লাইলাতুল কদরের ফজিলত এবং আমল সমূহ

লাইলাতুল কদর মুসলমানদের জন্য যে ফজিলতপূর্ণ রজনী রয়েছে তার মধ্যে সবথেকে উত্তম রজনী হয়েছে লাইলাতুল কদর। এর মর্যাদা এতটাই বেশি যে এই মর্যাদা আরো বৃদ্ধি করার জন্য আল্লাহ তাআলা এই রজনীকে আমাদের কাছে গোপন রেখেছেন। যাতে করে যথেষ্ট ঈমান এবং যথেষ্ট আগ্রহের সঙ্গে আমরা এই লাইলাতুল কদরকে তালাশ করি এবং আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সর্বোচ্চ ইবাদত করি।

লাইলাতুল কদরের আমল সম্পর্কে কমবেশি আমরা সকলেই জানি তবে এর বাইরেও যদি কিছু জানা থাকে তাহলে সেই তথ্য আমরা আজকে দেওয়ার চেষ্টা করব। হাদিস ও সুন্নাহর আলোকে লাইলাতুল কদর কিভাবে আদায় করবেন এবং এই লাইলাতুল কদর আদায় করার ফলে আল্লাহ তা’আলা কি কি ফজিলত আমাদের দেবেন সে সম্পর্কে আমরা জানার চেষ্টা করব।

এখন পর্যন্ত লাইলাতুল কদরের সঠিক রজনী বা রাত সম্পর্কে কেউ কোন যুক্তি দেখাতে পারেননি এবং এটা কেয়ামত তৎপর্যন্ত এরকমই চলবে তার কারণ হলো আল্লাহ তা’আলা নিজে থেকে এই রাত্রির কথা গোপন রাখার চেষ্টা করেছেন। আজকে আমরা চেষ্টা করব লাইলাতুল কদর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে এবং যারা এ বিষয়ে অভিজ্ঞ আছেন তারা অবশ্যই আমাদের ভুল ত্রুটি ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন।

শবে কদরের রাতের কি কি আমল করতে হবে

শবে কদর যেটাকে আমরা লাইলাতুল কদর বা কদরের রাত বলে থাকে। লাইলাতুল কদরের রাত কতটা ফজিলত পূর্ণ সেটা বলে শেষ করা যাবে না এবং সেটা আমরা সকলেই জানি। মর্যাদাপূর্ণ রাতভাগ্য রজনী হচ্ছে লাইলাতুল কদর যার মাধ্যমে আমরা হাজার মাসের তুলনায় অধিক ইবাদত করার সওয়াব পেতে পারি। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআন নাযিল এর মাধ্যমে এই রাতকে হাজার মাসের চেয়েও উত্তম ও মহাসম্মানিত রাত হিসেবে আমাদের জন্য দান করেছেন।

প্রতিবছর লাইলাতুল কদর আমাদের জীবনে আসে এবং আমাদের মধ্যে সবথেকে সৌভাগ্যবান তারাই যারা এই লাইলাতুল কদরকে পায় এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য লাভের জন্য ইবাদত বন্দেগী করে। আর সব থেকে বোকা তাড়ায় যারা এই রাত পাওয়ার পরেও নিজেকে পাপ মুক্ত করতে পারে না।

শবে কদর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি রাত এবং এই রাতে যত বেশি নফল ইবাদত করবেন আপনার জন্য তত বেশি ভালো। বিভিন্ন বর্ণনায় শবে কদরের রাতে নামাজের কথা বিভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে আপনি যেভাবে নামাজ পড়ুন না কোন চেষ্টা করবেন রুকু এবং সিজদার মাঝে এবং রুকু এবং সিজদাতে যথেষ্ট সময় দিতে এবং আল্লাহ তায়ালার সঙ্গে সিজদার মাধ্যমে যোগাযোগ করতে।

কদরের রাত এর গুরুত্বপূর্ণ দোয়া এবং নফল ইবাদত সমূহ

কদরের রাত আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি রাত এবং এই রাতে আমাদের বেশি বেশি করে কোরআন মাজীদ তেলাওয়াত করতে হবে। নফল নামাজ পাঠ করার পাশাপাশি কোরআন মাজীদের তেলাওয়াত করা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং চেষ্টা করব আমরা এই রাতে কোরআন মাজীদ বেশি বেশি করে তেলাওয়াত করতে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে।

এবং আল্লাহ তাআলা বলেছেন শবে কদরের রাতের দোয়াগুলো কবুল হয় তাই দোয়া কবুলের যে বিশেষ সময় গুলো রয়েছে তার মধ্যে শবে কদরের রাত হচ্ছে একটি। তাই আমরা যতবেশি নফল ইবাদত করব এবং যত বেশি আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করব এই শবে কদরের রাতে আমাদের জন্য ততই ভালো।

শবে কদরের রাতে বিভিন্ন ধরনের হাদিস আছে সেই হাদিস থেকে একটি হাদিস হলো দুই ব্যক্তি বা পরিবারের মধ্যকার ঝগড়া বিবাদ মিটিয়ে দেওয়ার শবে কদরের অন্যতম একটি ইবাদত। উবাদা ইবনে সামিদ রহমতুল্লাহি থেকে বর্ণিত যে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লাইলাতুল কদরের ব্যাপারে খবর দিতে বের হলেন।

এ সময় দুইজন মুসলমান ঝগড়া করছিল তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন আমি আপনাদের লাইলাতুল কদরের ব্যাপারে অবহিত করতে বের হয়েছিলাম। অমুক ব্যক্তি বিবাদে লিপ্ত হওয়ায় তা উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে আশা করি উঠিয়ে নেওয়াটা আপনার জন্য বেশি ভালো হয়েছে।আপনারা সপ্তম নবম পঞ্চম তারিখে এর সন্ধান করুন (সহি বুখারি হাদিস নাম্বার ৪৯)।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *