মহরম মাসের ইবাদত সমূহ

মহরম মাস গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস এবং এই মহররম মাসে আমরা যদি আল্লাহতালা সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য ইবাদত করছে যায় তাহলে অবশ্যই আল্লাহ তাআলার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে অনুসরণ করতে হবে। আজকে আমরা এই আর্টিকেল থেকে জানার চেষ্টা করব মহরম মাসের ফজিলত গুলো সম্পর্কে এবং এই মহরম মাসে কোন কোন আমল করা আমাদের জন্য সুন্নত সে সম্পর্কে।

অবশ্যই আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে আমলগুলো করেছেন সেই আমলগুলো করা আমাদের জন্য সুন্নত তাই সে আমলগুলো যথোপযুক্ত ভাবে পালন করাই আমাদের দায়িত্ব। চলুন জেনে নেওয়া যাক মহরম মাসে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোন আমলগুলো করেছেন এবং কোন আমলগুলো আমাদের জন্য সুন্নত।

মহরম মাসের ফজিলতময় ইবাদত সমূহ

মহরম মাসের সুন্নত আমল সম্পর্কে সহি হাদিস শরীফে যা বর্ণনা করা হয়েছে সেখানে আমরা আশুরার রোজা পালন করা সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাই। এখানে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ ৯ তারিখ এবং ১০ তারিখে মহরমের রোজা পালন করতে বলেছেন বা আশুরা রোজা পালন করতে বলেছেন।

আমরা যদি হাদিস সম্পর্কে জানতে চাই তাহলে দেখব ইহুদীরা এবং নাসারা শুধুমাত্র দশ মহরমকে সম্মান করত এবং তারা এই দশ মহররমের রোজা রাখত। তখন আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের ব্যতিক্রম করার জন্য এবং তাদের বিরোধিতা করার জন্য হুকুম দেন এই দিনের পরের দিন অথবা এই দিনের আগের দিন একটি রোজা যুক্ত করে আমরা দুইটি করে রোজা রাখব।

অতএব আমরা খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছি যে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নয় মহররম থেকে 11 মহরম এর মধ্যে দুইটি রোজা রাখা সুন্নত হিসেবে আমাদের জন্য বর্ণনা করেছেন। আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রহমতউল্লাহ হতে বর্ণিত, “তিনি বলেন নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন আশুরার রোজা রাখতেন এবং রোজা রাখার নির্দেশ দিলেন, তখন সাহাবাদের কেরাম রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম কে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল ইহুদী ও নাসারা এই দিনে সম্মান করে। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আগামী বছর বেঁচে থাকলে ইনশাআল্লাহ আমরা নয় মহরম সহ রোজা রাখব।”

আশুরার রোজা রাখার ফজিলত

উপরের হাদিস থেকে আমরা স্পষ্টভাবে বুঝতে পেরেছি যে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আশুরাতে কিভাবে রোজা রাখতে বলেছে এবং এই রোজার ফজিলত সম্পর্কে খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।

আবু হুরায়রা রহমতউল্লাহ হতে বর্ণিত, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন “রমজানের পর সর্বোত্তম রোজা হলো মহররম মাসের রোজা এবং ফরজ নামাজের পর সর্বোত্তম নামাজ হলো রাতের নফল নামাজ” ।

এটা থেকে আমরা আশুরার রোজা অর্থাৎ মহরম মাসের রোজা সম্পর্কে বা রোজার ফজিলত সম্পর্কে খুব সুন্দরভাবে বুঝতে পেরেছি এবং আশা করব এখান থেকে আমরা সেই রোজা করার শক্তি পাব। তাই অবশ্যই মহররম মাসের আমল গুলো সম্পর্কে বেশি বেশি জানার চেষ্টা করবে এবং সঠিকভাবে আমল করার চেষ্টা করব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *