জুমার দিনের আসরের পরের আমল

সপ্তাহে যে ৭ দিন রয়েছে তার মধ্যে অত্যন্ত ফজিলত দিন হচ্ছে শুক্রবার। এই দিনটি আমাদের জন্য বিশেষ গুরুত্ব বহন করে আজকে আমরা হাদিস ও কুরআনের আলোকে জানার চেষ্টা করব জুম্মার দিনের গুরুত্বপূর্ণ আমল সম্পর্কে। আমরা জানার চেষ্টা করব জুমার দিনের আসরের পরে কোন কোন আমল আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পড়তেন।

আপনারা যারা এ বিষয়ে অভিজ্ঞ আছেন তারা অবশ্যই আমাদের সঙ্গে থাকবেন এবং আমাদের ভুল ত্রুটি গুলো ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন। এছাড়াও যারা জুমার দিনের সময় টুকুকে কাজে লাগাতে চাচ্ছে তারা অবশ্যই আমাদের এখান থেকে দেওয়া নিয়মগুলো থেকে আমল করে আল্লাহতালা সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারে।

জুমার দিনের আসরের পরের দোয়া

এমনিতে আমরা জানি যে দোয়া কবুলের যে বেশি সময় গুলো রয়েছে তার মধ্যে উত্তম একটি সময় হচ্ছে আসরের পরে এবং মাগরিবের নামাজের মধ্যবর্তী সময়ের দোয়া। তাই আমাদের ভাগ্যে যদি জুমার দিন আসে এবং সেই জুমার দিনের আসরের ফরজ নামাজ এবং মাগরিবের ফরজ নামাজের মধ্যবর্তী সময়টুকুতে আমরা আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য দোয়া করতে পারি এবং আল্লাহ তা’আলা এই দোয়া সঙ্গে সঙ্গে কবুল করেন বলে বিভিন্ন হাদিসে বর্ণনা করা হয়েছে।

জুমার দিনের শ্রেষ্ঠ ইবাদতের মধ্যে এটি হচ্ছে একটি তাই জুমার দিনে এই সময়টুকু আপনি যখন আল্লাহর সন্তুষ্ট অর্জনের জন্য দোয়া করবেন আল্লাহতালা অবশ্যই আপনার দোয়া কবুল করবে। আবু হুরায় রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন “জুমার দিনে এমন একটি সময় আছে সেই সময়টা যদি কোন মুসলিম নামাজ আদালত অবস্থায় থাকে এবং আল্লাহর কাছে কিছু চায় আল্লাহ অবশ্যই তার সে চাহিদা বা দোয়া কবুল করবেন এবং এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম তার হাত দিয়ে ইশারা করে সময়টির সংক্ষিপ্ত তার ইঙ্গিত দেন” । (বুখারি হাদিস ৬৪০০)।

আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম রহমতুল্লাহি বর্ণনা করেন শুক্রবারে রাসেলের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত দোয়া কবুল হয়। বিখ্যাত সিরাথ গ্রন্থ যাদুল মাআদ এর বর্ণনা আছে “জুমার দিন আসরের নামাজ আদায়ের পর দোয়া কবুল হয়”।

এছাড়াও যাবেন ইবনে আব্দুল্লাহ রহমাতুল্লাহ থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন “ঝুমার দিনে ১২ ঘণ্টার মধ্যে এমন একটি মুহূর্ত রয়েছে যদি কোন মুসলিম এ সময় আল্লাহর কাছে কিছু প্রার্থনা করে, তাহলে মহান ও সর্বশক্তিমান আল্লাহ তাকে দান করেন। এ মুহূর্তটি তোমরা আসরের শেষ সময় অনুসন্ধান করো” (আবু দাউদ হাদিস নাম্বার ১০৪৮)

খবরের সবকটি হাদিসের আলোকে আমরা যদি জুমার দিনের অতি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত সম্পর্কে আলোচনা করতে চাই তাহলে অবশ্যই আসরের পরের এই আমলটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একজন অবশ্যই আসরের সালাত আদায় করতে হবে এবং মাগরিবের সালাত আদায় করতে হবে এবং এই সালাতের মধ্যবর্তী সময় আপনাকে মসজিদে অবস্থান করে সেখানে ইবাদত বন্দেগীতে মশগুল থাকতে হবে।

এবং আল্লাহ তায়ালাকে খুশি করার উদ্দেশ্যে আল্লাহতালা সন্তু ছিলা আমার জন্য বারবার দোয়া করতে হবে এবং এই দোয়া যাতে কবুল হয় সেভাবেই দোয়া করতে হবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *