হজের দিনের আমল

সকল মুসলিম উম্মার জন্য জীবনে একবার হজ ফরজ করা হয়েছে এবং ইসলামের যে পাঁচটি রুকুন রয়েছে তার মধ্যে একটি হচ্ছে হজ। তাই অবশ্যই এই হজের গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত আছে যে ফজিলত গুলো অর্জন করতে হলে অবশ্যই আমাদের হজের দিনে আমল করতে হবে। যাদের আর্থিকভাবে সামর্থ্য আছে তারা হজ পালন করতে যাবে কিন্তু যাদের সামর্থ্য নেই তারা হজের দিনের এই আমল গুলো দ্বারা আল্লাহতালার সন্তুষ্ট অর্জন করতে পারে।

আজকে আমরা আলোচনা করার চেষ্টা করব কোরআন এবং হাদিসের আলোকে হজের দিলে কি কি আমল আপনি করতে পারেন এবং এই আমল গুলো দ্বারা কিভাবে আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জন করতে। অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা তাঁর বান্দাদের বহু রাস্তা দেখিয়ে দিয়েছে যে রাস্তাগুলোর মাধ্যমে আমরা আল্লাহতালা সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারি। তাই আমরা বুদ্ধি খাটিয়ে খুব অল্প ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহ তাদেরকে খুশি করতে পারি।

হজের মাসের প্রথম দশ দিনের আমল

হজের দিনের আমল সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বিভিন্ন জায়গাতে বিভিন্নভাবে হজর দিনের আমল সম্পর্কে ধারণা দিয়েছেন। এখানে গুরুত্বপূর্ণ আমল হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার উদ্দেশ্যে আল্লাহতালাকে খুশি করার জন্য কোরবানি করা।

হযরত ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন “আল্লাহর কাছে কোনদিনও এত অধিক প্রিয় নয় আর না তাতে আমল করা এ ১০ দিনের তুলনায়। সুতরাং তোমরা তাতে বেশি বেশি তাহলেই তাকবির ও তাহমিদ পাঠ করো” (তারাবাণী) ।আমাদের প্রিয় নবীর এই বর্ণনা অনুযায়ী আমরা খুব স্পষ্টভাবে বুঝতে পেরেছি যে হজের মাসের প্রথম ১০ দিনে কি কি আমল আমাদের করতে হবে।

এছাড়াও হজের মাসের প্রথম দশটি বিশেষ আমল তুলে ধরা হলো। আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণ করা এবং আল্লাহ তা’আলা এই সম্পর্কে বলেন “যাতে তারা তাদের কল্যাণের স্থান পর্যন্ত পৌঁছে এবং নির্দিষ্ট দিনগুলোতে আল্লাহর নাম স্মরণ করে তার দেয়া চতুষ্পদ জন্তু যবেহ করার সময়। অতঃপর তোমরা তা থেকে আহার করো এবং দুস্থ অভাব-প্রস্তকে আহার করাও।” (সূরা হজ্জ আয়াত ২৮)। অবশ্য আল্লাহ তায়ালার এই আয়াত থেকে আমরা খুব সহজে বুঝতে পেরেছি যে হজের দিনে আমাদের কি কি আমল করতে হবে।

যারা কোরবানি দিতে ইচ্ছুক কিন্তু আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে কোরবানি দিতে পারছে না তারা চাইলে জিলহজ মাসের শুরু থেকেই ১০ দিন নখ চুল ইত্যাদি না কেটে জিলহজ মাসের ১০ তারিখে এগুলো কাটতে পারে। এতে করে কোরবানির ছোয়াব তার আমলনামায় দেখা হবে।

আমাদের দিনে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল হচ্ছে বেশি বেশি করে তাকবীর, তাহমিদ ও তাহলিল পাঠ করা। “আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ” (বুখারী) । আমরা বেশি বেশি করে আল্লাহ তাআলার নিকটে লাভের জন্য এই দোয়াটি করতে পারি।

আরাফার দিন হচ্ছে জিলহজ মাসের নবদ্বীপ এবং এই জিলহজ মাসে এমন কিছু আমল আছে যে আমলগুলো আমরা পালন করে আল্লাহতালা অনেক বেশি খুশি হবেন। এই আরাফার দিনে রোজা রাখা এবং ইফতারিকে সামনে রেখে দোয়া করা আল্লাহ তায়ালা অনেক বেশি পছন্দ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *