জোহরের নামাজের পর ইবাদত ও আমল

অবশ্যই আমাদের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করা হয়েছে এবং সেই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করার পেছনে একটি বড় কাহিনী রয়েছে। মেরাজের রাতের ঘটনা আমরা সকলেই জানি যে রাতে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর পক্ষ থেকে আমাদের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ সালাতের হুকুম নিয়ে আসেন।

অবশ্যই এই ফরজ সালাত পালনের জন্য আমাদের হুকুম দেয়া হয়েছে এবং আমরা যদি এটা পালন না করি তাহলে আমাদের পাপ হবে। খোরসালাত আদায়ের জন্য অবশ্যই আমাদের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে এবং ফরয সালাত আদায়ের পর এমন কিছু আমল রয়েছে যার মাধ্যমে আমরা এ সালাতের তাৎপর্য আরো বেশি বৃদ্ধি করতে পারি সে সম্পর্কে আজকে জানবো।

জোহরের নামাজের পর আমল সমূহ কি কি ব্যাপার তোমার

ঝোরে নামাজের পরে যে আমল দোয়া এবং অন্যান্য ইবাদত গুলো আমরা করব সে সম্পর্কে এখন জানার চেষ্টা করব। অবশ্যই খুব সুন্দর ভাবে আমাদের যোহরের নামাজ আদায় করতে হবে। যেহেতু এটি হচ্ছে ফরজ সালাত তাই ধৈর্য সহকারে সময় দিয়ে আমাদের নামাজ আদায় করতে হবে।

জোহরের নামাজের পরে সুরা ইয়াসিন পাট করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল। সাধারণত আমরা বিভিন্ন হাদিসে এ সম্পর্কে বর্ণনা পেয়েছি যে প্রত্যেক ফরয সালাত আদায়ের পরে এই সূরা পার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল। আতাবিন আবি রাবা রহমাতুল্লাহ বর্ণনা করেন, আমি শুনেছি যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন “যে ব্যক্তি দিনের বেলায় সুরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করবে তার সব হাজত পূর্ণ করা হবে। (ফাজায়েলে আমল ১/৫২)।

উপরের হাদিস দ্বারা বোঝানো হয়েছে যে যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর অথবা দিনের বেলায় সূরা ইয়াসিন পাঠ করবে তার সকল প্রয়োজন পূরণ করা হবে এবং আমরা যদি এই আমল করি অবশ্যই আমাদের সকল প্রয়োজন আল্লাহ তা’আলা পূরণ করে দেবেন।

সূরা ফাতাহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল যেটা আমরা যোহরের নামাজের পর সূরা ফাতেহা পড়তে পারি। অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে এগুলো হচ্ছে অতিরিক্ত আমল যে আমলগুলো আপনি করতেও পারেন নাও করতে পারেন তবে করার ফলে আপনি অনেক ফজিলত পেতে পারেন। সূরা ফাতাহের ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে এসেছে, হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত ওমর রাহমাতুল্লাহ কে বলেন, “আজ রাতে আমার ওপর এমন একটি সূরা নাযিল হয়েছে, যা আমার কাছে সূর্যালোকিত সব স্থান থেকে উত্তম। এরপর তিনি সূরা ফাতাহের প্রথম আয়াত তেলাওয়াত করেন” । (সহি বুখারি হাদিস নাম্বার ৪১৭৭)।এখান থেকে আমরা খুব সুন্দর ভাবে জোহরের নামাজের পরের এই সূরা পাঠ করার ফজিলত সম্পর্কে ধারণা পাচ্ছি।

এছাড়াও জোহরের নামাজের পরে তিনবার আস্তাগফিরুল্লাহ পড়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আমল। তেত্রিশ বার সুবহানাল্লাহ 33 বার আলহামদুলিল্লাহ এবং ৩৩ বার আল্লাহু আকবার পড়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আমল। এছাড়াও আয়াতুল কুরসি পড়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আমল যে আমলের মাধ্যমে আমরা আমাদের নামাজের ফজিলত কয়েকগুণ বৃদ্ধি করতে পারি এবং আল্লাহ তায়ালা সন্তুষ্ট অর্জন করতে পারি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *