি বেশি করে তেলাওয়াত করতে হবে।

আপনাদের আশেপাশে যারা কোরআন পড়তে জানে না তাদেরকে সহি ভাবে কোরআন শেখানো রমজান মাসের গুরুত্বপূর্ণ ফজিলতময় একটি আমল।

সাহরি খাওয়া রমজান মাসের গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল তার কারণ হলো শাহরি খাওয়ার মাধ্যমে আপনার রোজা শুরু হয়। কখনোই ইচ্ছাকৃতভাবে সাহরি খাওয়া থেকে নিজেকে বঞ্চিত রাখবেন না।

রমজান মাসের আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল হচ্ছে তারাবির নামাজ পড়া। সালাতুল তারাবির নামাজ আপনারা যারা আদায় করেন অবশ্যই তারা নিয়মিত রমজান মাসে সালাতুত তারাবির নামাজ আদায় করবেন তার কারণ হলো এটা হচ্ছে অত্যন্ত ফজিলত একটি সালাত।

রমজান মাসের প্রত্যেকটি মুহূর্ততে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করতে হবে। এখানে আমরা প্রতি মুহূর্ত মনে মনে আলহামদুলিল্লাহ পাঠ করতে পারি যাতে আল্লাহ তা’আলা অনেক বেশি খুশি হবেন।

বেশিরভাগ রমজান মাসে ঈমানদারেরা রাত জেগে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ে তাই আমাদের উচিত তাহাজ্জুদের নামাজ কোনভাবে মিস না করা বিশেষ করে রমজান মাসে।

রমজান মাসের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হচ্ছে উত্তম চরিত্র গঠনে অনুশীলন করা। যেহেতু রমজান মাসটা মুসলমানদের জন্য মহিমান্বিত একটি মাস তাই এই মাসে নিজের চরিত্র কে কিভাবে ভালো করা যায় তার একটি অনুশীলন করে নিজেকে সচরিতবান মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা সকলের দায়িত্ব।

দাওয়াতের দিনে কাজ করা অর্থাৎ রমজান মাসে আপনি দিনের জন্য যত বেশি দাওয়াত দিতে পারবেন সেটা আপনার জন্য তত বেশি ফজিলত ময় হবে।

যাদের সামর্থ্য রয়েছে অবশ্যই তারা রমজান মাসে ওমরা পালন করতে যাবেন তার কারণ হলো এটা হচ্ছে রমজান মাসের ফজিলতপূর্ণ একটি আমল।

লাইলাতুল কদরের রাত তালাশ করা রমজান মাসের সবথেকে বড় এটি আমল যে আমল আপনি কখনোই মিস করবেন না।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *