জিলহজ মাসের প্রথম দশকের আমল

আজকে আমরা আমাদের এই আর্টিকেল থেকে জানার চেষ্টা করব জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিন কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং কতটা ফজিলত নয়। এছাড়াও জানার চেষ্টা করব এই দশদিনে আমরা কোন কোন ইবাদত দ্বারা আমাদের আমলনামাটি খুব সুন্দরভাবে সাজাতে পারি এবং আল্লাহ তা’আলা সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারে। যারা ঈমানদার ও মুমিন ব্যক্তি আছেন তারা অবশ্যই আমাদের থেকে বেশি জানেন।

মানুষ মাত্রই ভুল তাই যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে আমাদের অবগত করবেন এবং নিজের কাছে থাকা জ্ঞানগুলো দ্বারা সকলকে জানানোর চেষ্টা করবেন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক জিলহজ মাসের প্রথম দশকের ইবাদত এবং এই দশকের ফজিলত সম্পর্কে।

জিলহজ্জ মাসের প্রথম দশক

আমরা অবশ্যই জানি জিলহজ মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস এবং এই মাসকে অনেক সম্মানিত করে বিভিন্ন বর্ণনায় বর্ণনা করা হয়েছে। আমরা সকলে অবগত আছি যে জিলহজ মাসের ১০ তারিখে কোরবানির ঈদ অর্থাৎ ঈদুল আযহা পালন করা হয় সকল মুসলিম উম্মাহর মুসলমানদের দ্বারা। কেন এই মাস এতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা যদি জানতে হয় তাহলে অবশ্যই এই মাসের সকল ইবাদতগুলো সম্পর্কে আপনাদের জানতে হবে।

আপনারা হয়তো জানেন এই মাসে হজ পালন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত এবং যারা অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল তাদের জন্য এই মাসে হজ পালন করা ফরজ একটি কাজ। তাই যারা ইবাদত করার কথা ভাবছেন তারা জিলহজ মাসের এই গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত কখনোই ভুলবেন না যদি কিনা আপনি আর্থিকভাবে সচ্ছল হন।

এছাড়াও জিলহজ মাসে গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি ইবাদত হচ্ছে কোরবানি করা। আমরা অবশ্যই অবগত আছি যে কোরবানির ঈদের দিন কোরবানি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত তবে যাদের ওপর কুরবানীর হুকুম রয়েছে তারাই কেবল কোরবানি করতে পারবেন অর্থাৎ যারা আর্থিকভাবে সচ্ছল।

এ সকল জিনিসগুলো থেকে আমরা জিলহজ মাসের ফজিলত সম্পর্কে ধারণা পাচ্ছি এছাড়াও জুলাই মাসে আরো অন্যান্য যে আমলগুলো রয়েছে যেটা কিনা একজন মুমিন ও ঈমানদার ব্যক্তি করতে পারে সে সম্পর্কে নিচের অংশে জানার চেষ্টা করব।

জিলহজ মাসের গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত সমূহ

আপনি কোরবানি দিতে চাচ্ছেন কিন্তু আপনার কাছে অর্থ নেই এখন আপনি কি করবেন? সাধারণত আপনার যদি আর্থিকভাবে সামর্থন না থাকে তাহলে আপনি জিলহজ মাসের চাঁদ দেখার পূর্বে নক, দারি কেটে ফেলুন এবং জিলহজ্জ মাসের ১০ তারিখে ঈদের নামাজ পড়ে এসে সেই নখ, দাঁড়িপরিষ্কার করে কোরবানির সোয়াব অর্জন করুন।

জিলহজ্জ মাসের প্রথম দশ দিন নফল রোজা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল তার কারণ হলো এই মাসে আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বেশি বেশি রোজা রাখতেন।

হজের যেটা মূল দিন অর্থাৎ আরাফার দিন সেই দিনটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন সকল মুসলিমদের জন্য। এই দিনে রোজা রাখা এবং ইফতারিকে সামনে রেখে আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রার্থনা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত।

এছাড়াও জিলহজ মাসের ১০ তারিখ অর্থাৎ কোরবানির দিনে বিভিন্ন ধরনের আমল দ্বারা নিজের আমলনামাকে সাজানো হচ্ছে এই মাসের গুরুত্বপূর্ণ আমল গুলোর মধ্যে কয়েকটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *