রবিউল আওয়াল মাসের ফজিলত ও আমল

রবিউল আউয়াল মাস পর্যন্ত মহামান্বিত একটি মাস তার কারণ হলো আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই রবিউল মাসে জন্মগ্রহণ করেন। ১২ই রবিউল আউয়াল 570 খ্রিস্টাব্দে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পৃথিবীকে আলোকিত করে পৃথিবীতে এসেছিলেন। আল্লাহর সবথেকে প্রিয় বান্দা এবং আল্লাহর বন্ধু হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের পৃথিবীতে আসার কারণে আজকে আমরা তার উম্মত হতে পেরেছি।

মহানবীর উম্মত হিসেবে রবিউল আউয়াল মাসের গুরুত্ব আমাদের কাছে অনেক বেশি। তবে এই রবিউল আওয়াল মাসের ইবাদত বা আমল নিয়ে অনেকের অনেক ধরনের মত রয়েছে। আমরা আজকে চেষ্টা করব আপনাদের সামনে এমন কিছু তথ্য তুলে ধরতে যেই তথ্যগুলো থেকে আপনারা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন।

রুবেলাওয়াল মাসের বারোটি ফজিলত ও আমলের বিস্তারিত

মুসলমান হিসেবে কোন মুহূর্তকে অবহেলা করা উচিত নয় এবং সব সময় চেষ্টা করা উচিত রুবেল আউয়াল এবং অন্যান্য এই দিনগুলো ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহকে খুশি করার। রুবেল আওয়াল মাসের ১২ তারিখে মিলাদুন্নবী পালন করা হয়।

ঈদে মিলাদুন্নবী যে দিনে আমাদের প্রিয় নবী আল্লাহর প্রিয় বান্দা এবং আল্লাহর বন্ধু হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের পৃথিবীতে এসেছিলেন। তাই রবিউল আউয়াল মাসের বারো তারিখে আমরা ঈদে মিলাদুন্নবী হিসেবে পালন করি।

রবিউল আউয়াল এর ফজিলত সম্পর্কে আমরা সকলে জানতে আগ্রহী। আমরা সকলে জানি যে এটা রবিউল আওয়াল মাস হিজরি বর্ষের তৃতীয় মাস এবং হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এই মাসেই জন্মগ্রহণ করেন তাই এই মাসে মর্যাদা আরো বেশি।

আল্লাহ তায়ালাকে ভালোবাসার ব্যাপারে আল্লাহ তা’আলা সূরা আল ইমরান এর ৩১ নম্বর আয়াতে বলেছেন”হে নবী আপনি বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাসো তাহলে আমাকে অনুসরণ কর যাতে আল্লাহ তোমাদেরকে ভালোবাসেন এবং তোমাদেরকে তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেয়। আলো হলেন ক্ষমাশীল দয়াল।

প্রকৃত মুসলিম হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে হলে অবশ্যই হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম কে ভালবাসতে হবে এবং তার পথ অনুসরণ করে নিজের জীবনের প্রত্যেকটি পদক্ষেপ সাজিয়ে তুলতে হবে। এই ব্যাপারে ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহ তার কিতাবে লিখেছেন”নবীগঞ্জ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ভালোবাসা ঈমানের অঙ্গ”।

এছাড়া একজন সাহাবী আনাস রাজিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু হতে বর্ণিত হয়েছে যে”আল্লাহ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ওই সরকার শপথ! যার হাতে আমার প্রাণ, তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত কেউ পরিপূর্ণ ঈমানদার হতে পারবে না যতক্ষণ আমি তার নিকট নিজ পিতা-মাতার সন্তান এবং সকল আত্মীয়-স্বজন সকল মানুষ হতে প্রিয় না হবে।”

রুবেল আওয়াল মাসের আমলসমূহ

সাধারণত রবিউল আওয়াল মাসের আমল সম্পর্কে খুব একটা বিস্তারিতভাবে কথা বর্ণনা করা হয়নি। সূরা বাকারার ২০৭ নম্বর আয়াতে নাজিল হয়েছিল এবং আওয়াল মাসের প্রথম দিন রোজা রাখা হচ্ছে মুস্তাহাব। ৯ রবিউল আউয়াল একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন এবং এই দিনে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা এবং আল্লাহর আমল পালন করা হচ্ছে মুস্তাহাব।

এছাড়াও আমরা রবিউল আওয়াল মাসে প্রত্যেকটি মাসের মত 13 তারিখ ১৪ তারিখ এবং ১৫ তারিখে রোজা রাখতে পারি। এবং আমাদের প্রিয় নবী নিজের জন্মের দিনে রোজা রাখতেন এবং আমরা যদি তাকে অনুসরণ করতে চাই তাহলে অবশ্যই তার জন্মের দিনে আমরা রোজা রেখে তারপর অনুসরণ করতে পারি।

এবং আমাদের কর্তব্য আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতি সপ্তাহে সোমবার এবং বৃহস্পতিবার বিশেষ রোজা রাখতেন এবং তার উম্মত হিসেবে এবং তার উম্মতের বড় একটি প্রমাণ হিসাবে আমাদের প্রতি সপ্তাহে এই দুইদিন অন্তত রোজা রাখা।

আশা করছি রুবেল আওয়াল মাসের ফজিলত এবং রবিউল আউয়াল মাসে কি কি আমল করতে হবে সে সম্পর্কে প্রাথমিক একটি ধারণা আপনাদের কাছে এখন আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *