মাহে রমজান মাসের গুরুত্বপূর্ণ আমল সমূহ কি কি

পবিত্র রমজান মাস যারা বেশি বেশি আমল করবে তারাই কেবলমাত্র মৃত্যুর পরবর্তী জীবনে এবং শান্তিতে থাকতে পারবে। মুসলিম উম্মার জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ এই রমজান মাসে আমরা যদি সঠিক আমল করতে পারি তাহলে অবশ্যই এই আমলের ফজিলত আমাদের আমলনামায় লেখা হবে। আমরা ইতিমধ্যে সকালে অবগত রমজান মাসের একটি আমল 70 বা তার বেশি নেকি পাওয়া যাবে বলে হাদিসে উল্লেখ আছে।

রমজান মাসের সহজে পালনীয় কিছু আমলের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ আমলগুলো আমাদের করতে হবে এবং এই আমলগুলো আমাদের করতে হবে এবং এই আমলগুলো থেকে কখনোই দূরে সরে আসা যাবেনা। সৃষ্টিকর্তা আমাদের জীবন সৃষ্টি করেছেন তার ইবাদত করার জন্য তাই আমরা সবসময় এই বিষয়টি মাথায় রাখবো এই দুনিয়ার যত কাজে ব্যস্ত থাকি না কেন আল্লাহতালা ইবাদত সময়মতো করবে।

মাহে রমজান মাসে কি কি ইবাদত করতে হয়

অবশ্যই রমজান মাসের ফজিলত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এই ফজিলত যদি আমরা আমাদের জীবনে নিয়ে আসতে পারি তাহলে অবশ্যই আমাদের ইহকালের জীবন এবং পরকালের জীবন অত্যন্ত সুখে ও শান্তিতে কাটবে। হাদিস কোরআনের আলোকে জানার চেষ্টা করি পবিত্র মাহে রমজানে আপনি কোন কোন আমল দ্বারা আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারেন এবং আল্লাহ তাআলার প্রিয় বান্দা হতে পারে।

প্রথমে যেই কাজটি আপনি বেশি বেশি করবেন সেটি হচ্ছে আল্লাহ তাআলার সকলের নেয়ামতের জন্য বেশি বেশি শুকরিয়া আদায়। ওটা সৃষ্টি জগতে আল্লাহ তাআলার নিয়ামতের জন্য সৃষ্টি হয়েছে আপনি একটি জিনিস ভাবতে পারেন আল্লাহ তায়ালা যদি এই সৃষ্টি জগত সৃষ্টি না করত তাহলে আমাদের কোন অস্তিত্ব ছিল না। তাই সকল সৃষ্টির জন্য এবং আল্লাহ তা’আলা সকল নেয়ামতের জন্য সবসময় শুকরিয়া আদায় করবেন।

রমজান মাসের আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল হলো সময় মতো সাহরি খাওয়া। সাধারণত অনেক সময় দেখা যায় যে সেহরি খাওয়া থেকে অনেকেই বিরত থাকে অনিচ্ছাকৃতভাবে তবে ইচ্ছাকৃতভাবে সেহরি খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত নয়।

রমজান মাসের ফরজ আমলের পাশাপাশি আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল হচ্ছে বেশি বেশি দান খয়রাত করা। আল্লাহতালা বিভিন্ন হাদিসে আমাদের জানিয়েছেন যে আমরা যদি দান খয়রাতের জন্য একটি নির্দিষ্ট মাছ
স বেছে নেই সেটা হচ্ছে রমজান মাস।

এ ছাড়াও ফরজ আমলের পাশাপাশি আমরা নিয়মিত সালাতুল তারাবির নামাজ পড়তে পারি এবং তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করতে পারি। এই দুটি আমল মুমিন এবং ঈমানদার ব্যক্তিদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল।

এছাড়াও আমরা এই রমজান মাসকে কেন্দ্র করে আমাদের চরিত্রে গঠনে অনুশীলন করতে পারি অর্থাৎ উত্তম চরিত্র কিভাবে গড়ে তুলতে হয় তার অনুশীলন হিসেবে রমজান মাসে ব্যবহার করতে পারি।

এছাড়া আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ রমজানের শেষ দশকে ইতেকাফ করতেন তাই তার বান্দা হিসেবে আমাদের রমজান মাসের শেষ দশকে ইতেকাফ করা উচিত।

এছাড়াও আরো বহু আমল রয়েছে যে আমলগুলো দ্বারা আপনি রমজান মাসে খুব সুন্দর ভাবে সাজাতে পারেন এবং সবসময় ব্যস্ত থাকতে পারেন আল্লাহ তাআলার ইবাদতের মধ্যে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *