পাওনা টাকা আদায়ের আমল

আমরা সকলে অবগত আছি যে আল্লাহ তাআলা আমাদের জন্য এমন ভাবে আমাদের ইসলাম ব্যবস্থাকে চালু করেছেন যেখানে প্রত্যেকে কাজের জন্য আমরা কিছু আমল করতে পারি। যে আমলের দ্বারা আল্লাহ তায়ালাকে আমরা খুশি করতে পারলে অবশ্যই সেই কাজে আমরা পারদর্শী হতে পারব। আজকে আমরা কথা বলব পাওনা টাকা আদায়ের সম্পর্কে দোয়া ও আমল নিয়ে।

বিভিন্ন সময় দেখা যায় যে বিভিন্ন জায়গাতে আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে অনেকের কাছে টাকা পাওয়া যায়। কিন্তু পাওনা টাকাগুলো ফেরত পাওয়া এতটা সহজ ব্যাপার নয় তার কারণ হলো বর্তমানে মানুষ বেশি চালাক হয়ে গেছে এবং মানুষকে বেশি বেশি ঠকানোর চেষ্টা করছে। আপনি কি করে পাওনা টাকা আদায় করতে পারবেন সে সম্পর্কে আমরা আপনাদের সঠিক দিকনির্দেশনা দেওয়ার চেষ্টা করব এর পাশাপাশি কোন কোন আমল করলে আল্লাহ তায়ালা পাওনা টাকা আদায় আপনাকে সাহায্য করবে সে বিষয়ে জানব।

পাওনা টাকা আদায়ের দোয়া ও আমল

পাওনা টাকা আদার দোয়া ও আমল সম্পর্কে অনেকে জানতে চেয়েছেন আজকে তাদের উত্তরের আলোকে অনেক কিছু তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব। সরাসরি পাওনা টাকা আদায় আমলের কথা বলতে গেলে পাওনা টাকা আদায়ের সরাসরি কোন আমল নেই। পরোক্ষভাবে কিছু আমল করতে পারেন যে আমলগুলো দ্বারা আপনি আপনার আর্থিক সচলতা কামনা করতে পারেন যার মাধ্যমে আপনার পাওনা টাকা আপনার হাতে আসবে।

এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন দুশ্চিন্তায় পড়তেন তখন নামাজে মগ্ন হতেন। জামিউল বায়ান ৭৭৯।

এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা বলেন”তোমরা ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য চাও। সূরা বাকারা আয়াত নাম্বার ৪৫।

উপরের দুইটি অংশ থেকে আমরা বুঝতে পেরেছি যে আল্লাহ তা’আলা আমাদের সব বলে দিয়েছেন যে ধৈর্য ধরতে হবে এবং সালাতের মাধ্যমে আমাদের আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে হবে। যদি পাওনা টাকা কারো থেকে পেয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আল্লাহ তায়ালার কাছে সালাত আদায় করে দোয়ার মাধ্যমে এই টাকা ফেরত চাওয়ার জন্য আমল করতে হবে। আল্লাহ তা’আলা আমাদের আর্থিক সচ্ছলতা দান করবেন।

তবে সালাতুল হাজাদ পড়ে পাওনা টাকা আদায়ের জন্য দোয়া করতে পারেন। তোরা সালাতুল হাজত সম্পর্কে কিছু জানেন না তাদের জন্য আমরা সালাতুল হাজত সম্পর্কে কিছু তথ্য নিয়ে আসার চেষ্টা করেছি।

সালাতুল হাজার এর কিছু নিয়ম

অধিকার এস্তেগফার করতে পারেন। ইস্তেগফার করা কতটা ফজিলতপূর্ণ যারা এই আমলটা করেন তারাই কেবল এর ফজিলত উপলব্ধি করতে পারে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন”যে ব্যক্তি নিয়মিত ইস্তেগফার করে আল্লাহ তার সব সংকট থেকে উত্তরণের পথ বের করে দেবেন, সব দুশ্চিন্তা মিটিয়ে দেবেন এবং অকল্প নিয়ে উৎস থেকে তার রিজিকের সংস্থান করে দেবে। আবু দাউদ হাদিস নাম্বার ১৫২০।

উপরের হাদিস থেকে আমরা অবগত হতে পারছি যে অবশ্যই আমাদের সব সময় ইস্তেগফার পড়তে হবে এতে করে আমরা সকল ধরনের দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত হতে পারব এবং আল্লাহ তা’আলা এমন কিছু উচ্চ থেকে আমাদের রিজিকের সন্ধান করে দেবে যে উৎস থেকে রিজিক পাওয়ার কথা আমরা পূর্বে কল্পনাও করতে পারছিলাম না।

আব্দুল্লাহ বিন মাসুদ রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত, নবী রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেছেন”যদি কেউ কখনো দুশ্চিন্তা বেদনায় আক্রান্ত হয় এভাবে বলে,

অর্থ-হে আল্লাহ! আমি আপনার বান্দা, আপনার বান্দা ও বান্দীর সন্তান। আমার নসিব আপনার হাতে। আমার ওপর আপনার নির্দেশ কার্যকর, আমার প্রতি আপনার ফয়সালা ইন সাপের উপর প্রতিষ্ঠিত। আমি সেই সমস্ত নামের প্রত্যেকটির বদলাতে আপনার নিকট পাথর প্রার্থনা জানাই
-যে নামগুলো আপনি নিজেই নিজের জন্য নির্ধারণ করেছেন অথবা আপনার সৃষ্টি জীবের মধ্যে কাউকে শিখিয়ে দিয়েছেন অথবা সিও ফিল্মের ভান্ডারে নিজের জন্য সংরক্ষণ করে রেখেছেন
-কুরআনকে আমার হৃদয়ের প্রশান্তি বানিয়ে দিন, আমার বক্ষের জ্যোতি বানিয়ে দিন, আমার দুশ্চিন্তাগুলো অপসারণকারি বাড়িয়ে দিন এবং উদ্যোগ উৎকণ্ঠের বিদুরণীকারী বানিয়ে দিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *