রমজানের বিশেষ আমল

রমজান মাস হচ্ছে আমাদের জন্য সবথেকে বড় একটি সুযোগ। মুমিন ঈমানদার ব্যক্তিগন রমজান মাসে সব সময় আমল করেন আমলের মাধ্যমে নিজের আখেরাতকে আরো বেশি সুন্দর করার চেষ্টা করেন। রমজান মাসে বিভিন্ন ধরনের আমল রয়েছে তবে সবথেকে ভালো আমল করার বুদ্ধি হলে সুযোগ বুঝে সময় মত সঠিক সময় সঠিক আমল করা।

রমজান মাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আমল সম্পর্কে আমরা কথা বলব এবং এই আমল গুলো কিভাবে পালন করতে হবে কোরআন হাদিসের আলোকে আপনাদের সামনে জানানোর চেষ্টা করব। তাহলে চলুন রমজান মাসে গুরুত্বপূর্ণ আমল সম্পর্কে কিছু তথ্য জানা যাক।

রমজান মাসের গুরুত্বপূর্ণ কিছু আমল

রমজান মাসের উত্তর পূর্ণ আমল সম্পর্কে বলতে হলে সবার প্রথমে বলতে হয় সিয়ামের কথা অর্থাৎ রোজা রাখা। রমজান মাসে রোজাগুলো আল্লাহ তাআলা আমাদের জন্য ফরজ করে দিয়েছেন আর এই ফরজ কাজ আমাদের অবশ্যই করতে হবে। তাই রমজান মাসে আমলের কথা যদি বলতে হয় তাহলে সবার প্রথমে আপনাকে সিয়াম পালন করতে হবে।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ আমল হচ্ছে পাঁচ ওয়াক্ত সময়মতো সালাত আদায় করা। আপনি রোজা রাখলেন কিন্তু নামাজ পড়লেন না তাহলে আপনার সেই রোজা কোন কাজে আসবে না। আমরা সকলেই জানি যে রমজান মাসে যে রোজা আমরা পালন করি সেটা সম্পূর্ণ আল্লাহর জন্য করা একটি ইবাদত তবে আমরা সকলেই এটাও ভুলে যেতে পারি না যে নামাজ হচ্ছে বেহেস্তের চাবি তাই নামাজ ছাড়া কোনভাবেই এই রোজার মহত্ব বৃদ্ধি পাবে না।

রমজান মাসে বেশি বেশি দরুদ পাঠ করতে হবে। আপনারা যারা মনে মনে সব সময় দুরুদ পাঠ করেন তারা এই রমজান মাসে আরও বেশি দরুদ পাঠ করবেন। আপনি যত বেশি দরুদ পাঠ করবেন তত বেশি সওয়াবের অধিকারী হতে পারবেন।

রমজান মাসে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল হচ্ছে সালাতুল তারাবির নামাজ পড়া। যদিও আমাদের দেশে সালাত তারাবির নামাজের নিয়ম সম্পর্কে অনেক ধরনের মতভেদ রয়েছে তবে সব মতভেদকে ভুলে গিয়ে আপনাকে সবার প্রথমে এই নামাজ আদায় করার সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এটা এক ধরনের নফল ইবাদত যেটা আপনাকে পালন করতে হবে।

রমজান মাসের আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল হচ্ছে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়া। আমরা সকলে জানি যে আমরা রমজান মাসে যে ইবাদত করি আল্লাহ তা’আলা সেই ইবাদত এর সোয়াবকে 70 গুণ বৃদ্ধি করে দেন। এতে করে আমরা যখন রাতের শেষ তৃতীয়াংশে জেগে আল্লাহ তাআলার জন্য তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করবো অবশ্যই সেই তাহাজ্জুদের সালাতের বিনিময়ে আমাদের 70 গুণ বেশি।

রমজান মাসে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ আমল হচ্ছে সেহেরী করা। মাঝেমধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা অনিচ্ছাকৃতভাবে সেহেরী করতে পারেন না তবে যারা ইচ্ছাকৃতভাবে সেহেরী করেন না তারা রমজান মাসের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল মিস করেন। অবশ্যই সঠিক সময়ে সেহরি করতে হবে এবং রোজার নিয়ত করতে হবে।

আমরা সকলেই জানি যে সম্পূর্ণ রমজান মাসকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে যার মধ্যে প্রথম দশকে বলা হয় রহমতের এবং দ্বিতীয় দশকে বলা হয় মাগফিরাতের এবং তৃতীয় দশকে বলা হয় নাজাতের দশ দিন। আমাদের এই পুরো মাসটিকে একইভাবে তিনটি ভাগে ভাগ করে আলাদা আলাদা ভাবে আমল করতে হবে।

আমরা সকলেই অবগত আছি যে হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম রজনী হচ্ছে শবে কদর এবং রমজান মাসের শেষ দশকের অর্থাৎ নাজাতের শেষ দশকের বেজোর রাত গুলোর যেকোনো একটিতে শবে কদর তালাশ করতে হবে। রমজান মাসের বড় বড় আমল গুলোর মধ্যে শবে কদর তালাশ করা অত্যন্ত বড় একটি আমল। এমনিতেই আমরা যদি সবর কদর তালাশ করতে পারি তাহলে এই রাতে ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর প্রিয় বান্দা হতে পারব এবং একটি রাতে ইবাদত করে কয়েক হাজার মাসের সমান আমরা অর্জন করতে পারব।

এরপরে রমজান মাসের ইবাদত হিসেবে সেই সোয়াবকে আরো 70 গুণ বাড়িয়ে দেয়া হবে তাই অবশ্যই বুদ্ধিমান মুসলমান হিসেবে কোন ভাবেই আমরা শবে কদরের রাতকে মিস করতে পারি না

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *