জিলহজ মাসের প্রথম দশকের ইবাদত ও ফজিলত

জিলহজ মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস এবং এই মাসে আমরা যতটা আমল করতে পারব আমাদের জন্য ততটাই ভালো। আমরা সকলে অবগত আছি যে জিলহজ মাসের প্রথম দশ দিন সকল মুসলিম উম্মার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তার কারণ হলো এই দশ দিনে আমল এবং ইবাদত করার কথা আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলে গেছেন।

আজকে এই আর্টিকেলের আলোকে আমরা জানার চেষ্টা করব জিলহজ মাসে যে আমলগুলো আপনারা করতে পারেন এবং এই আমল গুলো দ্বারা কিভাবে নিজের আমলনামাকে সাজাতে পারেন। এবং জিলহজ মাসে কোন তারিখে গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলো রয়েছে মুসলিম উম্মাদের জন্য সে সম্পর্কে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব।

জিলহজ মাসের প্রথম দশ দিনের ফজিলত

জিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিনের মধ্যে ৯ দিনে নফল রোজা রাখতে বলা হয়েছে তার কারণ হলো এই দিনগুলো অত্যন্ত ফজিলত ময় দিন। এছাড়াও জিলহজ মাসে হজ পালন করা হয় এবং হলিডে যে মূল দিন বা প্রধান দিন সেটা হচ্ছে আরাফার দিন সেটা জিলহজ মাসের ৯ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়।

এদিক থেকে অবশ্যই জিহাদ মাসের প্রথম দশ দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তার কারণ হলো এই দশ দিনের মধ্যেই হজ পালন করা হয় এবং হজের প্রধান দিন যেটা আরাফার দিন সেটাও এই দশ দিনের মধ্যেই পড়ে। এছাড়াও জিলহজ মাসের ১০ তারিখে রয়েছে ঈদুল আযহা অর্থাৎ কোরবানির ঈদের দিন তাই সকল মুসলিম উম্মার জন্য এই দিনটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

এই দিনে শুধুমাত্র যে আনন্দ উল্লাস করতে বলা হয়েছে এমন নাই এই দিনের রাতে এবং দিনের বেলাও বিভিন্ন ইবাদত করতে বলা হয়েছে এবং আমরা বিভিন্ন হাদিস শরীফে এ সম্পর্কে জানতে পেরেছি।

জিলহজ্জ মাসের ইবাদত সমূহ

জিলাস মাসের প্রথম নয়দিন আপনি নফল রোজা রাখতে পারেন তার মধ্যে নবম দিন হচ্ছে আরাফার দিনের রোজা তাই এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। যারা জিলহজ মাসের প্রথম নয় দিন ইবাদতে মশগুল থাকতে চাচ্ছে তারা এই আমলগুলো করতে পারে এবং আরাফার দিনে ইফতার কে সামনে রেখে আল্লাহতালার কাছে দোয়া অত্যন্ত ফজিলতম একটি দোয়া সেটা সম্পর্কে আমরা সবাই জানি।

যদি দোয়া কবুল হবার সঠিক সময় সম্পর্কে বলা হয় তাহলে অবশ্যই আরাফার দিনের দোয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন এবং এই দিনের দোয়া কখনোই আল্লাহ তায়ালা ফিরিয়ে দেবেন না। তাই যাদের মনের আশা পূরণ হচ্ছে না তারা আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য অবশ্যই আরাফার দিনের রোজা রাখবেন এবং ইফতারকে সামনে রেখে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনার মাধ্যমে নিজের মনের আশা ব্যক্ত করবেন।

জেরাজ মাসের ১০ তারিখ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন তার কারণ হলো এই দিন হচ্ছে কোরবানির দিন যাদের সামর্থ্য আছে তারা অবশ্যই এই দিনে কুরবানী দিবেন। শুধুমাত্র যে কোরবানি দেওয়া এই দিনের গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত তা নয় এর পাশাপাশি এই দিনে নিজের আত্মীয়স্বজনের খোঁজ খবর নেওয়া এবং কোরবানির মাংস যথোপ্রযুক্ত ভাবে বন্টন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আমল।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *