জিলহজ মাসের আমল ও ফজিলত

আপনাদের সকলকে স্বাগতম জানাচ্ছি আমাদের আজকের ইসলামিক এই অনুচ্ছেদে যেখানে আপনারা জানতে পারবেন জিলহজ মাসে কি কি আমল করা যায় এবং এই আমল গুলো পড়ার ফলে আপনার কি কি লাভ হবে সে সম্পর্কে। সাধারণত আরবি মাসের যে বারো মাস আছে তার মধ্যে জিলহজ মাস হচ্ছে সর্বশেষ মাস।

অর্থাৎ যারা আরবি মাসে নিজের জীবন পরিচালনা করেন তাদের বছরের শেষ মাস হচ্ছে জিলহজ মাস। সাধারণত শেষ মাস হিসেবে আমল করার বেশ কিছু দিকনির্দেশনা আমরা পেয়েছি এবং এখানে রয়েছে বেশ কিছু ফজিলত। জিলহজ মাসের ১০ তারিখে কোরবানির ঈদ পালনের মাধ্যমে বিশ্বের ধর্মবান মুসলমান আল্লাহর প্রিয় বান্দা হজরত ইব্রাহিম আলাই সালাম ও হযরত ইসমাইল আলাই সাল্লাম এর অতুলনীয় আনুগত্য এবং মহান ত্যাগের স্মৃতি বহন করে।

জিলহজ মাসে প্রথম ১০ দিনের ফজিলত ও আমল

অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাস হচ্ছে জিলহজ মাস বিশেষ করে যারা ঈমানদার মুসলমান আছেন তাদের কাছে পণ্য অর্জনের অনেক বড় সুযোগ এই মাসে পাওয়া যায়। প্রথম ১০ দিনে বেশ কয়েকটি আমল ও ফজিলত করলে অবশ্যই আপনি এখান থেকে বহু সওয়াব অর্জন করতে পারবেন। চলুন নিচে আমরা আপনাদের জানাই জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনের কি কি দশটি আমল আপনাকে করা উচিত।

প্রথম যে আমলটি আমরা সকলেই করতে পারি সেটি হচ্ছে এই ১০ দিনের নখ ও চুল না কেটে বিরত থাকি। অর্থাৎ জিলহজ মাসের চাঁদ ওঠার পূর্বেই আমাদের নখ ও চুল পরিষ্কার করে নিতে হবে তারপরে প্রথম ১০ দিনে এই নখ ও চুল না কেটে বিরত থাকতে হবে। এ বিষয়ে ফজিলত হিসেবে আমরা জানতে পেরেছি যে কুরআনের দিনে যারা কোরবানি দিতে পারবে না তাদের যদি এই নিয়ম মেনে নক ও চুল না কেটে কোরবানির দিনে সেগুলো কাটে তাহলে একটি কোরবানির সোয়াব তাদের আমলনামায় লিখা হবে।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ আমল আমরা করতে পারি সেটি হচ্ছে জিলহজ্বের প্রথম নয় দিন রোজা রাখা। আমরা সকলে জানি যে জিলহজ মাসের ১০ নাম্বার দিন হচ্ছে ঈদুল আযহার দিন আর ঈদের দিনে মুসলমানদের রোজা রাখতে হয় না। তবে ঈদ পরবর্তী জুলহাস মাসের নয় দিনে আপনি রোজা রাখতে পারেন। এছাড়া এই নয় দিনের মধ্যে রয়েছে আরাফার দিন এবং সেই আরাফার দিনের রোজার বিশেষ ফজিলত রয়েছে যেটা আমরা সকলেই করতে পারি।

জিলহজ মাসের আরো একটি বিশেষ আমল হচ্ছে সেটি নফল ইবাদতের মাধ্যমে। আপনি এই মাসে যত বেশি নফল ইবাদত করবেন আপনার আমলনামায় তত বেশি সওয়াব যুক্ত হবে।

আমরা জীবনে অনেক সময় অনেক ধরনের ভুল কাজ এবং পাপ কাজ করে থাকি। তবে সৃষ্টিকর্তা সবথেকে বেশি খুশি হন যখন আমরা এই পাপ কাজ থেকে খাস মাফ চাওয়ার মাধ্যমে পুনরায় ভালো জীবনে ফিরে আসে। আপনি জিলহজ মাসের এই আমলটি মনে মনে সব সময় করতে পারবেন।

জিলহাজ মাসের সব সময় আল্লাহর জিকিরের মাধ্যমে আপনি ইবাদত করতে পারেন। হতে পারে সেটা মসজিদে বেশি হতে পারে সেটা নিজের বেডরুমে বসে যে কোন সময় আপনি যেভাবে থাকেন না কেন আপনি বেশি বেশি আল্লাহর জিকর করতে পারেন।

জিলহজ মাসের আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হচ্ছে যাদের সামর্থ্য আছে তারা অবশ্যই জীবনের একবার ফরজ হজ পালন করবেন।

জিলহজ মাসের আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল সেটা ১০ নাম্বার দিলে পালন করতে হয় আর সেটি হল কুরবানী দেওয়া। অবশ্যই সৃষ্টিকর্তা আমাদের সামর্থ্যবান মানুষদের কুরবানী দিতে বলেছেন যাদের কোরবানি দেওয়ার সামর্থ্য নেই তাদের ওপর আল্লাহতায়ালা কোরবানির দায়িত্ব চাপে দেননি।

এর পাশাপাশি বেশি বেশি তাকবীর পাঠ করা এবং যথাসম্ভব গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার আমল গুলো আমরা করতে পারি। ছাড়াও জিলহজ মাসের আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল হচ্ছে যতটা সম্ভব সাদাকা করা।আপনি যত বেশি সাদাকা করবেন আপনার আমলনামায় তত বেশি সওয়াব যুক্ত হবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *