রমজানের শেষ ১০ দিনের আমল

রমজান মাস আমাদের জন্য অত্যন্ত মহামান্বিত মাস। তার কারণ হলো এই মাসেই কোরআন শরীফ নাযিল হয়েছিল। পুরো রমজান মাস চলে আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের আমল করতে পারি। রমজানের শেষ দর্শক হচ্ছে নাজাতের দিন। বিভিন্ন হাদিসের বর্ণনা করা হয়েছে যে এই শেষ দশদিনে আল্লাহ তায়ালা তার প্রিয় বান্দাদের জাহান্নামের আগুন থেকে নাজাত দান করেন বা মুক্তি দান করেন।

আজকে আমরা আলোচনা করব রমজানের শেষ দর্শকের বিভিন্ন ইবাদতের দোয়া ও আমল সম্পর্কে। এবং এই আমল গুলোর তৎপর্য ও কিভাবে এই আমল করলে আপনি আরো বেশি সওয়াব পাবেন সেই সম্পর্কে। তাই যারা রমজানের শেষ দশকের আমল সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তারা অবশ্যই আমাদের আর্টিকেল সম্পূর্ণ করবেন যেখান থেকে আপনি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ কোন তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন।

রমজানের শেষ দশকের শবে কদর তালাশ

সকলে জানে যে শবে কদর হচ্ছে হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম রজনী তাই এই শবে কদর আমাদের তালাশ করতে হবে। এবং এই শবে কদর রমজান মাসের শেষ দশকের বিজয় রাতগুলোতে রয়েছে। নাজাতের দিনগুলোতে আল্লাহতালা বান্দার জন্য নাজাতের ফায়সালা করেন। তাই এই দশকে বেশি বেশি ইবাদত বন্দেগী করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করুন।

এ সম্পর্কে হযরত আয়েশা রাযিআল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত হযরত সঃ এরশাদ করেছেন,”তোমরা রমজানের শেষ দশকের মেজর রাত্রিতে লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান করো”। সহিহ বুখারী ২০১৭ নং হাদিস।

অন্য একটি হাদিস রয়েছে রমজান মাসের লাইলাতুল কদর তালাশ নিয়ে সেটা হচ্ছে হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত, হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম রমজানের শেষ দশকে ইতিকাব করেন, এবং বলতেন তোমরা রমজানের শেষ দশকে শবে কদর তালাশ কর”। সহি বুখারী ২০২০ নাম্বার হাদিস।

রমজানের শেষ দশকের বিশেষ দুইটি আমল

উপরে আলোচনা থেকে আমরা খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছি যে রমজানের শেষ দশকে দুইটি গুরুত্বপূর্ণ আমল রয়েছে প্রথমটি হল শবে কদর তালাশ করা যেটা তালাশ করতে পারলে আমরা একটি রাতের বিনিময়ে কয়েক হাজার মাসের সওয়াব পাব।

এবং আরো একটি ইবাদত সেটা হচ্ছে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে করতেন এবং তিনি ইতেকাফ করতেন। যারা এতেকাফ সম্পর্কে অবগত আছেন তারা অবশ্যই বুঝতে পারছেন ইতেকাফ কিভাবে করতে হয় এবং রমজানের শেষ দশকে এতেকা কথাটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

রমজানের শেষ দশকের রাতের আমল

রমজান মাসের শেষ দশকের রাতগুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ আপনি কোন রাস্তায় মিস করতে চাইবেন না। যতটা সম্ভব রমজানের প্রত্যেকটি রাত এবং শেষ দশকের প্রত্যেকটি রাত জেগে জেগে আল্লাহতালার ইবাদত করার চেষ্টা করুন।

সবার প্রথমে যে কাজটি করবেন সেটি হচ্ছে কোরআন শরীফ তেলাওয়াত করবেন যত বেশি পারেন তত বেশি। কোরআন শরীফ তেলাওয়াত করলে অবশ্যই আপনি সোয়াব পাবেন এবং এটা রমজান মাস হওয়ার কারণে সেই সওয়াব কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেওয়া হবে।

এছাড়াও আপনারা চাইলে সালাতুল তারাবির নামাজ পড়বেন এবং এই সালাতুল তদবির নামাজ পড়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রমজান মাসের শেষ দশকে। তাই রমজানের শেষ দশকে সালাতুল তসবিহ নামাজ পড়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এছাড়াও রাত জেগে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়া অর্থাৎ রাতের শেষ তৃতীয়াংশে অবশ্যই তাহাজ্জুদের নামাজ পড়তে হবে। আপনারা যত বেশি তাহাজ্জুদের নামাজ পড়তে পারবেন তত বেশি আল্লাহ তায়ালার পছন্দের বান্দা হতে পারবেন।

এছাড়ো রমজান মাসের শেষ দশকের প্রত্যেকটি রাতে যত বেশি নফল ইবাদত করা যায় যেমন নফল নামাজ পড়া থেকে শুরু করে আর অন্যান্য নফল ইবাদত গুলো সেগুলো আপনাকে করতে হবে।

সব সময় আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করতে হবে এবং রমজান মাসের শেষ দশকের রাতগুলো আল্লাহতালার কাছে দোয়া করার জন্য উত্তম রাত। সিজদায় বেশিক্ষণ সময় দিন এবং সিজার তো অবস্থায় দোয়া করুন এবং আল্লাহর কাছে চোখের পানি ফেলে আল্লাহর কাছে নিজের মনের কথা এবং চাওয়া খুলে বলুন অবশ্যই আল্লাহ তা’আলা আপনাকে ফিরিয়ে দেবেনা।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *