জিলহজ্ব মাসের গুরুত্বপূর্ণ আমল গুলো কি কি

আজকে আমরা আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব অত্যন্ত সংক্ষেপে জিলহজ মাসের কি কি গুরুত্বপূর্ণ আমল আপনারা করতে পারবেন সে সম্পর্কে। আমরা যারা সাধারণ মানুষ আছি প্রতিদিনের ব্যস্ততার মাঝে আল্লাহ তায়ালার আমল থেকে অনেক দূরে সরে যাচ্ছে। দেখা গেছে যে জীবনের এক তৃতীয়াংশ পেরিয়ে গেছে তারপরেও অনেকেই রয়েছেন যারা এখন পর্যন্ত আল্লাহ তায়ালার প্রত্যেকে আমল সম্পর্কে সঠিক ধারণা নিতে পারেননি।

সারা জীবন পিছিয়ে পড়া এই আমলগুলো আপনি নিজের পরবর্তী জীবনের প্রত্যেকটি গুরুত্বপূর্ণ আমল দ্বারা পরিপূর্ণ করতে পারেন। তাই সবসময় চেষ্টা করতে হবে প্রত্যেকটি সঠিক সময়ে আমল করতে এবং আল্লাহ তা’আলা যেন আপনাকে আরো দীর্ঘদিন আমল করার সৌভাগ্য দান করে সেই দোয়া করতে। জিলহজ মাস অত্যন্ত সম্মানিত একটি মাস এবং এই মাসে আমরা ঈদুল আযহা অর্থাৎ কোরবানির ঈদ পেয়ে থাকে।

জিলহজ মাসের প্রথম তারিখ থেকে জিলহজ মাসের ৯ তারিখ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি আমল আমাদের করতে বলা হয়েছে এবং এই আমল গুলো কি কি সে সম্পর্কে আমরা জানব। এছাড়াও জিলহজ মাসের ১০ তারিখ কোরবানির ঈদের দিন কোন আমল গুলো আমরা করব সে সম্পর্কেও জানার চেষ্টা করব।

জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনের গুরুত্বপূর্ণ আমল গুলো কি কি

জিলহজ মাস অত্যন্ত সম্মানিত মাস এবং এই সম্মানিত মাসে আপনি শুরুর দিক থেকে আমল করতে পারেন। আমরা জিলহজ মাসের আমল সম্পর্কে বিভিন্ন হাদিস থেকে বিভিন্ন তথ্য জানতে পেরেছি তার মধ্যে একটিতে হলো মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন “তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি কোরবানি করতে চায় সে যেন জিলহজের চাঁদ দেখার পর চুল ও নখ না কাটে “। তাই জিলহাজ মাসে প্রবেশ করার আগে আমাদের চুলো নখ কেটে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হতে হবে।এতে করে আমরা যদি এই আমলটি করি এবং জেলহাজ মাসের ১০ তারিখে কোরবানির ঈদের নামাজ পড়ে এসে চুল নখ দাড়ি কাটি তাহলে আমরা একটি কোরবানি দেওয়ার সমান সওয়াব অর্জন করতে পারি।

জিলহাজ মাসের যদি আমল সম্পর্কে বলতে হয় তাহলে আরাফার দিনের কথা কখনোই ভোলা যাবে না। হজের মূল দিন হচ্ছে আরাফার দিন এবং এই আরাফার দিনে হাজিরা আরাফার ময়দানে অবস্থান করেন মাগরিবের সালাত আদায় পর্যন্ত। এই আরাফার দিনে রোজা রাখতে বলা হয়েছে এবং আমরা যারা নিজের অবস্থানে রয়েছি তারাও নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরাফার দিনের উদ্দেশ্যে রোজা রাখতে পারি এবং ইফতারি কে সামনে রেখে আল্লাহতালার কাছে দোয়া প্রার্থনা করতে পারে এবং যেই দোয়া সব থেকে দ্রুত কবুল হবে বলে হাদিস শরীফে বর্ণনা করা হয়েছে।

এছাড়াও জিলহজ মাসের অন্যান্য দিন নফল রোজা আমরা আদায় করতে পারি যে নফল রোজা আমাদের জন্য অত্যন্ত ফজিলত নয়।

যাদের সামর্থ্য আছে জিলহজ মাসে হজ পালন করা তাদের জন্য ফরজ একটি কাজ তাই আমরা সামর্থ্য অনুযায়ী জিলহজ মাসে হজ পালন করার এই আমলটি থেকে কখনোই পিছপা হবো না।

এছাড়া কোরবানির দিনে অর্থাৎ জিলহজ্জ মাসের ১০ তারিখে সামর্থ্য অনুযায়ী কোরবানি দেওয়া আল্লাহকে খুশি করার অন্যতম একটি আমল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *