কোরবানির ঈদের দিনের আমল

কোরবানির ঈদের দিন জিলহজ মাসের দশম তিন এবং এই দিন হচ্ছে গোটা মুসলিম উম্মার জন্য অত্যন্ত আনন্দের দিন। শুধুমাত্র যে আনন্দের দিন এমন না এর পাশাপাশি এই দিনেও আমাদের জন্য কিছু আমল করতে বলা হয়েছে যে আমল আল্লাহ তাআলা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দে আমাদের আমলনামা আরো বেশি বৃদ্ধি করবেন।

কোরআন এবং হাদিসের আলোকে আমরা আলোচনা করার চেষ্টা করব কোরবানির দিনের ফজিলত এবং কোরবানির দিনের আমল সম্পর্কে এবং যারা কোরবানি দিতে পারবেন তাদের কি কি উপকার হবে সে সম্পর্কে। চলুন আমরা হাদিসের আলোকে জানার চেষ্টা করি কোরবানি দিনের আমল সম্পর্কে।

কোরবানির ফজিলত ও আমল

কোরবানির ফজিলত সম্পর্কে বলতে গেলে অবশ্যই বলতে হয় যে কোরবানি আল্লাহ তা’আলা আমাদের উপর ফরজ করেননি কিন্তু যারা সামর্থবান তাদের ওপর কোরবানি দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল। তাই যারা সামর্থ্যবান তারা অবশ্যই কোরবানি থেকে পিছিয়ে পড়বেন না এবং কোরবানি দেওয়া অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ একটি আমল।

কোরবানির দিনের সুন্নত

কোরবানি দিনের আমল সম্পর্কে যদি জানতে হয় তাহলে সবার প্রথমে আমাদের জানতে হবে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন কোন আমলগুলো করতেন। আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম যে আমলগুলো করতেন সেগুলো আমাদের জন্য সুন্নত আমরা আলোচনা করার চেষ্টা করবো সেই সুন্নত আমল সম্পর্কে।

এছাড়াও ঈদের নামাজে গোসল করা ও মেসওয়াক করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল। আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতরের গোসল করতেন (বুখারি হাদিস ১/১৩০)। তাই এটা আমাদের জন্য সুন্নত।

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুন্দর ও উত্তম পোশাক পরিধান করতেন এর সঙ্গে উত্তম সুগন্ধি ব্যবহার করে ঈদগাহের উদ্দেশে বের হতেন এটাও আমাদের জন্য একটি সুন্নত। হাদিস শরীফে বর্ণিত আছে জাফর ইবনু মোহাম্মদ তার পিতা থেকে তার পিতা তার দাদা থেকে বর্ণিত করেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতিটি ঈদে ডোরাকাটা পোশাক পরিধান করতেন” (সুনানে বাইহাকি হাদিস ৬৩৬৩)।

ঈদগাহে যাওয়ার আগে অবশ্যই মিষ্টিমুখ করা এবং পানাহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সুন্নত। হাদিস শরীফে এসেছে যে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতরের দিন কোন কিছু না খেয়ে যেতেন না। আর ঈদুল আযহার দিন নামাজ পড়ার পরে কিছু খেতেন না”(জ্যামে তিরমিজি হাদিস ৫৪২)।

ইতিহাস যাওয়ার সময় তাকবির বলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সুন্নত এবং ইতিহাস যাওয়ার সময় ঈদুল আযহার দিন উচ্চস্বরে তাকবীর পাঠ করা সুন্নত। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন”যাতে তোমরা গণনা পূরণ করো এবং তোমাদের হেদায়েত দান করার ধরুন আল্লাহতালা মহত্ত্ব বর্ণনা কর, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার করো”( সূরা বাকারা আয়াত 185)।

আমরা চেষ্টা করব ঈদগাহে পায়ে হেঁটে গমন করতে এবং যে রাস্তা দিয়ে বাইরে যাব তার অন্য একটি রাস্তা দিয়ে ফিরে আসার চেষ্টা করব তার কারণ হলো এটা আমাদের জন্য সুন্নত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *