পছন্দের মানুষকে বিয়ে করার আমল

আমাদের জীবনে বিয়ে একটি অপরিহার্য জিনিস এবং যারা এই বিয়ে করেছে তারা সম্পূর্ণ জীবন যাপন করতে পেরেছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে অল্প সংখ্যক মানুষই কেবল বিয়ে ছাড়া মৃত্যুবরণ করেছেন। তবে আপনার যদি প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই সঠিক সময় বিয়ে করে নেওয়া উচিত। আপনি সঠিক সময়ে বিয়ে করলে সৃষ্টিসহকর্তা আপনার ওপর রহমত নাযিল করে।

তবে বর্তমানে বিয়ে নিয়ে অনেক ঘটনা আমরা ঘটতে দেখেছি। আজকে আমরা কথা বলবো পছন্দের মানুষকে বিয়ে করার জন্য যে বিশেষ আমলগুলো মুসলমানদের জন্য আছে সেই সম্পর্কে। মূলত পছন্দের মানুষ সম্পর্কে এখানে অনেক ধরনের প্রশ্ন হতে পারে। বর্তমান আধুনিক যুগে পছন্দের মানুষকে অনেকভাবে সংজ্ঞায়িত করা যায়। তবে সাধারণত পছন্দের মানুষ বলতে এখানে বোঝানো হয়েছে আপনি কাউকে পছন্দ করেন এবং তাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেতে চান এরকম কিছু।

তবে অবশ্যই এই ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যদি এই পছন্দের মানুষকে বিয়ের আগেই আপনি বেশি ভালোবেসে ফেলেন এবং তার সঙ্গে বেশি সম্পর্ক করে ফেলেন তাহলে সেটা হতে পারে মহাপাপ। তাই সব সময় নিজেকে কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে গড়ে তোলার চেষ্টা করুন। আপনি যদি ছেলে হন এবং একটি মেয়েকে পছন্দ করেন তাহলে তাকে পছন্দ করার পরেই তার বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব পাঠান। আপনি যদি একজন মেয়ে হন এবং ছেলেকে পছন্দ করেন তাহলে নিজের বাবা-মার কাছে আপনার পছন্দের কথা বলুন।

বর্তমানে একে অপরকে পছন্দ করে যে সম্পর্কে আমরা জড়াচ্ছি যেটাকে আমরা ভালোবাসা বলে সেটা অত্যন্ত বাজে একটি স্বভাব। যার মাধ্যমে আমরা দিন দিন আরো বেশি নিচের দিকে নেমে যাচ্ছি এবং এই ভালোবাসার কারণে আমরা আমাদের পরিবার এবং সবকিছু বিসর্জন দিচ্ছি পরিশেষে সে ভালোবাসাটাকেও হারাচ্ছি। ইসলাম আমাদের জীবন চালানোর জন্য একটি সরল পথ দেখিয়ে দিয়েছেন যেই পথ অনুসরণ করলে আশা করছি আমাদের জীবনে দুর্যোগ খুব কমই আসবে। চলুন আজকে জানি পছন্দের মানুষকে বিয়ে করতে হলে কি কি আমল আপনি করতে পারেন।

প্রিয় মানুষকে বিয়ে করার আমল

প্রথম কথা হচ্ছে অনেকে প্রশ্ন করেন প্রিয় মানুষ বলতে কি বোঝানো হয়েছে ইসলাম এবং কাউকে বিয়ের আগে পছন্দ করা যাবে কিনা। এখানে বিভিন্ন হাদিস থেকে আমরা জানতে পেরেছি যে অবশ্যই বিয়ের আগে কাউকে পছন্দ করা যাবে তবে পছন্দ পর্যন্তই শেষ। এই পছন্দের মানুষকে পেতে হলে আপনাকে কিছু আমল করতে হবে যেটা আজকে আমরা আপনাদের জানাবো।

নিজেকে নেককার এবং ঈমানদার হিসেবে গড়ে তোলা এবং আল্লাহর প্রিয় বান্দা হওয়া। আমরা সকলেই জানি যে আল্লাহ তার প্রিয় বান্দার সকল কথা শুনেন এবং সেই প্রিয় বান্দা যা চায় তাই দেন। তাই ইসলামের আলোকে আপনি যদি আল্লাহর কাছে একটি প্রিয় বান্দা হতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনি যখন আল্লাহর কাছে দুই হাত তুলে নিজের পছন্দের মানুষটিকে জীবনসঙ্গী হিসেবে চাইবেন তাহলে সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহ তায়ালা আপনার দোয়াটি কবুল করবে।

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে হবে অর্থাৎ আপনি যখন দোয়াটি করবেন তার পূর্বে যদি আপনি পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ সালাত আদায় করেন তাহলে সেই দোয়ার শক্তি আরও বেশি শক্তিশালী হবে। এতে করে অবশ্যই আপনারা আপনার প্রিয়জন পেতে এক ধাপ এগিয়ে যাবেন।

ইসলামী শরিয়া মোতাবেক বিয়ে করতেই হবে এবং আপনি যদি বিয়ে করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার পছন্দের মানুষকে বিয়ে করবেন। ইসলামে বিয়ের আগে বর এবং কণেকে একই অপরকে দেখার অনুমতি দেওয়া আছে। তাই আপনি যখন কনেকে দেখবেন অথবা বরকে দেখবেন তখন অবশ্যই ভালোভাবে দেখবেন এবং যদি পছন্দ হয় নিজের মত পোষণ করবেন তার সামনে।

বেশি বেশি দোয়া করতে হবে নিজের ভালোবাসার মানুষের জন্য। কিভাবে আপনি দোয়া করতে পারেন এম এবং কোন সময় গুলো দোয়ার জন্য উপযুক্ত সময় সে সম্পর্কে জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন যেখানে আপনারা মহামূল্যবান এই তথ্যগুলো পেয়ে যাবেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *