জিলহজ মাসের প্রথম দশ দিনের আমল ও ইবাদত

জিলহজ মাস অত্যন্ত ফজিলত তার কারণ হলো এই জেলার মাসে হজ পালন করতে হয়। আমরা সকলেই জানি যে সকল মুসলিম উম্মার জন্য জীবনে একবার হলেও হজকে ফরজ করা হয়েছে। আমাদের সকলের লক্ষ্য থাকবে জীবনে একটি বার হলেও হজ পালন করতে যাব এবং সেটা এই জিলহজ মাসে তাই আমাদের কাছে এই জুলহাজ মাসের গুরুত্ব অনেক বেশি।

তবে আমাদের মধ্যে যারা আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে হজ পালন করতে যায় না তাদের প্রতিবছরে জিলহজ মাস আসলে মন একটু বেশি খারাপ থাকে। কিন্তু আমাদের প্রতিবছর এই জিলহজ মাসে মনে মনে ভিডিও সংকল্প করতে হবে যে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা আল্লাহ তাআলার ডাকে সাড়া দিয়ে হজ পালন করতে যাব ইনশাআল্লাহ। তাই সেটা প্রমাণের লক্ষ্যে এই জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিন ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে আল্লাহতালা সন্তুষ্টি অর্জন করতে হবে এবং আল্লাহতালার কাছে হাত তুলে দোয়া পার্থনার মাধ্যমে হজ করার সামর্থ্য অর্জনের দোয়া করতে হবে।

জিলহজ মাসের প্রথম দশ দিনের ইবাদত কি কি

জিলহাজ মাসের প্রথম দশ দিনের এবাদত সম্পর্কে বলতে গেলে আপনি সবার প্রথমে যে কাজটি করতে পারেন সেটা হচ্ছে কোরবানির নিয়তে নিজের নখ, দাড়ি কেটে পরিচ্ছন্নতা অর্জন করা এবং জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিন এগুলো কাটা থেকে বিরত থাকা।

এর পাশাপাশি জিলহজ্জ মাসের আরো গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল হচ্ছে কোরবানি করা। আল্লাহ তাআলা সকল সামর্থ্যবান ব্যক্তিদের কোরবানি করতে বলেছেন কিন্তু যারা কোরবানি করতে পারবেন না তাদের জন্য অবশ্যই আরো অন্যান্য আমল গুলো করতে হবে।

এছাড়াও যারা হজ করতে পারবেন তারা অবশ্যই জিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিনে হজের সকল কার্যক্রম পুঙ্খানুপু রূপে সম্পন্ন করবেন এবং এটা আল্লাহতালা অনেক বেশি পছন্দ করেন।

জিলহাজ মাসের আমল সম্পর্কে বলতে হলে অবশ্যই বলতে হবে আরাফার দিনের আমল সম্পর্কে। হজের যে মূল দিন বা প্রধান দিন সেটা হচ্ছে আরাফার দিন এবং এই আরাফার দিনের হাজিরা আরাফার ময়দানে অবস্থান করেন মাগরিবের নামাজ পর্যন্ত এবং সেখানে তারা অবস্থান করে আল্লাহ তাআলার সন্দিদ্ধ লাভের জন্য প্রার্থনা করেন।

আরাফার দিনে রোজা রাখা এবং জিলহজ মাসের প্রথম নয় দিন নফল রোজা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল। এই আমল গুলো আপনি কখনোই ছাড়তে পারবেন না আপনি হজ করতে যান অথবা আপনি এখানেই থাকেন আপনাকে এই আমল গুলো করতেই হবে।

এছাড়াও জিলহজ মাসে আমরা অন্যান্য আমল গুলো করতে পারি যেমন আমরা যে প্রতি মাসের রোজা পালন করি এবং সোমবার এবং বৃহস্পতিবার যে রোজাগুলো রয়েছে আমরা সেই রোজাগুলো খুব নিয়ম মেনে পালন করতে পারি।

এছাড়াও জিলহজ মাসের আরাফার দিনের রোজা রাখা অবস্থায় ইফতার কে সামনে রেখে আল্লাহতালার কাছে দোয়া প্রার্থনা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। বলা হয়েছে যে দোয়া কবুল হওয়ার যে বিশেষ সময় গুলো রয়েছে তার মধ্যে আরাফার দিনের ইফতারের আগের সময়টি সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ এবং সব থেকে ভালো একটি সময়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *