লাইলাতুল কদর এর আমল কি কি

আল্লাহতালা তার প্রিয় বান্দাদের অনেক বেশি ভালোবাসেন। তাইতো তিনি তার বান্দাদের জন্য এতটা সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন যে সেই সুযোগ মেনে যদি একজন বান্দা আল্লাহতালার ইবাদত করে তাহলে অবশ্যই জান্নাত তার জন্য খুব সহজ একটি মাকাম হয়ে যাবে। কিন্তু আমরা সব সময় নিজের নাফসকে উল্টো পথে পরিচালিত করে এবং শয়তানের পড়ে খারাপ কাজগুলো করতে থাকে।

তবে আপনি যতই খারাপ কাজ করেন না কেন তবু এস্তেগফার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার কাছে এবং আল্লাহ তাআলার কাছে মাফ চাওয়ার মাধ্যমে আপনি যদি ফিরে আসেন এবং লাইলাতুল কদর নামক এই রাত এর তালাশ করতে পারেন তাহলে আল্লাহ তায়ালা আপনাকে জান্নাত দিয়ে দেবে। তার কারণ হলো আপনি সারা জীবন কত বছরই বা ইবাদত করবেন কিন্তু আপনি যদি লাইলাতুল কদর তালাশ করতে পারেন তাহলে এই একটি রাতের বিনিময়ে আপনি হাজার মাস ইবাদত করার সওয়াব পাবেন।

লাইলাতুল কদরে কি কি আমল করতে হবে

লাইলাতুল কদরের আমল সম্পর্কে বিভিন্ন হাদিসের বিভিন্ন ধরনের বর্ণনা পাওয়া যায় তার মধ্যে থেকে আমরা বেশি নফল ইবাদত গুলোর উপর। আমরা সাধারণত আমাদের জীবনে জেনফল ইবাদতগুলো করি সে নফল ইবাদতগুলো যদি লাইলাতুল কদরের রাতে করি সেখান থেকে আমরা অত্যন্ত সব অর্জন করতে পারব।

বছরের শ্রেষ্ঠ রাত হচ্ছে লাইলাতুল কদরের রাত যেটা আল্লাহ তায়ালা আমাদের কাছে গোপন রেখেছেন তবে আমরা রমজান মাসের শেষ দশকের বেজেড রাতগুলোতে লাইলাতুল কদর তালাশ করতে পারি। আজকে আমরা জানার চেষ্টা করব লাইলাতুল কদরের কি কি আমল আমরা করতে পারি।

লাইলাতুল কদরের দোয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দোয়া এবং এই লাইলাতুল কদরে দোয়া সম্পর্কে উম্মুল মুমিনিন আয়েশা রহমাতুল্লাহ আনহা থেকে বর্ণিত তিনি বলেন-হে আল্লাহর রাসূল আমি যদি জানতে পারি যে কোন রাত্রি লাইলাতুল কদর, তাহলে তখন কোন দোয়া পড়বো? তখন তিনি বললেন, তুমি বলো-

“আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন কারিম; তুহিব্বুল আফুয়া; ফা-ফু আন্নি”

এছাড়া লাইলাতুল কদরের নফল নামাজ পড়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল। আপনি যে কোন নিয়ম মেনে লাইলাতুল কদরের নফল নামাজ আদায় করতে পারেন তবে এখানে চেষ্টা করবেন নফল নামাজে কেরাত গুলো অত্যন্ত দীর্ঘ করতে এবং সিজদাতে প্রচুর সময় দিতে যেখানে আল্লাহ তায়ালা আপনার উপর সন্তুষ্ট হবেন। আমরা সকলে জানি যে আল্লাহতালা সব থেকে কাছে যাওয়ার মুহূর্ত হচ্ছে সিজদার মুহূর্ত এবং সেই সিজদার মুহূর্তে যদি আমরা অতি দীর্ঘ সময় ব্যয় করতে পারি তাহলে আল্লাহ তা’আলা অবশ্যই আমাদের কথা শুনবেন।

এছাড়া কদর রাতে বেশি বেশি কোরআন মাজিদের তেলাওয়াত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল যে আমলের মাধ্যমে আপনারা কদরের রাতের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত গুলো অর্জন করতে পারেন।

বিভিন্ন হাদিসে বর্ণনা করা হয়েছে যে দোয়া কবুলের যে বিশেষ সময় গুলো রয়েছে তার মধ্যে শবে কদর হচ্ছে একটি। তাই ঈমানদার ও মুমিন ব্যক্তিরা শবে কদরের তালাশ করতে গিয়ে অবশ্যই দুই হাত তুলে আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে তার কারণ হলো এই রাতে দোয়া গুলো আল্লাহ তায়ালা সঙ্গে সঙ্গে কবুল করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *