রহমতের দশ দিনের আমল

আমাদের কাছে সবথেকে পবিত্র মাস হচ্ছে রমজান মাস এবং এই রমজান মাসকে আমরা যদি সঠিকভাবে কাজে লাগাতে চাই তাহলে রমজান মাসের প্রতিটি আমল সম্পর্কে আমাদের ধারণা রাখতে হবে। রমজান মাসে সাধারণত তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে প্রথম দশ দিন কে বলা হয় রহমতের দশ দিন এবং দ্বিতীয় দশ দিন কে বলা হয় মাগফিরাতের দশ দিন এবং শেষ ১০ দিন অর্থাৎ তৃতীয় দশ জনকে বলা হয় নাজাতের দশ দিন।

আজকে আমরা আলোচনা করতে যাচ্ছি রমজান মাসের প্রথম ১০ দিনের রহমত সম্পর্কে এবং এই ১০ দিনে আমরা কি কি আমল করে আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য লাভ করতে পারব সেই সম্পর্কে। আপনারা যারা বিভিন্ন কোরআন সুন্নাহ এবং হাদিসের আলোকে এই তথ্যগুলো জানতে চাচ্ছেন তারা একটু কষ্ট করে আমাদের এই ছোট্ট আর্টিকেল করতে পারেন যেখানে রমজান মাসের প্রথম ১০ দিনের আমল সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকবে।

রমজান মাসের প্রথম দশ দিনের কিছু আমল

রমজান মাস হল বুদ্ধিমান ঈমানদারদের জন্য এবং মুমিনদের জন্য রহমতের বসন্তকাল। অর্থাৎ এই মাসে রহমতের জন্য আপনি যে কোন মুহূর্তকে কাজে লাগাতে পারেন। হাদিস শরীফে এসেছে যে রমজানের প্রথম দশক হল রহমতের এবং মধ্য দশক হল মাগফেরাতের এবং শেষ দশক হল নাজাতের।

সাধারণত বলা হয়ে থাকে প্রথম দশকে আল্লাহ তা’আলা তাঁর বান্দাদের প্রতি রহমত ও দয়া বর্ষণ করতে থাকবেন। পরের দশকে আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাদের ক্ষমা করতে থাকবেন এবং তৃতীয় দশকে আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাদের জাহান্নাম থেকে নাজাত দান মুক্তি দিতে থাকবেন।

আল্লাহর রহমত ছাড়া আমাদের কোন কিছুই করা সম্ভব নয়। হিসাবের দিনে আমাদের যখন কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে তখন আমাদের পাপ এবং পূর্ণকে যখন ওজন করা হবে হয়তো আমাদের কারোই নিজের পণ্যের জোরে জান্নাতে যাওয়া সম্ভব হবে না যদি কিনা সেখানে আল্লাহর রহমত থাকে।

পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা’আলা বলেছেন”হে মুমিনগণ! তোমাদের প্রতি রোজা ফরজ করা হয়েছে, জিরো ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের প্রতি, মাসে আশা করা যায় যে তোমরা তাকওয়া অর্জন করবে।”সূরা বাকারা ১৮৩ নাম্বার আয়াত।

পবিত্র মাহে রমজানের প্রথম দশ দিনের রহমতে দোয়া

হইতে মাহে রমজান কে কেন্দ্র করে আমরা যখন আল্লাহ তায়ালার কাছে কিছু চাইব অবশ্যই আল্লাহ তা’আলা আমাদের ফিরিয়ে দেবেন না। মাহে রমজানে প্রথম ১০ দিনে অবশ্যই কিছু দোয়ার মাধ্যমে আপনারা আল্লাহর রহমত লাভ করতে পারেন।

আল্লাহতালা এমন একটি দোয়া খুব বেশি পছন্দ করেন সেটা মুসলিম উম্মার জন্য আল্লাহতালার দোয়াটি কুরআনে তুলে ধরেছেন। আমরা এই দোয়াটি পাঠ করতে পারি যেই দোয়ার অর্থ দাঁড়ায় হে আমাদের পালনকর্তা আমাদেরকে আপনার নিজের কাছ থেকে রহমত দান করুন এবং আমাদের জন্য আমাদের কাজ সঠিকভাবে পূর্ণ করুন। সূরা কাহফ আয়াত নাম্বার ১০।

আমরা রমজান মাসের প্রথম ১০ দিনে যত বেশি সম্ভব এই দোয়াটি পাঠ করব এবং এই দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা নৈকট্য অর্জনের চেষ্টা করব। আপনারা যারা প্রথম রমজান থেকে শুরু করে দশম রমজানে কোন আলাদা আমল করেন না তাদের মত বোকা কেউ নেই।

পুরোটা রমজান জুড়ে প্রত্যেকটি মুহূর্তকে কাজে লাগাতে হবে তার কারণ হলো পরবর্তী রমজান আমাদের ভাগ্যে আসে কিনা সেটা আমরা কেউ জানিনা। তাই প্রত্যেকটি মুহূর্তে আল্লাহ তায়ালার আমল করতে হবে মনে প্রাণে আল্লাহকে ডাকতে হবে। কোনভাবে ফরজ রোজা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে না এবং রমজান মাসের প্রত্যেকটি আমল এবং প্রত্যেককে ফরজ কাজ খুব সুন্দরভাবে পালন করতে হবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *