মেয়েদের দ্রুত বিয়ে হওয়ার আমল

মেয়েদের জীবনে আল্লাহ তায়ালার নৈকট লাভ করা খুব সহজ একটি ব্যাপার। তার কারণ হলো মেয়েরা এমনিতেই নরম প্রকৃতির মানুষ হয়ে থাকে এবং আল্লাহ তাআলার কাছে তারা প্রাণ ভরে প্রার্থনা করতে জানে। আর মেয়েদের স্বভাব এমনিতেই অনেক ভালো হয় যার কারণে আল্লাহ তাআলা তাদের বেশি পছন্দ করেন।

একজন মেয়ের বয়স হওয়ার পরে যদি তার বিয়ে আটকে থাকে তাহলে বিভিন্ন আমলের মাধ্যমে সে তার দ্রুত বিয়ে হওয়ার আমল করতে পারে। অবশ্যই বিয়ে হওয়ার বেশ কিছু আমল রয়েছে যে আমলগুলো আপনি করতে পারেন এবং এই আমলগুলো যদি আপনি বেশি বেশি করেন তাহলে অবশ্যই আল্লাহ তা’আলা আপনাকে ফিরিয়ে দেবেন। আলোচনা আজকে জানা যাক একজন মেয়ে দ্রুত বিয়ে হওয়ার জন্য কি কি আমল করতে পারেন।

দ্রুত বিয়ে হওয়ার আমল ও দোয়া

সাধারণত বিয়ে আল্লাহতালা নির্ধারণ করে দিয়েছেন এবং আল্লাহতালা যে নিয়ম করে দিয়েছেন সেই নিয়মের বাইরে আমরা যেতে পারব না। যখন আমাদের প্রাপ্তবয়স্ক বয়স হয়ে যাবে তখন অবশ্যই আমাদের বিয়ে করতে হবে এবং সে বিয়ে করার জন্য অবশ্যই আপনাকে কিছু আমল করতে হবে। যে আমলগুলো দ্বারা আপনি আল্লাহ তালাকে খুশি করতে পারেন এবং আল্লাহতালা খুশি হলে অবশ্যই আপনার বিয়ের ব্যবস্থা দ্রুত করে দেবেন।

চলুন একজন মেয়ের দ্রুত বিয়ে হওয়ার জন্য কি কি আমল তিনি করতে পারে সে সম্পর্কে আমরা সঠিক তথ্য জানি। অনুরোধ থাকবে এ সম্পর্কে আপনাদের কাছে যদি আরও অন্য কোন তথ্য থেকে থাকে সেগুলো কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে সকলকে জানানোর জন্য উন্মুক্ত করবেন।

ইস্তেগফার করা

অর্থাৎ সব সময় জাপানে ইস্তেগফার জারি রাখা উচিত। এটা শুধুমাত্র দ্রুত বিয়ে হওয়ার জন্য নয় আমাদের প্রত্যেকটি মানুষের উচিত সবসময় জবানে আস্তাগফিরুল্লাহ শব্দটি পাঠ করা। যে ব্যক্তি যত বেশি ইস্তেগফার করে সে মোস্তাজেবোধ দেওয়া হয়ে যায়। যার দোয়া আল্লাহ কখনোই ফিরিয়ে দেন না। তাহলে আপনি যত বেশি আস্তাগফিরুল্লাহ পড়বেন তত বেশি আল্লাহ তায়ালা আপনার দোয়া কবুল করবে।

সুরা ইয়াসিন পাঠ করা

সূরা ইয়াসিনের ফজিলত সম্পর্কে আমরা সকলে অবগত। এখানে বলা হয়েছে যে সূরা ইয়াসিনের সাতটি মুবিন রয়েছে। যার মাধ্যমে প্রতিদিন সকালে সূর্য যখন পূর্ব আকাশে লাল হয়ে ওঠে তখন পশ্চিমমুখী হয়ে সুরা ইয়াসিন পড়া। আর যখনই মুবিন শব্দ তেলাওয়াত করা হবে তখন ওই শাহাদাত আঙ্গুল দিয়ে পেছনের দিকে অর্থাৎ সূর্যের দিকে ইশারা করা।

সূরা আদ দোহা সহ সূরা কাসাসের কয়েকটি আয়াত পড়া
আপনি যদি একজন মেয়ে হন এবং একজন নেককার ঈমানদার জীবনসঙ্গীন পাওয়ার জন্য আমল করতে চান তাহলে অবশ্যই এই আমল আপনাকে করতে হবে। এখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে এই আয়াতটি যদি কোন মেয়ে নিয়মিত ১০০ বার পাঠ করে তাহলে শীঘ্রই আল্লাহতালা তার জন্য ভালো পাত্রের ব্যবস্থা করে দেন। এবং যদি নিয়মিত সূরা দোহা ১১ বার তেলাওয়াত করে তবে তাদের জন্য আল্লাহতালা সর্বোত্তম পাথরের ব্যবস্থা করে দেন।

সূরা তাওবার আয়াত পাঠ করা

অর্থাৎ একটি মেয়ে যদি তার জীবনে একটি নেককার জীবন সঙ্গী চাই এবং সেটা অতি দ্রুত চায় তাহলে অবশ্যই তাকে নিয়মিত সূরা তওবা পাঠ করতে হবে যেটা একটি আমল।

সূরা মরিয়ম পড়া

দিনের যে কোন ওয়াক্তের নামাজ আদায় করে সূরা মরিয়াম তেলাওয়াত করতে হবে এবং এই আমলটি করার মাধ্যমে যারা বিয়ে করতে পারছে না তাদের বিয়ের সময় এগিয়ে আসবে।

তাজবিহে ফাতেমি পড়া

এটি অনেক একটি বড় আমুল এবং এর মাধ্যমে নিয়মিত নামাজের পরে তাজবি হে ফাতেমি পড়া যায়। এখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে তাজবিহে ফাতেমি হল আলহামদুলিল্লাহ ৩৩ বার পড়া তার সঙ্গে আল্লাহু আকবার ৩৪ বার পড়া।

আশা করছি আপনারা এইভাবে আমল করলে একদিন উত্তম জীবনসঙ্গী পাবেন ইনশাআল্লাহ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *