রমজানের শেষ দশকের আমল

রমজানের শেষ দশক যেটা আল্লাহ তাআলার বান্দাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়। একটা নাম বিশ দিন সিয়াম পালনের মাধ্যমে বান্দারা চরম প্রাপ্তির জায়গাতে পৌঁছে যায় যেখানে বান্দারা আল্লাহতালার কাছে দোয়া প্রার্থনার মাধ্যমে অনেক কিছু চেয়ে নেয়। আমরা বিভিন্ন হাদিসের মাধ্যমে জানতে পেরেছি যে এই দশ দিনে আল্লাহ তায়ালা তার প্রিয় বান্দাদের জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দান করবেন।

তাহলে অবশ্যই এই ১০ দিনে আল্লাহতালার কাছে এমন কিছু প্রার্থনা করতে হবে এবং আল্লাহর জন্য এমন কিছু আমল করতে হবে যেন তিনি আমাদের প্রিয় বান্দার তালিকায় নিয়ে যান এবং জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দান করেন। কি কি আমলের মাধ্যমে একজন বান্দা নাজাতের এই দশ দিন বা রমজানের শেষ ১০ টি দিন কাজে লাগাতে পারে তার একটি প্রাথমিক ধারণা আমরা আজকে আপনাদের দেওয়ার চেষ্টা করব।

প্রথমেই বলে রাখছি আমরা সকলেই মুসলিম হিসেবে অবশ্যই রমজানের এই সহজ ১০ দিনের বেশ কিছু আমল সম্পর্কে আগে থেকেই জানে। আমাদের পক্ষ থেকে যে আমল গুলোর কথা বলা হবে সে আমলগুলোতে যদি কোন ভুল ত্রুটি থেকে থাকে অথবা এর বাইরেও যদি কোন আমল সম্পর্কে আপনাদের জ্ঞান থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে আমাদের এবং সকলকে জানানোর চেষ্টা করবেন।

রমজান মাসের শেষ দশকের আমল সমূহ

আমাদের প্রিয় নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন”রমজান মাসের প্রথম দশ দিন হলো রহমত; আর দ্বিতীয় দশদিন হলো মাগফিরাত; এবং শেষ দশ দিন হলো নাজাতের। এই বর্ণনা থেকে পরিষ্কারভাবে আমরা বুঝতে পারি যে একজন আল্লাহর বান্দা যখন প্রথম ২০ দিন সিয়াম পালন এবং আল্লাহর ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলাকে খুশি করতে পারেন শেষ ১০ দিনে এসে সে আল্লাহতালার কাছে অনেক কিছু চেয়ে নিতে পারেন।

আল্লাহ তায়ালা সেই বান্দার উপর এতটাই খুশি হন যে তিনি খুশি হয়ে সে বান্দাকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দেন। তাহলে অবশ্যই আমাদের আল্লাহকে খুশি করার মতন আমলগুলো করতে হবে যেগুলো আমরা রমজানের শেষ 10 দিনে করতে পারি।

সিয়াম পালন করা অর্থাৎ রমজানের শেষ 10 দিনে আমাদের প্রত্যেকদিন সিয়াম পালন করতে হবে। যেহেতু আমরা আগের 20 দিন সিয়াম পালন করে এসেছি তাই আশা করছি এই ১০ দিনে রোজা রাখা কারো পক্ষে খুব একটা কষ্ট হবে না বরঞ্চ এই দশ দিন রোজা রাখাটা খুবই উপভোগ করা যায়।

সঠিক সময়ে নামাজ আদায় করা অর্থাৎ রমজান মাসের শেষ দশ দিনে নামাজ আদায় করাটা আমাদের অভ্যাসে পরিণত হয়। সাধারণত যারা নিয়মিত নামাজ পড়তেন না তারা রমজান মাস আসলে নিয়মিত নামাজ পড়েন এবং যখন গত ২০ দিন তারা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ নিয়ম মেনে পড়েছেন তাহলে আগামী 10 দিন তার কাছে এই নামাজ পড়াটা একেবারেই নিয়মের মধ্যে পড়ে যায় এবং খুব সহজ হয়ে যায়।

রমজান মাসের শেষ দশ দিনের আমলের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ আমল হচ্ছে রাত জেগে নফল ইবাদত করা। রাত জেগে নফল ইবাদতের মধ্যে হতে পারে তাহাজ্জুতের নামাজ এবং সালাতুত তারাবির নামাজ। এই ইবাদতগুলো আপনি করতে পারেন প্রত্যেকটি রাত জেগে এবং রমজান মাসের শেষ ১০ দিনে আল্লাহ তায়ালার প্রিয় বান্দা এবং আল্লাহতালাকে খুশি করে জাহান্নাম থেকে নাজাত পাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে এই কাজগুলো করতেই হবে।

শেষ দশ দিনের সাত থেকে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হচ্ছে শবে কদর তালাশ করা। আমার মতে আপনারা যত বেশি শবে কদর তালাশ করবেন আপনাদের জন্য সেটা তত বেশি কাছে চলে আসবে। আল্লাহ তাআলা শবে কদরকে আমাদের সামনে প্রকাশ করতে পারতেন কিন্তু তিনি গোপন রেখেছেন তার কারণ হলো এর মর্যাদা বৃদ্ধি করার জন্য। তাই রমজানের শেষ দশকে আমাদের সব থেকে বেশি বেশি শবে কদর তালাশ করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *