পবিত্র শবে বরাতের বিশেষ আমল সমূহ কি কি

পবিত্র শবে বরাতের বিশেষ আমল সম্পর্কে বলতে হলে অবশ্যই সবার প্রথমে হাদীসগুলো সম্পর্কে জানতে হবে এবং হাদিসে শবেবরাত সম্পর্কে কি আমল করতে বলা হয়েছে সেগুলো জানতে হবে। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই রাতে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকটি আমল করেছেন এবং এই আমল গুলো কি কি এবং এই আমলগুলো আমাদের কিভাবে করতে হবে সে সম্পর্কে আমাদের অবশ্যই জ্ঞান রাখতে হবে।

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার জীবদ্দশায় প্রত্যেকটি ধাপে দেখিয়ে দিয়েছেন যে আমরা আমাদের জীবন কিভাবে ইসলামের আলোকে পরিচালিত করব। তার উম্মত হিসেবে আমাদের অবশ্যই কর্তব্য আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে অনুসরণ করা এবং তার দেওয়া পথ দেখে ইসলাম নিজের জীবনে অভ্যস্ত করা। আজকে আমরা জানবো আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শবে বরাত কে কতটা ফজিলতম হিসেবে ঘোষণা করেছেন এবং এ শবে বরাতের কি কি আমল করতেন।

শবে বরাতের নফল ইবাদত সমূহ ও ফজিলত

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই শবে বরাতকে কেন্দ্র করে প্রচুর নফল ইবাদত করতেন এবং তিনি এই ইবাদতগুলোতে এতই মশগুল থাকতেন যে মাঝে মধ্যে মনে হতো আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই ইবাদত করার মাধ্যমে আল্লাহতালার নক্ষত্র অর্জন করতে চাচ্ছেন। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ শবেবরাতে নফল নামাজ বেশি বেশি করে করতেন এবং নফল নামাজ আদায়ের জন্য অন্যকে আদেশ দিয়েছেন।

হযরত আয়েশা রহমাতুল্লাহ আনহা থেকে বর্ণিত হয়েছে, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ রাতে মদিনার কবরস্থান জান্নাতুল বাকিতে এসে মৃতদের জন্য দোয়া ও ইস্তেগফার করতেন। তিনি আরো বলেন, নবীজি তাকে বলেছেন এ রাতে বনি কালবের ভেড়া বকরির পশমের চেয়েও বেশি সংখ্যক গুনাহগারকে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন। (তিরমিজি শরীফ হাদিস নাম্বার ৭৩৯)।

উপরের হাদিসের আলোকে আমরা অবশ্যই জানতে পেরেছি যে শবে বরাতের রাত কতটা ফজিলত নয় এখন জানার চেষ্টা করব এই।

মধ্যে শাবান মাসের নফল রোজা ও নফল নামাজ

১৪ শাবান মাসের দিবাগত রাত হচ্ছে শবে বরাত এবং এই শবে বরাত ইবাদত বন্দেগীতে কাটানো একটি রাত। এ সম্পর্কে হযরত আলী রহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণিত নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন “১৪ শাবান দিবাগত রাত যখন আসে, এদিন সূর্যাস্তের পর আল্লাহতালা দুনিয়ার আসমানে নেমে আসেন এবং আহ্বান করেন; কোন ক্ষমাপ্রার্থী আছ কি? আমি ক্ষমা করব; কোন রিজিক প্রার্থী আছ কি? আমি রিজিক দেব; আছো কি কোন বিপদগ্রস্ত? আমি উদ্ধার করব। এভাবে ভোর পর্যন্ত আল্লাহতালা মানুষের বিভিন্ন প্রয়োজনের কথা উল্লেখ করে আহবান করতে থাকেন। (ইবনে মাজাহ হাদিস নাম্বার ১৩৮৪)।

তাই শবে বরাতকে কেন্দ্র করে অবশ্যই আমাদের বেশি বেশি নফল ইবাদত করতে হবে রাতের বেলায় বিশেষ করে নফল নামাজ আদায় করতে হবে এবং কোরআন শরীফ তেলাওয়াত করতে হবে এবং দিনের বেলায় নফল রোজা পালন করতে হবে শবে বরাতকে কেন্দ্র করে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *