হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু এর শাসন আমল

ইসলাম শাসনব্যবস্থার অন্যতম শাসক ছিলেন হযরত ওমর রাঃ। আজকে আমরা হযরত ওমর রাজিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু এর শাসন ব্যবস্থা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু আলোচনা করব এবং যারা তার শাসন ব্যবস্থা সম্পর্কে কোন কিছু জানতেন না তাদেরকে প্রাথমিক ধারণা দেবো। আপনারা যারা ইসলামের ঐতিহাসিক এই শাসকের শাসন ব্যবস্থা নিয়ে জানতে চাচ্ছেন তারা অবশ্যই আমাদের সঙ্গে থাকুন।

মুসলমানদের জন্য হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু কতটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব সেটা আমরা সকলেই জানি। আজকে আমরা মুসলমান শাসকদের মধ্যে সেরা একজন শাসক হযরত ওমর রাযিআল্লাহু তা’আলা আনহুর এর ন্যায় পরান শাসনব্যবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করব। আসুন যারা এ সম্পর্কে কিছু জানতে না তারা আমাদের এখান থেকে প্রাথমিক ধারণা সংগ্রহ করুন।

হযরত ওমর এর শাসন ব্যবস্থা

ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হিসেবে নির্বাচিত হন হযরত ওমর ফারুক রাঃ। খেলাফত লাভ করার পরপরই তিনি রাজ্য বিস্তার এবং সাম্যবাদী চিন্তা চেতনা এবং গরিব সাধারণ মানুষের ধৈর্য বিমোচনে ইসলামের আলোকে আত্মনিয়োগ করেন। হযরত ওমর এর শাসন ব্যবস্থায় যদি যুদ্ধের কথা বলা হয় তাহলে সেই যুদ্ধগুলো ছিল ঐতিহাসিক কিছু যুদ্ধ।

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের আদর্শ দিয়ে যেভাবে ইসলামের ধর্মকে একটি পরিপূর্ণ রূপ দিয়েছেন তেমনি তৈরি করেছেন একদল সোনার মানুষ। আমাদের প্রিয় নবীর পরশ পেয়ে বিশ্বের নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষ মুক্তির দিশা পেয়েছে এবং যে দল তিনি তৈরি করেছেন তার মধ্যে সবথেকে বড় মাপের খলিফা ছিলেন ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু।

ইসলামের প্রাথমিক যুগে যখন কোরানি আদর্শ সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামলেন বিশ্বনবী ঠিক সে সময় হযরত ওমর ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করে এবং হুজুরের হাত শক্তিশালী করেন। ইসলামের ইতিহাসে এটি ছিল যুগান্তকারী ঘটনা তার কারণ হলো হযরত ওমর আলাইহিস সালাম যখন ঈমান আনলেন তখন সম্পূর্ণ জিনিসটাই পাল্টে গেল এবং ইসলামের বিজয় ঘোষণা শুরু হয়ে গেল।

ঠিক সেই সময় মক্কার কাফের ও মুশরিকরা হযরত ওমর আলাইহি সাল্লাম এর ইসলাম গ্রহণ করার বিষয়টি একেবারে মেনে নিতে পারছিল না এবং এত বড় একজন বীরের ইসলাম গ্রহণ করা তাদের জন্য খুবই ভয়য়ের কারণ হয়ে গেল। তারপর থেকে প্রকাশ্যে ইসলাম প্রচার এবং ইসলামের দাওয়াত দেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছিল এবং এখানে বাধা দেওয়ার সাহস কারো ছিল না।

হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু যখন রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন তখন গোটা বিশ্ব কিভাবে ইসলামের শান্তিময় দাওয়াত ছড়িয়ে দেওয়া যায় সেই পরিকল্পনা করেন তিনি। শুধুমাত্র এই কাজটি তিনি করেননি এর পাশাপাশি তিনি এ শাসনাধীন এলাকায় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং মানুষের দুঃখ দর্দশা দূর করার পদক্ষেপ নেন।

আমরা যদি ইসলামের স্বর্ণযুগের কথা বিভিন্ন ইতিহাসের পাতায় পড়ি তাহলে সেখানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হযরত ওমর এর শাসনব্যবস্থার কথা বলা হবে তার কারণ হলো তার শাসন ব্যবস্থার প্রত্যেকটি মুহূর্ত ছিল স্বর্ণযুগের মুহূর্ত। তিনি যে আবর্শন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পেরেছিলেন সেই শাসন ব্যবস্থা পৃথিবীর আর কোথাও দেখতে পাওয়া যায়নি এবং সাম্য এবং শান্তিময় সাধন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা হয়নি বলে এখন পর্যন্ত ইতিহাসে পাওয়া যায়।

হযরত ওমর এর শাসনব্যবস্থা এবং বর্তমান শাসন ব্যবস্থা

আমরা যদি পৃথিবীর ইতিহাস পড়তে যায় তাহলে অবশ্যই বহু সময় বহু শাসক এসেছেন যারা ঐতিহাসিক শাসন ব্যবস্থা মাধ্যমে গোটা পৃথিবীকে চালনা করতে পেরেছেন। তবে বর্তমানে গোটা বিশ্বে যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে সেখানে হযরত ওমর এর মতন একজন শাসকের খুব দরকার ছিল। হযরত ওমর যেভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছেন তা ছিল এক কথায় অসাধারণ এবং এই ধরনের ন্যায়নীতি পরান শাসক যদি বর্তমানে গোটা পৃথিবীতে একটিও হয় তাহলে অবশ্যই ওরা পৃথিবী পরিবর্তন হয়ে যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *