জুমার দিনের আমল সমূহ

সপ্তাহের প্রত্যেকটি দিন বেশ গুরুত্বপূর্ণ তবে ঈমানদার মুসলমানদের জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ দিন হচ্ছে জুমার দিন। এজুয়ার দিন অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ এবং এই ফজিলতপূর্ণ দিনে আপনি কি কি আমলের দ্বারা নিজের আমলনামাকে বড় করতে পারেন সে সম্পর্কে আজকে জানবো। আপনারা নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করলে অবশ্যই জানেন আমরা কি ধরনের আর্টিকেল নিয়ে কাজ করি।

আজকে আমরা জানার চেষ্টা করব কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে জুমার দিনে যে সকল আমল আমরা বেশি বেশি করতে পারি সেইগুলো সম্পর্কে। তাহলে কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করে দেয়া যাক মূল আলোচনা।

জুমার দিনের গুরুত্বপূর্ণ ১০ আমল

জুমার দিন প্রত্যেকটি ঈমানদার মুসলিম ব্যক্তিদের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। যারা বুদ্ধিমান এবং ঈমানদার তারা কোনভাবে এ জুমার দিন নষ্ট করতে চায় না এবং জুমার দিনের ফজিলত গুলো গ্রহণ করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন আমল করে থাকেন। বিখ্যাত সাহাবী আবু হুরাইরা রাযিআল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন”সূর্য উদিত হওয়ার দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন সর্বোত্তম”।

এই দিনে আদম আলাই সাল্লাম কে সৃষ্টি করা হয়েছে। এই দিনে তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছে এবং এই দিনে তাকে জান্নাত থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। মুসলিম হাদিস ৮৫৪।

এই জুমার দিনের ফজিলত সম্পর্কে আমরা আরও একটি হাদিস পেয়েছি সেই হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন”জুমার দিন দিবস সমূহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ এবং তা আল্লাহর কাছে অধিক সম্মানিত। ইবনে মাজাহ হাদিস ১০৮৪।

জুমার দিনের গুরুত্বপূর্ণ আমল সম্পর্কে বলতে হলে সবার প্রথমে যে কাজটি বলতে হয় সেটি হল গোসল করা বা পরিচ্ছন্নতা অর্জন করা।

এরপরে যে কাজটি আপনাকে করতে হবে সেটি হলো উত্তম পোশাক পরিধান করা। অবশ্যই ফজরের সালাত এবং জুমার সালাত আদায়ের জন্য আপনাকে উত্তম পোশাক পরিধান করতে হবে।

উত্তম সুগন্ধি ব্যবহার করা সুন্নত তার জুমার দিনে আপনাকে চেষ্টা করতে হবে উত্তম সুগন্ধি ব্যবহার করা।

সঠিক সময় মসজিদে উপস্থিত হওয়া। আমরা বিভিন্ন হাদিস থেকে জানতে পেরেছি যে জুমার দিনে সবার প্রথমে যে মসজিদে যেতে পারবে তাকে একটি উটের শরীরে থাকা প্রশংসরি মান সওয়াব দেওয়া হবে।

জুমার দিনে বেচাকেনা বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে এবং এই প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, হে মুমিনগণ! জুমার দিনে যখন নামাজের আজান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে দ্রুত ছুটে যাও এবং বেচাকেনা বন্ধ কর। এটা তোমাদের জন্য উত্তম যদি তোমরা বোঝো। সূরা জুমা আয়াত নাম্বার ৯।

দ্রুত মসজিদে যাওয়া জুমার দিনের উত্তম একটি আমল। হাদিসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ঝুমার দিন মসজিদে দরজা ফেরেশতা অবস্থান করেন এবং ক্রম অনুসারে আগে আগমনকারীদের নাম লিখতে থাকেন। যে সবার আগে আসে সে ওই ব্যক্তির মত যে একটি মোটাতাজা উট কোরবানি করে। এরপরে যে আসে সে ওই ব্যক্তি যে একটি গাভী কোরবানি করে এর পরে আগমনকারী ব্যক্তি মুরগি‌ দানকারীর মত। তারপরে ইমাম যখন বের হন তখন ফেরেশতাগণ তাদের লেখা বন্ধ করে দেন এবং মনোযোগ সহকারে খুতবা শুনতে থাকেন। বুখারী হাদিস ৯২৯ নাম্বার।

সূরা কাহাফ তেলাওয়াত করা অত্যন্ত মর্যাদা পূর্ণ একটি আমল জুমার দিনে। আবু সাঈদ খুদরী রাযিআল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,”যে ব্যক্তি জুমার দিনে সূরা কাহাফ পাঠ করবে তার জন্য ২ জুমা পর্যন্ত নূর উজ্জ্বল করা হবে। আমানুল ইয়াওমি ওয়াল লাইল হাদিস 952।

বেশি বেশি দরুদ পাঠ করতে হবে জুমার দিনে। এই দিনে আমরা যত বেশি দরুদ পাঠ করবো আল্লাহ তাআলা আমাদের প্রতি তত বেশি সন্তুষ্ট হবে তার কারণ হলো এই দরুদ সরাসরি আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সামনে পেশ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *